৮টি অভ্যাস আপনাকে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে সহায়তা করবে

আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন

আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন

আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। আর্থিক স্বাধীনতা মানে আপনার কাছে টাকা আছে এবং আপনি ভালো ভাবে চলতে পারছেন এর থেকে আরো বেশী কিছু বোঝায়।

আর্থিক স্বাধীনতা বলতে আপনার কাছে যথেষ্ট টাকা, সম্পদ, বিনিয়োগ আছে যা দিয়ে আপনি ও আপনার পরিবার স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারবেন, এমনকি অন্যের দরকারে তাদেরকে সাহায্য করতে পারবেন ইত্যাদি বিষয়কে বোঝায়।  

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের মধ্যে অনেকেই নিজেকে আর্থিক ভাবে স্বাধীন ঘোষণা করতে পারি না। আবার এমনকি নিজেদের আর্থিক অবস্থা আরো দিন দিন খারাপ করে ফেলি।

আমাদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে না পারার পিছনে বহু কারন থাকতে পারে।

তবে কিছু অভ্যাস আছে যেই গুলো অনুসরন করতে পারলে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে সহজ হবে। আসুন সেই অভ্যাসগুলো কি কি তা জানার চেষ্টা করি।

#১। লক্ষ্য নির্ধারণ করা

আপনার কাছে আর্থিক স্বাধীনতার মানে কি তা ঠিক করতে হবে।

আপনি যদি বলেন আপনি ধণী হতে চান তবে ঠিক আছে, কিন্তু আপনি কতটা ধনী হতে চান, কত টাকার মালিক হতে চান, কত দিনের মধ্যে কি পরিমান সম্পদ গড়তে চান তা ঠিক করতে হবে।

এই মুহূর্তে যদি আপনি এই প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারেন তবে সবার আগে এর উত্তর খুঁজে বের করুন।

আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পরিমান সম্পদের মালিক হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।

আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বড় লক্ষ্য ঠিক করা উচিত এবং সেই বড় লক্ষ্যটিকে ভেঙ্গে ছোট ছোট লক্ষ্যে রুপান্তর করুন। আরোও পড়ুন – লক্ষ্য নির্ধারন এবং পূরণ করতে চাইলে এই ৫টি ভুল করা যাবে না

#২। একটি বাজেট তৈরি করুন

আপনার আয়ের সাথে মিল রেখে খরচের একটি বাজেট বানাতে হবে। যেখানে যতটুকু খরচ না করলেই নয় সেইভাবে বাজেট বানাতে হবে।

বাজেট বানিয়েই বসে থাকলে চলবে না বরং সেই বাজেটি কার্যকর উপায়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।

#৩। স্বয়ংক্রিয় সঞ্চয় তৈরি করুন

আপনার অর্জিত ইনকাম হাতে আসার আগেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সঞ্চয় করতে হবে। ধরুন আপনি প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করেন।

এখান থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় করতে হবে। বাকি ৪০ হাজার টাকার মধ্যে যতটুকু সম্ভব খরচের পাশাপাশি আবার সঞ্চয় করতে হবে।

#৪। এখনই বিনিয়োগ শুরু করুন

সঞ্চয় করা টাকাকে কখনই ঘুম পারিয়ে রাখবেন না। একদিক থেকে সঞ্চয় করতে হবে এবং অন্যদিক থেকে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে।

আপনার বিনিয়োগকে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে, একটি দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ এবং আরেকটি সল্প মেয়াদী বিনিয়োগ করতে হবে।

#৫। দরাদরি করা শিখুন

আমাদের মধ্যে অনেকেই দরাদরি করতে পছন্দ করি না, কিন্তু আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে চাইলে দরদাম করা শিখতে হবে।

আপনি যখন নিজের জন্য কোনো কিছু কিনবেন বা ব্যবসার জন্য কিছু কিনবেন তখন অবশ্যই কিছু না কিছু দরদাম করুন।

১০ টাকা বাঁচাতে পারলেও সেই ১০ টাকা আপনার কাছে থেকে যাবে যা দিন শেষে আপনাকে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে সাহয্য করবে।

#৬। যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করুন

আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি যদি আপনার ভুলের কারনে ভেঙ্গে যায় তাহলে আপনাকে আবার আরেকটি মোবাইল ফোন কিনতে হবে।

আপনার ব্যবহৃত পোশাক যদি নিজের ভুলের জন্য নষ্ট হয়ে যায় তবে তা আবার কিনতে হবে।

এই রকম সকল কিছুর বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে। আপনার এই আজকের ছোট ত্যাগের কারনেই  আগামীকালকে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবেন।

আমাদের মনে রাখা উচিত, ছোট এক ছিদ্র বড় একটি জাহাজকে ডুবাতে পারে।

#৭। সব সময় শেখার মধ্যে থাকুন

কখনই পরিবর্তনকে ভয় পাবেন না। পরিবর্তনকে ভয় পেয়ে পালিয়ে থাকতে পারবেন কিন্তু সফল হতে পারবেন না।

নতুনত্বকে গ্রহন করতে পারলে এবং সব সময় জানার আগ্রহ থাকলে আপনার কাছে বড় বড় সুযোগ ধরা দিবে।

#৮। আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন

আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে স্বাস্থ্যের বেহাল দশা বানানো ঠিক হবে না। কেননা স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গেলে আপনি যে আর পরিশ্রম করতে পারবেন না। – কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব লিঙ্ক