সফল উদ্যোক্তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখে নিন আপনার মধ্যে আছে কিনা

সফল উদ্যোক্তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য

সফল উদ্যোক্তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য

সফল উদ্যোক্তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য

আমরা ইতিপূর্বে উদ্যোক্তা কি ও এবং উদ্যোক্তার গুন সম্পর্কে জেনেছি। আসুন এবার জেনে নেই সফল উদ্যোক্তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সমূহ। আশা করছি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি উপকৃত হবেন।

যা করতে মন চায় একজন উদ্যোক্তা তাই করেন। এটি সফল উদ্যোক্তাদের অন্যতম সাধারণ বৈশিষ্ট্য। যেই ব্যবসা বা কাজ করতে আপনি ভালবাসবেন সেই ব্যবসাই শুরু করুন। আরো পড়ুন- নতুন ব্যবসা ব্যর্থ হতে পারে যে ৫ টি কারনে

যা করতে চায় তা গুরুত্ব সহকারে করেন।  যেকোন কাজ বা ব্যবসা শুরু করতে হবে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে। সফল ব্যাক্তি একদিনে সৃষ্টি হয় না তা মনে রেখে আপনার ব্যবসা বা কাজ যাই করবেন তা মনোযোগ ও গুরুত্ব দিয়েই করুন।

যেই বিষয়ের উপর কাজ করতে চায় না জেনে বুজে করেন। যারা সফল উদ্যোক্তা সব সময় জেনে বুজে একটি ব্যবসার ধারনা নিয়ে আসে। সুবিধা ও অসুবিধা কি তা জেনে নেয়। কিভাবে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে তাও জেনে নেয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেন। পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজই সফল ভাবে করা সম্ভব হয় না। সঠিক ব্যবসার পরিকল্পনা ব্যবসাকে আরো বেগমান করে তুলে। আরো পড়ুন – ব্যবসার জন্য বিজনেস প্ল্যান যেভাবে সাজাবেন।

টাকার সঠিক ব্যবহার করেন। কত টাকা নিয়ে ব্যবসা করতে চান তা জেনে নিন। কখন, কিভাবে, কত টাকা, কোথায় খরচ হবে তার পরিকল্পনা করে রাখুন। টাকা সঠিক ব্যবহার উদ্যোক্তার অন্যতম সাধারণ বৈশিষ্ট্য।

মার্কেটিং এর প্রতি সব থেকে বেশী গুরুত্ব দেয়। আপনি যত বড় উদ্যোক্তার শুরুর জীবন দেখবেন তখন দেখবেন যে কিভাবে কতটা সময় নিয়ে তারা মার্কেটিং এ সময় দিয়েছে। এখন সফল উদ্যোক্তার অন্যতম সাধারণ বৈশিষ্ট্য মার্কেটিং এ সব থেকে বেশী গুরুত্ব দেয়।

গ্রাহকে বেশী কদর করেন। গ্রাহক ছাড়া ব্যবসার এক পয়সাও দাম নেই। আপনার অনেক সুন্দর পণ্য আছে কিন্তু গ্রাহক নেই তাহলে আপনার সেই পণ্যেরও দাম নেই। বেশী পরিমান গ্রাহক পেতে চাইলে গ্রাহকে সব থেকে বেশী কদর করতে হবে।

এছাড়াও সফল উদ্যোক্তাদের যেসব সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে তা নিন্মরুপঃ

  • নিজেকে একজন বিক্রেতা হিসাবে দাবি করেন।
  • সব সময় পজিটিভ চিন্তা করেন।
  • কিভাবে গ্রাহক পাবে তার উপর গবেষণা করেন।
  • প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করেন।
  • দক্ষ কর্মী বাহিনী নিয়োগ করেন।
  • সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে সঠিক ধারনা রাখেন।
  • নিজেকেই (সময় ও শ্রম) বিনিয়োগ করেন।
  • যেকোন পরিস্থিতে সঠিক সিন্ধান্ত নিতে সময় কম নেয়।
  • সুনামের দিকে গুরুত্ব দেয়।
  • নিজের ও কর্মীদের সুবিধা দেখেন।
  • নিজেকে কাজে বিলীন করে দেন।
  • আলোচনার বা মুলামুলি করতে পারেন
  • নিজেকে ও কর্মীদের সংগঠিত রাখতে পারেন।
  • সময়ের প্রতি বিশেষ যন্তশীল।
  • পোশাকের প্রতি যন্তশীল।
  • প্রতিনিয়ত কাজ করার মানসিকতা রাখেন।