যে কোন কাজে স্মার্ট হতে হবে

যে কোন কাজে স্মার্ট হতে হবে

যে কোন কাজে স্মার্ট হতে হবে

যে কোন কাজে স্মার্ট হতে হবে

কখনও কখনও আমাদের মনে হতে পারে আমরা সারাদিন ননস্টপ কাজ করে যাচ্ছি, কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল পাচ্ছি না। আপনি খেয়াল করে দেখবেন কিছু মানুষ খুবই পরিশ্রমী, তাদের পরিশ্রম করা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু তারা সফলতা লাভ করতে পারছে না, এর অন্যতম প্রধান কারন তারা কাজটি সঠিক উপায়ে করতে পারছে না।

কঠোর পরিশ্রম আর স্মার্ট পরিশ্রম কখনই এক বিষয় না। আসুন জেনে নিই কিভাবে স্মার্ট উপায় অনুসরন করে কাজে সফলতা লাভ করা যায়।

বড় লক্ষ্য নির্ধারণ

জীবনে সফল হতে চাইলে আপনার বড় একটি লক্ষ্য থাকতেই হবে। অনেকেই বড় লক্ষ্য নির্ধারণে ভয় পায়, আপনাকে সেই অহেতুক ভয় এড়িয়ে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, যারা ভিতু তারা বড় লক্ষ্য সেট করতে পারে না।

বড় লক্ষ্য নির্ধারণ হয়ে গেলে সেই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্য লক্ষ্যকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি আগামী ৫ বছরের মধ্যে একটি গাড়ি কিনতে চান।

এই ক্ষেএে প্রথমে আপনাকে একটি সম্ভাব্য বাজেট ঠিক করতে হবে। যেহেতু আপনি আপনি জানেন, আপনার হাতে ৫ বছর অর্থাৎ ৬০ মাস সময় রয়েছে, এবার আপনাকে প্রতি মাসে টাকা আয় ও বিনিয়োগে মনোযোগী হতে হবে।

 

নিয়মিত পরিকল্পনা করুন

প্রতি রাতে কিছু সময় নিয়ে আগামীকালকের একটি তালিকা বানিয়ে নিন। আপনার বড় লক্ষকে সফল করার জন্য আগামীকাল কি পদক্ষেপ নিবেন তা আজকে ঠিক করে রাখতে হবে। এতে আপনি একটি রুটিন অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন।

 

অগ্রাধিকার

প্রতিদিনের সকল কাজই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনার জন্য যেই কাজটি বেশী গুরুত্বপূর্ণ তা আগে শেষ করার চেষ্টা করুন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করলে  কম সময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি শেষ করা যায়।

 

কাজে সময়সীমা নির্ধারণ করুন

যে কোন কাজ শুরু করার আগে আপনাকে ঐ কাজের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। যে কোন ভাল সিন্ধান্ত ও কাজ তখনই সঠিক ভাবে শেষ করা যায় যখন তার জন্য একটি সময়সীমা থাকে।

 

সময়ের চেয়ে তার ফলাফলে বেশী গুরুত্ব দিন

একটি কাজে যদি অনেক সময় লাগে কিন্তু সেই কাজটি যদি নিখুত ভাবে শেষ করা যায় তবে আমি বিশ্বাস করি সময়ের চেয়ে তার ফলাফলে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। কাজটি এতটাই নিখুঁত করুন যাতে আপনাকে ঐ কাজটি করার জন্য আবার সময় বের করতে না হয়।

 

না বলতে শিখুন

নিজের সক্ষমতার বাইরে সব কাজে হ্যাঁ বলবেন না। অনেক সময় না বললে আপনার জেল জরিমানা হবে না।

যেমন ধরুন, আপনার আড্ডা বেশী দেওয়ার অভ্যাস আছে, কোন এক কারনে আপনি বুজতে পারলে অতিরিক্ত আড্ডা আপনাকে লক্ষ্যে যেতে বাঁধা দিচ্ছে। তাই আপনি আপনার এই অতিরিক্ত আড্ডাকে গুডবাই বলে দিতে পারেন, কেননা এতে আপনার কোন আপনার জেল জরিমানা হবে না।

 

সব কাজ নিজে একা করবেন না

আমরা সবাই সব কাজে দক্ষ না, যারা স্মার্ট তারা সব কাজ একা করে না। কারন এতে ভাল ফলাফল অর্জন করা যায় না। সফল হওয়ার উদ্দেশ্যে অন্যকে আপনার কাজে লাগাতে হবে। মুখের কথা দিয়ে হোক বা টাকা দিয়ে অন্যের দক্ষতা নিজের কাজে লাগাতে হবে।

 

কাজের রিভিউ করুন

একটি লক্ষ্য নির্ধারণ হয়ে গেলেই কাজে মনোযোগ দিতে হবে, তবে কিছু দিন পর পর আপনি সঠিক পথে হাঁটছেন কিনা না নিশ্চিত হওয়ার জন্য কাজের রিভিউ করতে হবে। এতে ভুল হলে তা শুধরানোর সুযোগ থাকবে।

 

ফোন ব্যবহারের একটি সময় নির্ধারণ করুন

আপনার সোসাল মিডিয়া চালানো, কাউকে ফোন করা, কারো ফোনের উত্তর দেওয়ার জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন। কাজের সময় আপনার ফোন হাতের নাগালের বাইরে রাখুন। এর ফলে আপনার কাজে বিরক্ত লাগবে না এবং সময়মত কাজটি শেষ করতে পারবেন।

 

নিজেকে নিজে অনুপ্রাণিত করুন

কোন কাজে সফলতা আসলে তা উদযাপন করুন। অনেকেই ছোট খাটো সাফল্য এড়িয়ে চলে, তাদের ধারনা ছোট খাটো সাফল্য এ আর এমন কি! কিন্তু এই বিষয়টি ঠিক না, কেননা আপনি যখন ছোট সাফল্যে আনন্দ পাবেন তখন বড় সাফল্য অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত হবেন। – কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব লিঙ্ক