যে ৬ টি বিষয় ব্যবসা পরিকল্পনায় অবশ্যই যুক্ত করা উচিত

ব্যবসা পরিকল্পনায় যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ

৬ টি বিষয় ব্যবসা পরিকল্পনায় অবশ্যই যুক্ত করা উচিত

৬ টি বিষয় ব্যবসা পরিকল্পনায় অবশ্যই যুক্ত করা উচিত

আপনি কি ব্যবসায় সফল হতে চান? ব্যবসা পরিকল্পনায় তৈরি করা ব্যতিত কোন ব্যবসায় সফল হওয়া যায় না। ব্যবসা পরিকল্পনা হলো এমন একটি রোডম্যাপ যাতে ব্যবসার সমস্ত বিষয় গুলো উল্লেখ করা থাকে।

একটি আদর্শ ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করা উদ্যোক্তা হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার। তাই এখানে আমরা একটি আদর্শ ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করতে কোন কোন বিষয় গুলো অবশ্যই যুক্ত করা উচিত সে সম্পর্কে আলোচনা কিছু তথ্য তুলে ধরছি।

১. ব্যবসার উদ্দেশ্য

ব্যবসা পরিকল্পনায় আপনাকে আপনার ব্যবসার উদ্দেশ্য বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণস্বরুপ, আপনি যদি একটি বেকারী চালু করে গ্রাহকদের কাছে গুণগত মান সম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দিতে চান তাহলে আপনাকে ব্যবসার পরিকল্পনায় তা বর্ণনা করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন বর্ণনাটি দীর্ঘ না হয়।

২. ব্যবসার বিস্তারিত বর্ণনা দিন

ব্যবসা পরিকল্পনায় আপনাকে আপনার ব্যবসার সমস্ত দিক বিস্তারিত বর্ণনা করতে হবে।

  • এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসাটি কি সেবা ভিত্তিক ব্যবসা ?
  • আপনি কি পণ্য বিক্রি করবেন?
  • আপনার পণ্য গুলো কি ধরনের?
  • আপনি কি সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিক্রি করবেন, নাকি পাইকারী বিক্রি করবেন?
  • আপনি কি নিজেই পণ্য তৈরি করবেন?
  • আপনার ব্যবসাটি কি ইউনিক ?

ইত্যাদি বিষয় গুলো ব্যবসা পরিকল্পনায় উল্লেখ করতে হবে।

৩. স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য – Short term and long term goals

ব্যবসা পরিকল্পনায় আপনাকে আপনার ব্যবসার স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

স্বল্প মেয়াদী লক্ষ্য হিসেবে আপনার ব্যবসাটির নাম স্থির করা, অফিসের স্থানটি সুরক্ষিত করা, ব্যবসার খুঁটিনাটি বিষয় গুলো শিখা, ব্যবসা শুরুর প্রথম বছরে আপনি কি প্রত্যাশা করেন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

আরো পড়ুন – সঠিক ব্যবসা পরিকল্পনা লিখতে যা করতে হবে এবং যা করা যাবে না

৪. সম্ভাব্য গ্রাহক – Target Market 

আপনার ব্যবসার সম্ভাব্য গ্রাহক কারা হবেন তা ব্যবসা পরিকল্পনায় উল্লেখ করুন। এক্ষেত্রে আপনার পণ্য গুলো কারা কিনবে?

গ্রাহকরা কি জন্য আপনার পণ্য গুলো খুজঁছে?

কেন আপনার পণ্য গুলো তাদের দরকার?

ইত্যাদি বিষয় গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে ব্যবসা পরিকল্পনায় উল্লেখ করুন।

৫. অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ – Financial Analysis

অর্থনৈতিক সকল বিষয় গুলো বিশ্লেষণ করে তা পরিকল্পনায় উল্লেখ করুন। ব্যবসাটি শুরু করতে আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয় বাবদ কত টাকা খরচ হতে পারে তা উল্লেখ করুন।

পাশাপাশি আপনি ব্যবসাটি থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করেন তাও উল্লেখ করুন। অর্থাৎ আর্থিক সমস্ত বিষয় বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করুন।

৬. মার্কেটিং – Marketing

ব্যবসার মার্কেটিং প্রক্রিয়া গুলো কিভাবে সম্পন্ন করবেন তা পরিকল্পনায় উল্লেখ করুন।

এক্ষেত্রে আপনি ব্লগিং, ওয়েব সাইট, বিলবোর্ড, ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন, সেমিনার ইত্যাদি সমস্ত মাধ্যম গুলোর বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করতে পারেন।       

কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব