জীবনে কিছু একটা অর্জন করুন, অভিনন্দন জানানোর লোকের অভাব হবে না

জীবনে কিছু একটা অর্জন করুন অভিনন্দন দেওয়ার লোকের অভাব হবে না

জীবনে কিছু একটা অর্জন করুন অভিনন্দন দেওয়ার লোকের অভাব হবে না

মানুষের জীবন বড়ই চমকপ্রদ। দিন যত যাচ্ছে বাহারি মানুষের ভিড়ে আসল আর নকলের মধ্যে পার্থক্য খুঁজতে চাওয়া অন্যায়’ই বটে! এখন এই বিশ্ব সব জায়গায় প্রতিযোগীতা চলে। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে নিজেকে প্রমান করতে হয় না।

পাড়ার ক্রিকেট ম্যাচ থেকে শুরু করে ক্লাস রুম, চাকরির ভাইবা, ব্যবসা, আইলাইন গ্রুপ, রাজনীতি সহ সকল স্থানে প্রতিযোগীতা আছে। এমনকি যিনি ভিক্ষা করে খায় তাকেও অন্য ভিক্ষুকের সাথে প্রতিযোগীতা করেই ভিক্ষা করতে হয়।

যে যেখানে যেতে চায়, যে যেই স্বপ্ন পূরণ করতে চায়, যে মানুষ যেই রকম জীবনযাপন করতে চায় তার জন্য তাকেই তা অর্জন করতে হবে।

জীবনের সফলতা সুধা তারাই পান করে যারা একাধিক বার জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে এগিয়ে চলতে পারে। আমি জীবনে সফল হতে চাই, এই বাক্য যদি প্রতিদিন ১০০ বারও পড়ি তাহলে একটা চুল পরিমানও কোনো পরিবর্তন হবে না।

আমি কি চাই তা আমাকেই অর্জন করতে হবে। আমি কি ধরনের পোষাক পড়তে চাই তা আমাকেই কিনতে হবে। কেউ আমার হাত ধরে সফলতার মুকুট পড়িয়ে দিবে না। কেউ আমার সফলতার জন্য তার জীবন বলিদান করবে না। যা কিছু আমি চাই তা আমাকেই অর্জন করতে হবে।

আজকে যে আমাকে পাত্তা দেয় না, আমার ফোন রিসিভ করে না, আমাকে তার বোঝা মনে করে তিনিই একদিন আমার কর্মকান্ড গুগলে খুঁজবে এই প্রত্যায় নিজের মধ্যে জন্ম দিতে হবে।

আজকে কেউ যদি আমাকে ব্যস্ততার অযুহাত দেখায় তবে মনে রাখতে আমার থেকে তার কাছে অন্য আরেকটা কাজ গুরুত্বপূর্ণ তাই তিনি আমাকে এড়িয়ে চলছে।

এই বিশ্বের কোনো মানুষই ব্যস্ত না, আপনার কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু সেই অনুযায়ী আপনি ব্যবহার পাবেন।

দেশের সব থেকে ব্যস্ত মানুষ যদি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধরা হয় এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যদি ফোন করে তবে তিনি মোটেই ব্যস্ত না।

জীবনে নির্মম বাস্তব সত্য, তেলা মাথায় তেল দিতে সবাই পছন্দ করে। এটা আমার চোখে দোষের কিছুই না, কারন যার মাথায় এখন তেল দিচ্ছে তার মধ্যে কিছু একটা আছেই বিধায় এত দাম পাচ্ছে। তিনি এই তেল নেওয়ার যোগ্যতা রাখে। আপনি যখন তার পজিশনে যাবেন আপনারও একই রকম খাতির হবে।

আরোও পড়ুন – এই ১০টি শিক্ষা আমরা জীবনে খুব দেড়িতে শিখি

সমাজের চোখে যখন আপনি বাতিল খাতায় নাম উঠাবেন তখন আপনি সমাজের নিন্মস্তরের মানুষ হিসাবে গন্য হবে। শুনতে খারাপ লাগতেই পারে তবে এটিই বাস্তবতা জীবনে কিছু একটা অর্জন করুন, দেখবেন আপনাকে অভিনন্দন দেওয়ার লোকের কোনোই অভাব হবে না।