কেন হবেন উদ্যোক্তা? উদ্যোক্তা হওয়ার যত কারন আমরা খুজে পেয়েছি

কেন হবেন উদ্যোক্তা?

কেন হবেন উদ্যোক্তা

কেন হবেন উদ্যোক্তা

উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী এক বিষয় নয়। কেন হবেন উদ্যোক্তা? উদ্যোক্তা হওয়ার যত কারন আমরা খুজে পেয়েছি তা পাঠকদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করি তরুন উদ্যোক্তাগন কিছু চিন্তার খোরাক পাবেন।

আপনি কি কোন নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য স্বপ্ন দেখছেন? তাহলে আপনাকে সকল ধরনের ভয়কে জয় করতে হবে। সাহসীকতাকে আপনার জীবনে যুক্ত করে ব্যবসার কাজ গুলো সম্পূর্ণ করতে হবে। আপনার দৃষ্টি ভয়ের উপর কেন্দ্রিভুত না করে আপনার বিবেচনাকে সেই দিকে নিয়ে যেতে হবে যার দ্বারা আপনি আপনার ব্যবসার মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবেন।

আপনি জীবনে কি করতে চান অথবা আপনার জীবনের লক্ষ্য কি সেই দিক গুলো আপনাকে আগে ঠিক করতে হবে। আর সেই অনুযায়ী আপনি ব্যবসায়িক উৎস খুঁজে নানা রকম ঝুঁকি গ্রহণ করে ব্যবসায় এগিয়ে যেতে হবে। যখন আপনি সাহসীকতার সহিত আপনার স্বপ্নের পিছনে ছুঁটবেন তখন দেখবেন সাফল্য আপনার একেবারেই হাতের নাগালে এসে যাবে। এখানে কয়েকটি উদ্যোক্তা হওয়ার কারণ রয়েছে যা আপনি অনুসরণ করে আপনার ব্যবসায় প্রয়োগ করতে পারেন। যার দ্বারা আপনি আপনার জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। নিচে তা আলোচনা করা হল।

যখন আপনি ব্যবসা শুরু করার জন্য যাত্রা করবেন তখন আপনাকে প্রথমে ব্যবসাটিকে পছন্দ করতে হবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার কাজগুলো আপনাকে এমন ভাবে পছন্দ করতে হবে যে গুলো আপনার ব্যবসায় সৃজনশীলতা এনে দিবে। আপনাকে এমন কিছু পছন্দ করতে হবে যা আপনার জীবনের বাস্তবিক সক্রিয়তা এনে দিবে। তবে খেয়াল রাখবেন আপনি যে কাজটি করতে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন বা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করেন সেই কাজ গুলোকেই আপনাকে পছন্দ করতে হবে। অন্যথায় আপনি আপনার ব্যবসায়ে সফল হতে পারবেন না।

যেহেতু এটি আপনার নিজস্ব ব্যবসা সেহেতু সেখানে অবশ্যই আপনাকে একটি মানদন্ড সেট করতে হবে। মনে রাখবেন আপনার নিজের ব্যক্তিত্বের উপর আপনার ব্যবসার সফলতা অনেকটা নির্ভর করে। তাই আপনাকে আপনার আদব বা আচরনের উপর দৃষ্টি রাখতে হবে। গ্রাহকদের সেবা প্রদানে আপনাকে অবশ্যই আপনার নিজের মতামত বা কন্ঠকে প্রয়োগ করতে হবে। এতে আপনার উপর তাদের বিশ্বাস আরো বাড়বে। আপনাকে কাজের ক্ষেত্রে সত্যবাদী হতে হবে। মনে রাখবেন আপনার সততাই আপনার ব্যবসার মূল্য বাড়িয়ে দিবে। সর্বোপরি, যে কোন ব্যবসায় নিজের মানদন্ড প্রতিষ্ঠা করা যায় বিধায় বেশির ভাগ উদ্যোক্তা ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন।

যাই কিছু ঘটুক না কেন মনে রাখবেন সব কিছুরই একটি নিয়ম রয়েছে। ঠিক তেমনি আপনাকেও আপনার ব্যবসায় একটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। আপনি চাইলে যেখানে ইচ্ছে ভ্রমণ করতে পারবেন না। তবে সব কিছুর মধ্যেও আপনি আপনার পরিবারকে সময় দিতে হবে। তাদের আনন্দঘন মুহূর্তের সময়ে আপনাকেও সামিল হতে হবে। আর এই ভাবেই আপনি আপনার জীবনকে সঠিক পথে ধাবিত করতে পারবেন।

আপনাকে অবশ্যই সেরা কাজ গুলোকেই পছন্দ করতে হবে। আর এই জন্য আপনার সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আপনি আপনার বাস্তবিক অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার কাছে যে কাজ গুলো অন্যান্য কাজ থেকে সেরা মনে হবে সেটাই আপনাকে বেছে নিতে হবে। আর এতে আপনার ব্যবসার সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে।

অর্থ হচ্ছে ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা দ্বারা প্রতিটি কাজই পরিচালিত হয়। আপনাকে সঠিক পথ ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার অর্থ আয়ের পথ সুগম করতে হবে। তবে আপনি আপনার মুদ্রাস্ফ্রিতি বৃদ্ধিকে কখনোও ছোট করতে পারবেন না। আপনাকে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করতে হবে কি করে আপনার ব্যবসায় মুদ্রাস্ফ্রিতি বৃদ্ধি করা যায়। প্রধানত টাকা উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবেই উদ্যোক্তারা ব্যবসা শুরু করে থাকেন।

একটি ব্যবসা শুরু করে আপনি অবশ্যই শতভাগ ব্র্যান্ডিং পন্য গুলো নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। মনে রাখবেন একটি ভাল ব্র্যান্ডই পারে আপনাকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে। তাছাড়া একটি ভাল ব্র্যান্ডের পন্যই আপনাকে সফল উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করতে পারে।

একটি ব্যবসা শুরু করে আপনি যাদের নিয়েই কাজ করতে চান না কেন, তাদেরকে নিয়েই কাজ করতে পারবেন। আপনার ব্যবসার সরবরাহকারী বা অংশীদার কারা হবে আপনি তাও  নির্বাচন করতে পারবেন। তবে যারা আপনার সাথে অত্যন্ত সততার সহিত কাজ করতে আগ্রহী তাদেরকেই আপনার পছন্দ করতে হবে। তাছাড়া যারা কাজ করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং পুরো কাজটাকে আনন্দের সাথে গ্রহণ করবে তাদেরকেই আপনাকে বেছে নিতে হবে। তবে তারা যাতে আপনার সাথে মানান সই হয় সেই দিকেও আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আপনি যখন আপনার ব্যবসায় সফল হবেন তখন আপনি সত্যিই অনেক আনন্দিত হবেন। তাই আপনার উচিত হবে আপনার সাফল্যকে সবার মাঝে ভাগ করা যাতে অন্যরাও তাতে আগ্রহী হয়। তবে আপনাকে আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য সঠিক পথকে বেছে নিতে হবে। আর এতেই আপনি একটি আনন্দময় জীবন উপভোগ করতে পারবেন।