সফল হতে চাই কিন্তু কিভাবে

সফল হতে চাই কিন্তু কিভাবে /how to be successful

"<yoastmark

সফল হতে কে না চায়? সকলেরই সফল হওয়ার ইচ্ছে আছে, আকাঙ্খা আছে। কিন্তু চেষ্টা আছে কতটুকু? জীবনে সফল ব্যক্তিদের জীবনী বিশ্লেষন করলে আমরা লক্ষ্য করবো যে, সফল হওয়ার জন্য তাদের কোন বিশেষ অস্ত্র যদি থেকে থাকে তার নাম অদম্য চেষ্টা এবং সফল হওয়ার আকাঙ্খা।

কোন কিছুই তাদের আটকে রাখতে পারে নি, কোন বাঁধাই তাদের কাছে বাঁধা হয়ে উঠতে পারে নি। নিঃসন্দেহে সফলতা সহজলভ্য নয়, তবে সেটি নাগালের বাইরের কিছুইও নয়।

সফল হওয়ার জন্য প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ। ভেবে দেখুন আপনি প্রতিদিন কাজ করছেন, চেষ্টা করছেন, কোন একদিনের কারণেই আপনি হয়তো বড় কিছু অর্জন করতে পারলেন।

এখন প্রশ্ন হলো, সেই একটা বিশেষ দিনই কি বিশেষ এই ক্ষনটির সৃষ্টি করছে? উত্তর হলো, না! প্রতিদিনের একটু একটু চেষ্টা কারণেই আজ সফলতা অর্জন হয়েছে। পেছনের প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ।

সফলতার মূলত কোন সংঙ্গা নাই। সাধারণভাবে, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো বা স্বপপূরণকে সফলতা হিসাবে অভিহিত করা যায়।

সফলতা আসলে কি? সফলতা কেমন হওয়া উচিত?

আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপটে, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দৃষ্টিকোণের ভিত্তিতে বাড়ি, গাড়ি, পর্যাপ্ত টাকা, বিলাসিতার জীবনকে সফলতার পরিমাপক হিসাবে ধরা হয়। এটাই কি একমাএ ভিত্তি? 

মূলত সফলতা একেক জনের কাছে এক একরকম। মানুষ ভেদে সফলতার সংঙ্গা আলাদা আলাদা হয়।

যে মানুষের কাছে বই পড়া প্রিয়, তার কাছে বই ভর্তি একটি আলমারী মূল্য অনেক। তার এই অনুভ’তি একজন ক্রিকেটপ্রেমীর পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে খেলার মাঠ, ক্রিকেটের সরঞ্জাম বেশি অর্থবাহক। প্রতিটি ম্যাচ তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

এই দুজন মানুষের কাছে সফলতার সংঙ্গা এক নয়। সুতরাং ব্যক্তির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, স্বপ্ন, চাহিদা, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির উপর সফলতার ব্যাখা নির্ভর করে। তবে সফলতার জন্য কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।

যেমন, সফলতার অর্থ ব্যক্তি অনুসারে আলাদা আলাদা হলেও, সফল হতে গেলে আপনাকে পরিশ্রম করতেই হবে, এর কোন বিকল্প নেই।

সফল হওয়া সহজ কিছু না, কঠিন পরিশ্রমের পরই সফলতা আসে। সাধারণত কেউ সফল হলে আমরা বলি, ওর ভাগ্য সহায় ছিল। ভাগ্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে চেষ্টা না করলে ভাগ্যে সফলতা থাকলেও সেটি ধরা দিবে না। 

কথায় বলে, শিশু না কাঁদলে মাও শিশুকে দুধ দেয় না। সুতরাং আপনার চাহিদার জন্য, প্রথম আপনাকেই চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি চেষ্টা নাই করেন তাহলে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে কিভাবে সাহায্য করবে?

কেউ নিশ্চয় টাকা ভর্তি থলে বা কোন বাড়ি অথবা আপনার কাঙ্ক্ষিত কোন বিশেষ আসনে আপনাকে বসিয়ে দিবে না। আপনাকে পরিশ্রম করে, টিকে থাকার লড়াইয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করে সফল হতে হবে।

ধনী ব্যক্তিদের সন্তানদের প্রতি আমরা সাধারণত এই মন্তব্য করি, ওর কোন কষ্ট করতে হয় নি, পৈত্রিকসূত্রেই অনেক কিছু পেয়েছে, তাই ও আজ সফল। গল্পটি কি আসলেই এত সহজ? টাকা এক হাতে থাকে না, সর্বদাই ঘূর্ণায়মান।

