মুদির দোকান দিতে চাইলে মালিকের কি কি গুন থাকা উচিত

মুদির দোকান দিতে চাইলে মালিকের যেসব গুন থাকা উচিত

একজন মুদি দোকান মালিকের কি কি গুন থাকা উচিত

একব্যক্তি মালিকানা ব্যবসার মধ্যে একটি লাভজনক ব্যবসার নাম মুদির দোকান ব্যবসা। কিন্তু এই ব্যবসা তখনই লাভ হয় যখন সঠিকভাবে ব্যবসাটি পরিচালনা করা হয়। আর এর জন্য ব্যবসার মালিকের মধ্যে কিছু গুনাগুন থাকা চাই। আসুন জেনে নেই মুদির দোকান দিতে চাইলে মালিকের কি কি গুন থাকা উচিত।

#১। শারীরিক শক্তি

একজন মুদির দোকানী শুধু মাএ দোকানে বসে থাকে না। তাকে নানা ধরনের কাজ করতে হয়। একসাথে দুই তিনটা কাজ করতে হয়, একই দোকানের মধ্যে দিনে কম পক্ষে ১০০ বার হাঁটা চলা করতে হয়, আর এই সকল কাজের জন্য দরকার হয় শারীরিক শক্তির।

#২। আত্মবিশ্বাস

যে কোনও ব্যবসার মধ্যে আত্মবিশ্বাস না থাকলে সেই ব্যবসা বেশী দূর নিয়ে যাওয়া যায় না। কোনও ব্যবসায়ী যদি তার ব্যবসা নিয়ে খুশী না থাকে তাহলে সেই ব্যবসার জন্য সে এক্সট্রা কোন এফোট দিতে পারে না।

নিজের ব্যবসায় যদি নিজের হীনমন্যতায় ভুগে তাহলে ব্যর্থ হওয়া শুধু মাএ সময়ের বিষয়। তাই মুদির দোকান দিতে চাইলে ব্যবসার মালিকের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবেআজকের এই ছোট দোকান আগামীর সুপার শপ হবে এই বিশ্বাস রাখতে হবে।

#৩। যোগাযোগ দক্ষতা

একজন মুদির দোকানীর মধ্যে যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে। চালের আরতদার থেকে শুরু করে কোম্পানির সেলসম্যান সবার সাথে যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।

#৪। হিসাবে দক্ষ

একজন মুদির দোকানীকে সব সময় হিসাব করতে হয়। শুধুমাএ হিসাব করলেই চলে না, হিসাবে বিন্দু পরিমান ভুল করা যাবে না। হিসাবে টাকার পরিমান বেশী হলে গ্রাহকের ক্ষতি এবং টাকার পরিমান কম হলে মালিকের ক্ষতি। তাই এখানে ১৯/২০ করার কোন সুযোগই নেই।

#৫। বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন এবং ইতিবাচক

ইতিবাচক চিন্তা যে কোনও ব্যবসাকে সফল করতে সাহায্য করে। আর বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন গ্রাহককের মন জয় করে।

একই সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরনের মাধ্যমে পণ্য কেনার সময় ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। তাই মুদির দোকান দিতে চাইলে দোকানের মালিকের এই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন এবং ইতিবাচক হতে হবে।

#৬। সৎ এবং নির্ভরযোগ্য

গ্রাহকের কাছে যেই দোকানী বেশী সৎ তার কাছেই গ্রাহক ভিড় জমায়। দরকার হলে গ্রাহক কিছুক্ষন অপেক্ষা করেও সেই সৎ এবং নির্ভরযোগ্য দোকানীর কাছ থেকে পণ্য কিনে। কারন গ্রাহক জানে সৎ ব্যক্তি কখনই অন্যকে ঠকাতে পারে না।

#৭। মাল্টিটাস্কিং

একজন মুদির দোকানীকে একসাথে অনেকগুলো কাজ করতে হয়। এক সাথে ৩/৪ গ্রাহক আসলে সবার কাছেই পণ্য বিক্রি করতে হয়। কখনও কারো আছে পণ্য বিক্রি করতে হয়, একই সাথে অন্য গ্রাহকের পণ্যের হিসাব করতে হয়। মূল কথা একজন মুদি দোকানীকে অবশ্যই মাল্টিটাস্কিং করতে হয়।  

#৮। গ্রাহকের চাহিদা বুজতে পারা

গ্রাহক কি ধরনের পণ্য পছন্দ করে, কোন পণ্য দোকানে নেই, কোন পণ্যের চাহিদা আছে ইত্যাদি বিষয়গুলো বুজতে হবে।

#৯। পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা

সাধারনত একটি মুদির দোকানে নিত্যদিনের সকল পণ্য পাওয়া যায়। সকল গ্রাহকের চাহিদা কখনই একই রকম থাকে না, কেউ আটা কিনতে আসবে আবার কেউ গুরো মরিচ কিনতে আসবে, কেউ আবার তেল কিনতে আসব, গ্রাহক যাই কিছু কিনতে আসুক না কেন সকল পণ্য আপনার দোকানে থাকতে হবে।

#১০। কর্মচারীদেরকে একটিভ রাখা

একজন দোকানিকে লিডারশীপ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সাধারনত দোকানের মালিক ক্যাশে বসে থাকে এবং দোকানের কর্মচারী বেচা বিক্রি করে থাকে। এই ক্ষেএে কর্মচারীদেরকে একটিভ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। // কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব লিঙ্ক