পুঁজিবাজারে মূল কর্মকান্ড তিনটি

পুঁজিবাজারে মূল কর্মকান্ড তিনটি

পুঁজিবাজারে মূল কর্মকান্ড তিনটি

পুঁজিবাজারে মূল কর্মকান্ড তিনটি

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে করে প্রধানত ২ ভাবে লাভ হয়। যেমন কোম্পানি দেওয়া বোনাস এবং দ্বিতীয়টি হলো ক্যাপিটাল গেইন। ক্যাপিটাল গেইন মানে হচ্ছে, আপনি যেই দামে শেয়ার কিনবেন তার থেকে বেশী দামে বিক্রি করতে পারা।

যেমন আপনি একটা শেয়ার ১০ টাকায় কিনে ১২ টাকায় বিক্রি করে দিলেন তাহলে এই যে ২ টাকার পার্থক্য হলো তাই আপনার ক্যাপিটাল গেইন।

শেয়ার বাজারে একজন বিনিয়োগকারী মূলত তিনটি জিনিস করে। আসুন এ সম্পর্কে কিছুটা ধারনা নেওয়া চেষ্টা করি।

শেয়ার বাজার বা পুঁজিবাজারে মূল কর্মকান্ড তিনটি তা হলো শেয়ার কেনা, শেয়ার ধরে রাখা এবং শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া।

একজন বিনিয়োগকারী শেয়ার কেনে লাভ করার জন্য। কাঙ্ক্ষিত লাভ পেলে শেয়ার বিক্রি করে।

আবার অনেক সময় দাম বাড়ে না এই কারনে বিক্রি করে। অনেক সময় হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে অধিক লাভ হতে পারে এমন চিন্তা করে সে শেয়ার বিক্রি করে।

দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনেছে এটা বুঝতে পারলে সে শেয়ার বিক্রি করে। এখন লসে আছে আবার এই লস আরো বাড়তে পারে এই চিন্তা করে সে শেয়ার বিক্রি করে। এখন কথা হচ্ছে একজন ব্যক্তি এসব কারনে শেয়ার বিক্রি করে তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে শেয়ার কিনে কোন ব্যক্তি।

আমরা জানি যে কোন কেনা/বেচায় দুইটি পক্ষ থাকে, একজন বিক্রেতা অপরজন ক্রেতা। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে যেই ব্যক্তি অনেক কারন চিন্তা করে শেয়ার বিক্রি করলো, এখন যেই ব্যক্তি শেয়ার কিনলো সে কি চিন্তা করে কিনবে?

যেই ব্যক্তি ঐ শেয়ার কিনবে সে ঠিক বিক্রেতার উলটো চিন্তা করবে।

এখন যে কিনবে তার ধারনা বর্তমানের দামের চেয়ে এই শেয়ারের দাম আরো বাড়বে। কোম্পানি সামনে আরো ভালো ব্যবসা করবে। সামনে এই কোম্পানি ভালো বোনাস দিবে, এতে অন্য বিনিয়োগকারী এই শেয়ার কিনবে এবং দাম বাড়বে, ইত্যাদি নানা কারনে একজন ব্যক্তি শেয়ার কিনে। এখানে এই দুই ব্যক্তির মধ্যে যার এনালাইসিস বেশি ভালো কাজ করবে সে বেশী লাভবান হবে।

১ম ব্যক্তি ১০ টাকা দিয়ে শেয়ার কিনে ১২ টাকায় বিক্রি করলো, ২য় ব্যক্তি ১২ টাকায় কিনে ১৪ টাকায় বিক্রি করলো, ৩য় ব্যক্তি ১৪ টাকায় কিনে ১৫ টাকায় বিক্রি করলো এতে সবাই কম বেশী লাভ করেছে। এই অবস্তায় ১ম ব্যক্তি যদি ১৫ টাকায় সেল করতে পারত তাহলে তার বেশি লাভ হত, ঠিক তেমনি যে ১২ টাকায় কিনেছে সে যদি ১৫ টাকায় সেল করতো তাহলে তারও লাভ বাড়ত।

এখন যেই ব্যক্তি ১৫ টাকায় কিনলো এবং যদি দাম করে যায় তাহলে সে সাময়িক সময়ের জন্য লসে থাকবে। তার হাতে ২টা অপশন থাকবে। যেমন লসে বিক্রি করে অন্য শেয়ার কেনা যাতে এই লস রিকভার হয়ে যায়, ২য় অপশন হচ্ছে দাম কমলে আরো শেয়ার কিনে এভারেজ করে অপেক্ষা করা।

এখানে ১ম ব্যক্তি এবং শেষ বিনিয়োগকারী কিন্তু একই কোম্পানির শেয়ার কিনলো তবে আলাদা দামে। একজনের কাছে ১০ টাকায় কেনা গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে আরেকজনের কাছে ১৫ টাকায় কেনা গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে।

আরো পড়ুন-

আমরা যারা সাধারন বিনিয়োগকারী আছি তারা সব সময় চিন্তা করি, এই শেয়ার কিনে কত টাকা লাভ বা প্রফিট হতে পারে, খুব কম বিনিয়োগকারী চিন্তা করে এই শেয়ার কিনে কত টাকা লস হতে পারে।

আপনার লসের থেকে যদি লাভের সম্ভবনা বেশী মনে হয় তখনই শেয়ার কেনা উচিত। শেয়ার বাজারে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট করতে পারলে লাভ হতে বাধ্য।

তাই আপনি যেই শেয়ারই কিনেন না কেন, কত টাকা বাড়বে এর পরিকল্পনার চেয়ে কত টাকা কমতে পারে, কমলে কি করব, কতদিন বিনিয়োগ ধরে রাখব এই পরিকল্পনা করতে পারলে ইনশা আল্লাহ আমরা লাভবান হতে পারব। ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল – Bangla Preneur YouTube Channel