অর্থ সুদীর্ঘ সময় ধরে রাখতে হলেও  মেধা ও পরিশ্রম প্রয়োজন।

আমরা সবাই জানি, ’বসে খেলে রাজার ভান্ডারও শেষ হয়ে যায়’।

সুতরাং তাদেরকেও পরিশ্রম করতে হয়, যেমন আপনাকে আমাকে সফল হওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। হয়তো পরিশ্রমের ধরন আলাদা, সময়ও কমবেশি লাগতে পারে, তবে চেষ্টা আর পরিশ্রমের সাথে কোন আপোষ নেই।

সব সফলতার পিছনে ব্যর্থতার গল্প থাকে। যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন সফলতা সত্যিই সোনার হরিণ, সহজে ধরা দেয় না।

আলিবাবার প্রতিষ্ঠিাতা জ্যাক মা’র নাম আমরা কমবেশি সবাই শুনেছি। রাতারাতি সফলতা তিনি চোখে দেখেন নি। বার বার ব্যর্থ হয়ে, আজ তিনি সবার কাছে আর্দশ। 

পথটা নিশ্চয় সহজ ছিল না। সাধারন অবস্থা থেকে উঠে এসে তিনি এখন সারাবিশ্বে মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠিত একটি মানুষ।

চীনের জাতীয় কলেজে ভর্তিরও জন্য বছরে মাত্র একবার সুযোগ দেওয়া হয়। তিন বার চেষ্টার পর জ্যাক মা সুযোগ পান ভর্তি হওয়ার। ৩ বছর লেগেছে শুধু ভর্তি হতে। হাভার্ডে ভর্তিরও জন্য ১০ বার চেষ্টা করেছেন তিনি, সফল হন নি একবারও।

চাকরির জীবনও তার জন্য সুখের ছিল না একটুও। ছোট বড় ৩০টির বেশি কোম্পানিতে আবেদন করলেও সাড়া মেলে নি।

কেএফসিতে কাজের জন্য আবেদন করেও লাভ হয়নি। এমন হয়েছে ২৩ জন চাকুরি আবেদন করেছে, ২২ জনই উত্তীর্ণ হয়েছে, বাদ পড়েছে মাত্র একজন, তিনি হলেন জ্যাক মা। মানুষটি কখনো থেমে যান নি।

লক্ষ্য স্থির রেখে চেষ্টা করেছেন বার বার। আর তাই তিনি আজ সফল, আপনার আমার আর্দশ।আরো পড়ুন – সাফল্যের জন্য জ্যাক মা-র ১০টি নীতি

আসুন জীবনে সফল হওয়ার সেরা কিছু উপায় জানার চেষ্টা করি

১। চেষ্টার কোন বিকল্প নেই

সফল হওয়ার জন্য চাই, লাগামহীন প্রচেষ্টা। ভাগ্যের জোরে আপনি সাময়িক ভাবে সফল হলেও, সফলতা ধরে রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।

ধরুন, এক ব্যক্তি একটি প্রোজেক্টে তার সহকর্মীর সাহায্যে ভাল করলেন, যিনি তার কাজের ৭০ ভাগই করে দিয়েছেন। সেই ব্যক্তি উক্ত প্রজেক্টেও কারণে বসের সুনজর পাওয়া সহ ব্যাপক সমাদৃত হলেন।

এখন বিষয় হল সেই ব্যক্তির উপর সকলের প্রত্যাশাও কিন্তু বেড়ে গেল। নিঃসন্দেহে তিনি একটি সুযোগ পেয়েছেন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার। এখন তার কাজই হল সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার। এ

কটু চিন্তা করলে আমরা বুঝতে পারবো, পরবর্তী সময়টি লোকটির জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। সহকর্মীটি নিশ্চয় রোজ রোজ তাকে সাহায্য করবে না, প্রত্যেকেরই নিজস্ব লক্ষ্য আছে, সফল হওয়ার চেষ্টা আছে।

জীবন বারবার সুযোগ দেয় না। মানুষটিকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তার প্রতি প্রত্যাশা পূরণের জন্য, তাকে এখন প্রতিনিয়ত নিজের জ্ঞান বাড়াতে হবে, শিখতে হবে, মূল কথা পরিশ্রম করতে হবে। ভেবে দেখুন জীবন তাকে একটি চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। এখন তার কাজ শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

২। থেমে যাওয়া চলবে না

জীবনে থেমে গেলে চলবে না। ইতিহাস যাচাই বাছাই করলে দেখবেন যে, সফল ব্যক্তিরা কখনোই থেমে থাকে নি। ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু নতুন উদ্যোমে আবার শুরু করেছে। ব্যর্থতা সবসময়ই কষ্টের।

সফল ব্যক্তিরা কি কষ্ট পায় নি?

