সফল উদ্যোক্তা হতে ৮ টি সেরা পরামর্শ

সফল উদ্যোক্তা হতে ৮ টি সেরা পরামর্শ

সফল উদ্যোক্তা হতে ৮ টি সেরা পরামর্শ

সফল উদ্যোক্তা হতে ৮ টি সেরা পরামর্শ

অনেকেরই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন থাকে। কিন্তু পর্যাপ্ত সহায়তা ও পরামর্শের অভাবে তা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই আমরা নতুন উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কিছু পরামর্শ নিয়ে এসেছি। এখানে আমরা যে ৮ টি পরামর্শ অনুসরণ করে সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠা যেতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করব। নিচে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সঠিক ব্যবসা পরিকল্পনা

যে কোন ব্যবসায়িক সাফল্যের ক্ষেত্রে ব্যবসার পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ব্যবসার পরিকল্পনা হলো- একটি ভালো জায়গায় ব্যবসা শুরু করা, নিজের দক্ষতা ও দুর্বলতা গুলো নির্ধারণ করা, আপনি কি প্রদান করছেন, আপনার পণ্য বা পরিষেবাটি কতটা অনন্য ইত্যাদি।

তাছাড়া কোন ভুল বা সমস্যায় পতিত হলে কিভাবে সমস্যা সমাধানে মানসিক ও বাস্তবিক ভাবে প্রস্তুত হবেন সেটিও ব্যবসা পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আহত হলে কি হবে? গ্রাহক যদি এক মাস দেরী করে আপনার পাওনা পরিশোধ করে তাহলে কি হবে? আবহাওয়া বা কোন দুর্যোগ যদি আপনার ব্যবসাকে প্রভাবিত করে তাহলে কি হবে? অথবা কোন বিশ^স্ত সরবরাহকারী যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে কি হবে ? ইত্যাদি।

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্ততি

অধিকাংশ নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রেই নগদ প্রবাহটি ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর আপনি যদি ঋণ নিয়ে আপনার ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার নগদ প্রবাহের বেশির ভাগ অর্থই ঋণ পরিশোধ করতে খরচ হয়ে যেতে পারে। তাই ব্যবসা শুরু করার পূর্বে যে কোন উদ্যোক্তাকে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করতে হবে।

মিতব্যয়ী হোন

অভিনব অফিস, ব্যয়বহুল সরঞ্জাম, শীর্ষ বিপণন ছোঁয়া ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। আপনার ব্যবসাটি আপনার জীবনযাত্রার মানের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে। তাই ব্যবসার স্বার্থে যতটা সম্ভব কম খরচ করুন। এর ফলে আপনার ব্যবসার নগদ প্রবাহের উপর কম চাপ পড়বে।

সাহায্যের জন্য জিজ্ঞাসা করতে ভয় পাবেন না

বর্তমানে নেটওয়ার্কিং, জ্ঞান আরোহণ ও পরামর্শ চাওয়ার জন্য প্রচুর সংস্থান রয়েছে। নেটওয়ার্কিং শুধু মাত্র নতুন ব্যবসার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি বিস্ময়কর সমর্থনের উৎস ও ফ্রেস ধারণা পাওয়ার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার আশপাশের লোকদের নিকট হতেও সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না। পাশাপাশি আপনার এলাকার বা সম্পদায়ের বিভিন্ন অনলাইন ফোরাম ও ফেইসবুক গ্রুপ গুলোতেও যে কোন সহযোগিতা চেয়ে পোস্ট করতে পারেন।

বিশ্বস্ত পরামর্শদাতাদের উপর বিশ্বাস রাখুন

পরিবারের সদস্য, সাবেক বস বা সহকর্মী অথবা কোন বিশ^স্ত অনলাইন ফোরাম কিংবা ব্লগও আপনার পরামর্শদাতা হতে পারে। একজন বিশ^স্ত পরামর্শদাতা যে কোন উদ্যোক্তার জন্য অমূল্য সম্পদ হতে পারে। যার সাথে আপনি নিয়মিত যোগাযোগ করতে পারবেন। একজন পরামর্শদাতা আপনার ভয় গুলো জয় করতে সহায়তা করতে পারে।

কম বাজেটে বিপণন

নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে বিপণন খুবই গুরত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছুতেই অতিরিক্ত খরচ করা যাবে না। এক্ষেত্রে সামাজিক মিডিয়া গুলোতে বিজনেস পেইজ তৈরি করে আপনার বন্ধুরা আপনাকে বিনামূল্যে সহযোগিতা করতে পারে।

তাছাড়া আপনি গুগল কিংবা বিং- সার্চ ইঞ্জিনে বিনামূল্যে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক সাবমিট করতে পারেন। পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন জনপ্রিয় ফেইসবুক গ্রুপে নজর দিতে পারেন। যদি সেখানে ফ্রিতে বিপণনের সুযোগ থাকে তাহলে সে সুযোগটি গ্রহণ করতে পারেন। আরো পড়ুন – যে ৯টি গুনাবলী উদ্দ্যোক্তার সাফল্য বয়ে আনে

একটি টিম তৈরি করুন

মহান মানুষরাই একটি মহান কোম্পানি তৈরি করতে পারে। তাই কর্মী নিয়োগের সময় সেরা মানুষদেরকেই নিয়োগ করুন। তারা আপনার ব্যবসার বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। সব সময় তাদের ভালো পরামর্শ ও মতামত গুলো গ্রহণ করুন।

শিখুন

নিজের ব্যবসা শুরু করা মানেই বৃদ্ধি ও শেখার একটি ক্রমাগত প্রক্রিয়া। ব্যবসা শুরু করার পরে ব্যবহারিক ও মানসিক দক্ষতা দ্বারা নিজেকে সমৃদ্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনাকে আপনার প্রকল্প গুলো পরিচালনা করতে, নতুন সফটওয়্যার পরিচালনা করতে কিংবা সামজিক মিডিয়া পেইজ গুলো পরিচালনা করতে প্রতিনিয়ত শিখতে হবে। তাছাড়া ব্যবস্থাপনা, উপস্থাপনা ও প্রেরণামূলক দক্ষতা আরোহণ করার জন্যও শিখতে হবে।