নিজেকে নিজেই অনুপ্রানিত করুন

নিজেকে নিজেই অনুপ্রানিত করুন

নিজেকে নিজেই অনুপ্রানিত করুন

নিজেকে নিজেই অনুপ্রানিত করুন

আপনাকে সব চেয়ে বেশী কে চিনে? আপনার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী তথ্য কে দিতে পারবে? কোন কাজে আপনি দক্ষ তা ভালো কে বলতে পারবে? এর উত্তর আপনার পরিবারের সদস্য বা আপনার কাছের বন্ধু নয়। আপনি নিজে সবচেয়ে আপনাকে ভালো চিনেন।

 

আপনিই আপনার মানসিকতা পরিবর্তন করে নিজেকে অনুপ্রানিত করার মাধ্যমে জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারেন। এর জন্য সর্বপ্রথম নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করতে হবে। আসুন জেনে নেই কিভাবে নিজেকে নিজেই অনুপ্রানিত করা যায়।

একটি লিখিত পরিকল্পনা করুন

আজ থেকে আগামী ১ বছরের মধ্যে আপনি কি অর্জন করতে চান? এর উত্তর সত্যি যদি আপনার জানা না থাকে তবে এখনই আপনার জীবন পরিকল্পনা লিখে ফেলুন।

আপনার সমস্ত লক্ষ্য যা অর্জন করতে চান তা লিখুন। কোন কিছু বাদ না দিয়ে, আপনার জীবনের সকল ছোট বড় লক্ষ্যগুলো লিখুন।

বড় লক্ষকে ছোট ছোটে ভাগে ভাগ করুন। এরপর নিজেকে একটি সময়সীমা বেঁধে দিন এবং লক্ষের গুরুত্ব অনুযায়ী কাজে নেমে পড়ুন।

প্রতিদিনের জন্য একটি চেকলিস্ট বানাতে পারেন এবং এই কাজটি রাতে ঘুমানোর আগে করে নিন। সকালে উঠে কঠিন কাজটি আগে শেষ করে নিন এবং এর পর বাকী কাজে মন দিন।

 

সফলতা অর্জনে বাধা কোথায় তা খুঁজে বের করুন

নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন কোন অজুহাত বা প্রতিবন্ধকতা আপনার লক্ষ্য বা পরিকল্পনায় যেতে বাঁধা দিচ্ছে। যেমন ধরুন আপনার লক্ষে যেতে অনেক সময় লাগতে পারে বলে আপনি মনে করছেন, এই ক্ষেএে আপনাকে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে হবে।

 

কোন জায়গায় আপনি বেশী সময় নষ্ট করছেন তা খুঁজে বের করুন এবং সেই সময়কে লক্ষ্য পূরণের কাজে লাগান। যেমন ধরুন আপনি যদি অতিরিক্ত আড্ডা দেন ও সোসাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তবে সেই সময়ে কমিয়ে আনুন।

 

পজিটিভি চিন্তা করুন

আপনি কোন কাজে আজকে ব্যর্থ হতেই পারেন, তার মানে এই না যে কালকেও ব্যর্থ হবেন। ব্যর্থতাকে জীবনের বড় সমস্যা হিসাবে না নিয়ে, ব্যর্থ কেন হয়েছেন এর কারন খুঁজে বের করুন।  

 

নিজেকে নতুন করে সাজান

আপনি নিজেকে একজন লেখকের সাথে তুলনা করতে পারেন। ধরুন আপনি একটি বই লিখছেন এবং কিছু অধ্যায় শেষ করলেন, এখন পরবর্তী অধ্যায়ে কি লিখবেন তা আপনি ছাড়া অন্যকেউ জানে না। এই বইকে আপনার জীবন ও অধ্যায়কে আপনার বয়সের সাথে তুলনা করতে পারেন।

কে এম চিশতি সিয়াম // ইউটিউব লিঙ্ক 

আরো পড়ুন –