এত পরিশ্রম করেও হেওে যাওয়াটা ,কষ্টের নিঃসন্দেহে। কিন্তু তারা কষ্ট আকঁড়ে পড়ে থাকে নি। ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করে নতুন আত্মবিশ্বাসের সাথে আবার কাজ শুরু করেছেন।

ব্যর্থতা হয়তো আপনার হাতে নেইা, তবে এই ব্যর্থতা আগলে আপনি কত সময় নষ্ট করবেন, সেটা আপনারই হাতে আছে। চাইলে আপনি সারা জীবন এক ব্যর্থতা আগলে কাটিয়ে দিতে পারেন, চাইলে সফলতার গল্প শোনানোর জন্য আবার পরিশ্রম করতে পারেন। পছন্দ আপনার!

৩। স্বপ্ন

স্বপ্ন দেখুন প্রাণ খুলে। আপনি যদি পাঁচতলা বড়ির মালিক হতে চান তাহলে আপনি হয়তো পাঁচতলা বাড়ি তৈরি করবেন। এর বেশি আপনি পারবেন না। কিন্তু যদি ১০ তলা বাড়ির স্বপ্ন দেখেন তাহলে সাত/আট তলা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।

পার্থক্য শুধু স্বপ্নের। বড় বড় স্বপ্নের কারনে আমাদের ছোট ছোট কত ইচ্ছে পূরণ হয়ে যায় আমরা নিজেরাই হয়তো বুঝতে পারি না। মানুষ তার স্বপ্নে সমান বড় হয়। বড় স্বপ্ন দেখুন, অন্যকেও উৎসাহিত করুন।

পড়ুন – স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে বাদ দিতে হবে এই ৫টি অভ্যাস

৪। লক্ষ্য

লক্ষ্য স্থির করতে ভুলবেন না। আপনি যদি না জানেন আপনি কোথায় যেতে চান, তাহলে আপনি সেখানে পৌঁছাবেন কিভাবে? আর কেউ বা আপনাকে পৌঁছে দিবে?

ধরুন আপনি বিকালে আড্ডা দিতে যাবেন। আড্ডার জন্য আপনি চায়ের দোকানে অনেক বন্ধুদের কাছে যাবেন না কি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ডের বাসায় যাবেন তার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।

বেস্ট ফ্রেন্ডের বাসায়র পথে কিছুটা গিয়েও আপনি ফিরে আসলেন আবার চায়ের দোকানে। সময় নষ্ট হল অনেকটা।

বাড়ি ফেরার তাড়া থাকার কারণে আপনি অল্প সময় চায়ের দোকানে থাকার সময় পেলেন। আপনার উদ্দেশ্য কিন্তু সফল হল না। আপনি যে রিল্যাক্স করতে চাইছিলেন সেটি কিন্তু পেলেন না।

শুধুমাত্র লক্ষ্য না থাকার দরুন, আপনি সুযোগ পেয়েও সেটি হাতছাড়া করতে বাধ্য হলেন। অতি সহজ একটি উদাহরণ দিয়ে এখানে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

সামান্য বিনোদনের জন্য যদি সিদ্ধান্ত এবং লক্ষের ভুমিকা এত বড় হয় তবে সফল হওয়ার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন।

আপনি কোথায় যেতে যান সেটি আপনি নিজে না জানলে, কেউ আপনাকে সেখানে নিয়ে যেতে পারবে না।

৫। পরিকল্পনা

পরিকল্পনাকে কখনোই ছোট করে দেখবেন না। বলা হয়ে থাকে, একটি সঠিক পরিকল্পনা যে কোন কাজকে ৮০ ভাগ এগিয়ে নিয়ে যায় এবং সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং কি করতে চাইছেন সেটি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে ভাবুন। বারবার প্রশ্ন করুন নিজেকে।

সম্ভাব্য ঝুঁকি ক্ষতিয়ে দেখুন এবং বাঁধা পেলে কি ব্যবস্থা নিবেন সেটিও চিন্তা করুন। যেকোন কাজর জন্য প্লান ১,,৩ রাখুন। বিপদে দ্রুত সিদ্ধান্ত সাহায্য করবে।

ধরা যাক, সালাম আর করিমকে একই পরিমান কাজ করার জন্য সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া হলে, করিম কাজ পেয়েই সাথে সাথে কাজ করা শুরু করে দিল এবং করতেই থাকল।

সালাম প্রথমে পরিকল্পনা করলো কি কি কাজ আছে এবং কিভাবে সেই কাজ করবে। এরপর কোনটার পর কোন কাজ করবে সেই সিদ্ধান্তও নিল।

অতঃপর কাজ শুরু করল। আপাতত দৃষ্টিতে সালাম একটু পিছিয়ে আছে মনে হলেও নির্দিষ্ট সময়ের সময়ের মধ্যে সালামের কাজ শেষ করার সম্ভাবনা এবং হাতে অতিরিক্ত সময় থাকার সম্ভাবনা বেশি। শুধুমাত্র পরিকল্পনার জন্য।

