সম্পদশালী হতে চাইলে বিনিয়োগের বিকল্প নেই

বিনিয়োগের বিকল্প নেই

বিনিয়োগের বিকল্প নেই

বিনিয়োগের বিকল্প নেই

জ্ঞান, মানসিক শান্তি, ধন-সম্পদ, সামাজিক অবস্থা, এবং মানুষের ভালবাসা এই ৫টি জিনিষ যার মধ্যে থাকে তাকে সফল বলা হয়। এর মধ্যে ধন-সম্পদ অন্যতম একটি উপাদান। ধন-সম্পদ বানাতে এবং তা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগের বিকল্প নেই।

 

আমাদের আধুনিক বিশ্বে অর্থ উপার্জনের দুটি উপায় রয়েছে। প্রথম উপায় নিজের জন্য কাজ করে অর্থ উপার্জন করা বা অন্যের হয়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করা। অর্থ উপার্জনের দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে বিনিয়োগ করা। এই বিনিয়োগ কোন কোন ক্ষেএ Passive Income হতে পারে।

 

বিনিয়োগ কি?

ভবিষ্যতে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন কিছুতে অর্থ ব্যয় করাকে বিনিয়োগ বলে। বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত সুবিধাটিকে রিটার্ন বলা হয়। বিনিয়োগ করার অনেক রাস্তা রয়েছে। যেমন, শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, মূল্যবান ধাতু, রিয়েল এস্টেট, ছোট বড় ব্যবসা ইত্যাদি।

 

বিনিয়োগ করার মুখ্য উদ্দেশ্য ভবিষ্যতের জন্য টাকা ইনকামের একটি পথ খোলা রাখা। তবে একজন ব্যক্তির বিনিয়োগের লক্ষ্যগুলি তার আয়, বয়স এবং ঝুঁকি সহনশীলতার উপর নির্ভর করে।

 

কেন বিনিয়োগ করবেন

আজকে যারা সফল হয়েছে তাদের সাফলতার পিছনে বড় ভূমিকা পালন করে তাদের বিনিয়োগ। এছাড়া সম্পদশালীরা তাদের অর্থ ধরে রাখতে পারে কেননা তারা বিনিয়োগ করে। আসুন জেনে নেই বিনিয়োগ করার কিছু কারন। পড়ুন – যে ৮ কারনে ধনীরা তাদের সম্পদ ধরে রাখতে পারে

 

বিনিয়োগ টাকা বৃদ্ধি করে।

বিনিয়োগ করার অন্যতম প্রধান কারন টাকা বৃদ্ধি করা। বেশীর ভাগ বিনিয়োগ মাধ্যম যেমন বিভিন্ন কোম্পানি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, জমি কেনা ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদে আপনার অর্থের উপর রিটার্ন দেয়। পড়ুন – কেন শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করবেন 

 

তবে বিনিয়োগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ঝুঁকি গ্রহন করা। ঝুঁকি গ্রহন না করে আপনি যদি ফিক্সড রেটে বিনিয়োগ করেন তবে তা তখন প্রকৃত বিনিয়োগ বলা যাবে না, কেননা ফিক্সড রেটে বিনিয়োগ করা মানে আপনি সুদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেলেন। আর সুদ খাওয়া কখনই ভাল না। আমি বিশ্বাস করি আপনি কখনই সুদের টাকার উপর ভিত্তি করে সফল হতে চাইবেন না।

 

আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন।

আর্থিক স্বাধীনতা বলতে যথেষ্ট টাকা পয়সা থাকাকে বোঝায় যার মাধ্যমে আপনি ও আপনার পরিবার সুখ ও সাচ্ছন্দের মধ্যে থাকতে পারেন। এই আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে চাইলে বিনিয়োগের মাধ্যমেই আপনার সম্পদ বাড়াতে হবে। 

টাকা সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তা করুন

 

ব্যবসা শুরু করার মূলধন।

বিনিয়োগ করার পূর্বশর্ত সঞ্চয় করা এবং ব্যবসা করার পূর্বশর্ত মূলধন যোগাড় করা। এই মূলধন পাওয়ার সহজ উপায় বিনিয়োগ করা।

 

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।

আমাদের দেশে ১০ বছরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রায় ২৫%। অর্থাৎ যেই পণ্যের দাম ২০১০ সালে ছিল ১০০ টাকা এখন ২০২০ সালে সেই পণ্যের দাম ১২৫ বা তার বেশী টাকা। তাই এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে টাকা বাড়াতে হলে বিনিয়োগের বিকল্প নেই।

 

অবসর জীবনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা।

অবসর জীবন আপনি কেমন কাটাতে চান তা নির্ভর করবে আপনার বিনিয়োগের উপর। কেননা আপনি অবশ্যই চাইবেন না অন্য কারো অনুগ্রহ হয়ে থাকতে। তাই সঠিক সময়ে বিনিয়োগে করে নিজের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করতে বেশী দেরি করবেন না। ধন্যবাদ! কে এম চিশতি সিয়াম // ইউটিউবে আমি