কিভাবে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সার্ভিসিং ব্যবসা শুরু করবেন

কিভাবে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সার্ভিসিং ব্যবসা শুরু করবেন

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সার্ভিসিং ব্যবসা

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সার্ভিসিং ব্যবসা

বিশ্বায়নের এই যুগে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। সাথে সাথে এই ব্যবসা শুরু করার সুযোগ তৈরী হচ্ছে। সারা বিশ্বে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য যেমন- ফ্রিজ, টিভি, রেডিও ইত্যাদি ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। তাই তরুণ উদ্যোক্তাদের এই ব্যবসার প্রতি আগ্রহও বাড়ছে।

 

সম্ভাব্য পুঁজি: এই ব্যবসাটি শুরু করতে হলে ২০০০০ টাকা থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত পুঁজি বিনিয়োগ করতে হবে। আপনি চাইলে এর চেয়ে বেশিও বিনিয়োগ করতে পারেন।

 

ইলেকট্রনিকস পণ্যের সার্ভিসিং সেন্টারের অবস্থান: আপনার নিকটস্থ বাজারে ছোট একটি দোকান নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোন জনাকীর্ণ স্থান নির্ধারণ করা জরুরী।

 

কিভাবে শুরু করবেন: যে কোনো ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে আপনাকে ছোট কাজদিয়ে শুরু করতে হবে। আপনি যখন ইলেকট্রনিকস পণ্যের সার্ভিস ব্যবসাটি শুরু করবেন তখন আপনাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছোটখাট যন্ত্র যেমন: কমপেশার ও বিভিন্ন পার্টসপাতির সমস্যা সমাধানের কাজগুলো করতে পারেন। তারপর দেখা যাবে  গ্রাহকের আস্থা অনুযায়ি আপনি বড় ধরনরে কাজ করতে পারবেন যেমন : রেফ্রিজারেটর, ডিভিডি, রেডিও, সিলিং ফ্যান ইত্যাদি। তাছ্ড়া বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ খুচরা বিক্রি করেও এই ব্যবসাটি পরিচালনা করা যায়।

 

কেন এই ব্যবসা শুরু করবেন: এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় এই ব্যবসার প্রতি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে। এই ব্যবসায় কম পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি চাইলে একটি স্মার্ট ক্যারিয়ার গঠনের লক্ষ্যে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

 

এই ব্যবসার বর্তমান বাজার: ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এই সারা বিশে^ দিন দিন এই ব্যবসার বিশাল বাজার তৈরী হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই ব্যবসা আরো প্রসারিত হবে।

 

টার্গেট গ্রাহক: ইলেকট্রনিকস পণ্যের সার্ভিস সেন্টারে আসবে সেই সব গ্রাহক যারা বৈদ্যুৎচালিত বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে।

 

যোগ্যতা: যে কোনো ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে সে ব্যবসায়ের উপর অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের উপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আপনি এই ব্যবসাটি সহজেই শুরু করতে পারেন।

 

সম্ভাব্য লাভ: ইলেকট্রনিকস পণ্যের সার্ভিসিং ব্যবসাটিতে লাভের পরিমান বেশি। এই ব্যবসাটির মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ১৫০০০ টাকা থেকে ৩০০০০ টাকা আয় করতে পারেন।