এলোমেলো কাজ করলে কাজটি সঠিক ভাবে করা যায় না, সময়ও লাগে অনেক। তাই পরিকল্পনা ভিত্তিক কাজের সাফল্য বেশি।

তবে পরিকল্পনার জন্য কত সময় ব্যয় করবেন সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সবসময় পরিকল্পনাই করে যান, কাজ না করেন তাহলে ফলাফল শূণ্য।

৬। আত্নবিশ্বাস

আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠুন। নিজের ওপর যার বিশ্বাস আছে, সেই পারে জয়ী হয়ে উঠতে। সাধারণ ভাবে চিন্তা করুন, ভাইবা বোর্ডে বা চাকুরি মৌখিক পরীক্ষাতে সবচেয়ে বেশি খেয়াল করা হয় স্মার্টনেস, যেটি প্রকাশ পায় আপনার আত্নবিশ্বাসের মাধ্যমে।

আপনি অনেক কিছু জানেন, কিন্তু সেটি কিন্তু অপরপক্ষের মানুষ বুঝতে পারবে না।

আপনাকে প্রতিটি সময় তার সামনে আপনার গুণগুলো মেলে ধরতে হবে।

আপনার যদি নিজের উপর বিশ্বাস না থাকে তবে অন্য কেউ কেন আপনার ওপর নির্ভর করবে। প্রথমেই বিশ্বাস করুন আপনি পারবেন।

এই পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে কিন্তু আপনার মত কেউ নাই। আপনি একক এবং আপনার তুলনা আপনি নিজেই। তাই নিজের ওপর কখনোই বিশ্বাস হারাবেন না।

দেখবেন, সেই ব্যক্তির ওপর কাজের মূল দাায়িত্ব আসে যে আত্নবিশ্বাসী, যেকোন চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম। বসেরা সাধারণত তাদের উপরই নির্ভর করে।

আপনি অনেক কাজ পারেন, করেন, কিন্তু আত্নবিশ্বাসী না হলে আপনি হয়তো কাজের দায়িত্ব পাবেন তবে কারো সুপারভিশনের মধ্যস্থতায়।

নিজের সবটা দিয়েও আপনি আপনার কাজের স্বীকৃতি নিশ্চয় অন্য কারো সাথে ভাগ করে নিতে চাইবেন না।

৭। ধৈর্য্য

ধৈর্য্য এমন এক জিনিস যা দেখতে হয়তো সুন্দর না, কদাকার কিন্তু তার ফল অনেক সুমিষ্টু। কখনোই ধৈর্য্য হারাবেন না। একদিনে কেউ সফল হয়নি, আপনিও হবেন না। সময় দিন নিজেকে। আজ না পারলেও, কাল আপনি পারবেন।

রোম একদিনে তৈরি হয়নি, আপনিও সফলতা এক দিনেই পাবেন না

টমাস আলভা এডিসন জীবনে যদি থেমে যেতেন, ধৈর্য্য ধারণ না করতেন তবে বৈদ্যুতিক বাতি আবিস্কারের এই খ্যাতি অর্জন করতে পারতেন না।

টমাস আলভা এডিসন আবিস্কার না করলে অন্য কেউ নিশ্চয় আবিস্কার করত এবং সফলতার শিরোপা সেই ব্যক্তিই অর্জন করত।

সুযোগ আমাদের সবার কাছেই আছে কিন্তু আমরা কতটা চেষ্টা করছি সেটিই হল মূল বিষয়।

ধৈর্য্য ধারণ করলে আপনিও হবেন সেরাদের সেরা।

সফলতা সহজ কিছু না, আবার অসম্ভবও নয়।

আপনার যতটুকু কাজ করবেন ততটুকুই ফল পাবেন। সফল ব্যক্তিদের কেউ কিন্তু সফলতা এনে দেয় নি। দিনরাত পরিশ্রম করে তবেই তাদের ললাটে ইঠছে বিজয়ীর মুকুট। সফলতার পরতে পরতে আছে ব্যর্থতার গল্প, আছে নানা তিক্ত অনুভুতি, ত্যাগস্বীকার।

যে ছেলেটি সময়ের সর্ব্বোচ ব্যবহার করে একগ্র চিত্তে কাজ করে যাচ্ছে, তার জয়ের হাসিটি নিশ্চয় অকারণে সময় নষ্ট করা ছেলেটির তুলনায় অনেক বেশি নিশ্চিত। আপনি যা দিবেন, তাই পাবেন কিন্তু কতটুকু দিবেন সেটি একান্তই আপনার সিদ্ধান্ত। ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসুন – Bangla Preneur