ছোট জেলা শহরে শুরু করা যায় এমন ৬টি লাভজনক বিজনেস আইডিয়া

৬টি লাভজনক বিজনেস আইডিয়া

ছোট জেলা শহরে শুরু করা যায় এমন ৬টি লাভজনক বিজনেস আইডিয়া

৬টি লাভজনক বিজনেস আইডিয়া ছোট জেলা শহরে শুরু করা যায়

ছোট জেলা শহরে ব্যবসা শুরু করার সব থেকে বড় কারন তুলনামূলক প্রতিযোগীতা কম। আপনি যদি ছোট জেলা শহরে ব্যবসা শুরু করতে চান তবে আপনার একটি লাভজনক এবং গ্রাহকের সমস্যার সমাধান হয় এমন একটি বিজনেস আইডিয়া খুঁজে পেতে হবে।

এছাড়া আপনাকে যথেষ্ট মার্কেট রিসার্চ করতে হবে। একটি ব্যবসা যত কারনে ব্যর্থ হতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারন মার্কেট রিসার্চ না করা। আসুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই যে ৬টি লাভজনক ব্যবসা ছোট জেলা শহরে শুরু করা যায়।

১। বেকারি ব্যবসা

বেকারি ব্যবসা শুরু করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং তবে লাভের দিক থেকে এই ব্যবসা বেশ জমজমাট। এই ব্যবসা শুরু করতে হলে ব্যবসার জন্য সুন্দর একটি নাম নির্বাচন করতে হবে।

এছাড়া ব্যবসায়ের পরিকল্পনা লিখতে হবে, পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি এবং আপনার ব্যবসায়ের জন্য সঠিক সরঞ্জাম কিনতে হবে। ব্যবসাটি শুরু করার আগে আপনাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বিভিন্ন বেকারি নিয়ে রিসার্চ করতে হবে।

সাধারনত বেকারি দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন; খুচরা ও পাইকারি বেকারি। যদিও এই দুই ধরণের বেকারির পণ্য প্রায় একই কিন্তু বিক্রয় পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে আলাদা।

২। বিবাহের ফটোগ্রাফী

এই ব্যবসা কম খরচে শুরু করা যায় এবং এটি একটি সেবা ভিত্তিক ব্যবসা যা আপনি একটি ছোট শহরে শুরু করতে পারেন।

একজন বিবাহের ফটোগ্রাফার সাধারনত ছবি তোলার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে টাকা আয় করে।

আপনার দক্ষতা ও গ্রাহকের বাজেট অনুযায়ী একটি পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে হবে।

প্রাথমিক অবস্থায় আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের কাজ করতে পারেন এবং আপনার তোলা সেরা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে বাইরের গ্রাহক আকৃষ্ট করতে পারেন।

বিস্তারিত পড়ুন বিবাহ ফটোগ্রাফার হিসেবে সফল হতে কিছু পরামর্শ

৩। ছোট আকারে সুপার শপ

ছোট জেলা শহরের জন্য এটি একটি অন্যতম লাভজনক ব্যবসা। এমনকি খুচরা খাতের সেরা ব্যবসা নাম সুপার শপ ব্যবসা।

এই ব্যবসাটি শুরু করতে আপনাকে হয়ত প্রাথমিক পর্যায়ে বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে।

এছাড়া ব্যবসার লোকেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জেনে নিন যেভাবে ছোট পরিসরে সুপার শপ ব্যবসা শুরু করবেন

৪। ফার্নিচার ব্যবসা

এই ব্যবসাটি একটু ধীর গতির ব্যবসা হলেও ঝুঁকি তুলনামূলক খুবই কম।

বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় প্রতিটি জেলা শহরই বেশ আধুনিক হচ্ছে এবং সেই সাথে বাড়ছে মানুষের শৌখিনতা।

ফার্নিচার ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যেখানে প্রয়োজন এবং শৌখিনতা উভয়ই রয়েছে।

মান সম্মত ডিজাইন এবং গ্রাহকের সাথে ভালো ব্যবহার আপনার এই ব্যবসাকে সফল করতে পারে।  

৫। ফাস্ট ফুড শপ

মাঝারি বিনিয়োগে অন্যতম সেরা একটি ব্যবসা হতে পারে ফাস্ট ফুড শপ।

লোকসমাগম বেশী হয় এমন এলাকায় আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ফাস্ট ফুড ব্যবসায় জায়গা নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষ করে রাস্তার মোড়, কলেজ, স্কুল, ইউনিভার্সিটি এলাকায় আপনি ছোট দোকান ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসা করতে পারেন।  

পড়ুন – যেভাবে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান শুরু করবেন

৬। দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র

একটি ছোট্ট শহরে এই ব্যবসাটি বেশ লাভজনক হতে পারে। একটি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র ক্লায়েন্টদের নতুন প্রযুক্তিগত দক্ষতা শেখার সুযোগ দেয়।

আপনি যেই বিষয়ে এক্সপার্ট সেই বিষয়েই আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি যদি SEO বা search engine optimization এ দক্ষ হয়ে থাকেন তবে আপনি SEO ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স করাতে পারেন।

আপনি যদি Public Speaking এ দক্ষ হয়ে থাকেন তবে গ্রাহকদেরকে Public Speaking শিখাতে পারেন।

মূল কথা আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করেই একটি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র খুলতে হবে। আপনার যত বেশি গ্রাহক থাকবে, আপনি তত বেশি শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবেন এবং আপনার ব্যবসায়টি তত বেশি ভালো চলবে। এই ব্যবসায়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাকে লাভ পেতে কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।

– কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব এ আমি