শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ইচ্ছুক নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু পরামর্শ

Stock Market এ নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু পরামর্শ

শেয়ার বাজারে একজন নতুন বিনিয়োগকারী হিসাবে আপনার প্রাথমিক লক্ষ্য থাকা উচিত বাজার বুজতে পারা। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ যে কারো জন্য একটি বাড়তি আয়ের মাধ্যম হতে পারে। আমাদের দেশে অন্য যে কোন বিনিয়োগের চেয়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগে প্রত্যাশিত রিটার্ন বেশী পাওয়া যায় এবং সেই সাথে ঝুঁকির পরিমানও এইখানে বেশী।  

শেয়ার বাজার থেকে মুনাফা অর্জন করা মোটেই সহজ নয়। আর নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও কঠিন হয়ে যায়। আজকের এই সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ইচ্ছুক নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু পরামর্শ তুলে ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করছি।

১। শেয়ার মার্কেট বুঝতে হবে

প্রাথমিক অবস্থায় শেয়ার বাজার থেকে লাভ করার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট বুজতে পারা। শেয়ার বাজার অনেক বড় একটি বিষয়। এইখানে অনেক কিছু শেখার আছে, অনেক কিছুই জানার আছে। আপনি যখন আপনার জ্ঞান বাড়াতে পারবেন তখন আস্তে আস্তে প্রফিটও করতে পারবেন।

২। কত টাকা বিনিয়োগ করবেন তা আগে নির্ধারণ করুন – Decide how much you want to invest 

এই জায়গায় আমরা অনেকই ভুল করি। অনেক সময় আমাদের হাতে থাকা সব টাকা দিয়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করি।

যা আমাদের রিস্ক বা ঝুঁকি অনেকগুন বাড়িয়ে দেয়। আপনাকে এমন টাকাই বিনিয়োগ করতে হবে যা আপনার সামনের ১ বছরে এই টাকার দরকার পড়বে না।

ধরুন আপনার হাতে এখন ১ লক্ষ টাকা জমানো আছে এবং এই টাকা দিয়ে আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চান। এই ক্ষেএে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, সামনের ১ বছরে এই টাকাটা আপনার দরকার পড়বে না।

৩। লোন নিয়ে কখনই শেয়ার কিনবেন না

লোন নিয়ে শেয়ার কেনা মানে হচ্ছে আপনাকে লাভ করতেই হবে বরং শুধু লাভ না, লাভের পাশাপাশি আপনাকে সুদের টাকাও দিতেই হবে।

অনেক বড় এক্সপাটরাও এই ভুল করেন না, তাই আপনাকেও এই ভুল করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।  

৪। ধৈর্যশীল হতে হবে – Be patient

শেয়ার বাজারে যারা তাড়াহুড়া করে তাদের টাকা ধৈর্যশীলদের পকেটে যায়। আপনি আজকে কিছু টাকার শেয়ার কিনলেন এবং দুই দিন পরই সেই টাকা লাভসহকারে ফেরত পাওয়ার আশা করতে পারেন না।

কারন এটি একটি বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগের অন্যতম পূর্বশর্ত আপনাকে টাকার পাশাপাশি সময়ও বিনিয়োগ করতে হবে। পড়ুন – শেয়ার বাজারে ইনভেস্টর সাইকোলজি

৫। এক কোম্পানিতে সব টাকা বিনিয়োগ করা যাবে না

আপনি যত ভালই এনালাইসিস করেন না কেন, কখনই এক কোম্পানিতে সব টাকা বিনিয়োগ করবেন না। এতে ঝুঁকি অনেক বেশী থাকে। এছাড়া যত টাকা আপনি বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন তা একবারে বিনিয়োগ করবেন না।

আমি বিশ্বাস করি, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার ক্ষেএে প্রথমে কত টাকা বিনিয়োগ করব তা ঠিক করে নিব। এর পরে সেই টাকাকে ৩ ভাগে ভাগ করব এবং পালাক্রমে আস্তে আস্তে বিনিয়োগ করব।

এতে ঝুঁকি কিছুটা কমানো যেতে পারে। ধরুন, আমি ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের সিন্ধান্ত নিলাম। এখন আমি সেই টাকা ৩ ভাগ করব,এতে প্রতি ভাগে ৩৩ হাজার ৩শত ৩৩ টাকা করে পড়বে।

এবার আমার নির্ধারিত শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগ করা শুর করব। এই ভাগে বিনিয়োগ করলে অনেকটাই ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। জানুন – ভাল কোম্পানি মানেই কি ভাল শেয়ার?

৬। বিনিয়োগ শুরু হোক মিউচ্যুয়াল ফান্ড দিয়ে – invest in mutual fund 

সাধারন শেয়ার থেকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা নিরাপদ বেশী। যেহেতু আপনি মার্কেটে নতুন এবং আপনার প্রাথমিক লক্ষ্য শেয়ার মার্কেট বুজতে পারা, তাই আপনি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে আপনার যাত্রা শুরু করতে পারেন।