বেশি বয়সে ব্যবসা শুরু করার ৫টি সুবিধা

ব্যবসায় বয়সের চেয়ে ইচ্ছাশক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ 

বেশি বয়সে ব্যবসা শুরু করার ৫টি সুবিধা

বেশি বয়সে ব্যবসা শুরু করার ৫টি সুবিধা

আমাদের পরিচিত মানুষের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের একটু বয়স হয়ে গেলে ব্যবসা করার সাহস হারিয়ে ফেলে। তখন নিজের মধ্যে আত্নবিশ্বাসের এতটাই অভাব পরে যে ব্যবসা করার কথা চিন্তাও করতে পারে না, কিন্তু তারা তাদের বর্তমান অবস্থা নিয়েও খুশী থাকতে পারে না। আপনি যেনে অবাক হবেন ব্যবসায় সফলতা পাওয়ার ক্ষেএে তরুনদের থেকে বয়স্করাই একটু এগিয়ে।

আপনার কাছে যদি মনে আপনার বয়স বেশী হয়ে গেছে, ব্যবসার কার্যক্রম আপনি পরিচালনা করতে পারবেন না তবে আরেকটিবার ভাবুন। একই সাথে বেশি বয়সে ব্যবসা শুরু করার ৫টি সুবিধা জেনে নিন। 

#১। আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা আছে

বেশি বয়সে ব্যবসা শুরু করার এটি অন্যতম প্রধান কারন। আপনি জীবনের নানা চড়াই উৎরাই দেখেছেন যা একজন তরুন উদ্যোক্তার পক্ষে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করা অসম্ভব।

আপনি এই বয়সে জীবনকে যে ভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারবেন আপনার থেকে বয়সে ছোট উদ্যোক্তারা সে ভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারবে না।

আপনি জানেন যে, ব্যবসা করার জন্য অভিজ্ঞতা লাগে এবং আপনি আপনার জীবন থেকে অভিজ্ঞতা আপনার ব্যবসায় কাজে লাগাতে পারবেন।

 

#২। কীভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয় এবং তা অর্জন করবেন তা আপনি জানেন

লক্ষ্য নির্ধারণ যে কোনো ব্যবসাকে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার বিগত বছরগুলোতে আপনি বহু লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা অর্জন করতে পেরেছেন, এখন ঐ অভিজ্ঞতা আপনার নতুন ব্যবসায় কাজে লাগাতে হবে।

তাছাড়া একজন কম বয়সী উদ্যোক্তার লক্ষ্য এবং আপনার লক্ষ্যের মধ্যে পার্থক্য থাকবে। আপনার লক্ষ্য যতটা বেশী বাস্তব সম্মত হবে ততটা একজন কম বয়সী উদ্যোক্তার লক্ষ্য ততটা বাস্তব সম্মত হবে না। আরোও পড়ুন – ব্যবসায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ ও পূরণ করতে চাইলে

 

#৩। আপনি মানসিকভাবে আরোও বেশী শক্তিশালী

একজন ২০ বছর বয়সী উদ্যোক্তার মধ্যে অনেক ধরনের মানসিক চাপ থাকে। কোন ব্যবসা করবে, কোন ব্যবসা ঝুঁকি কম, কোন ব্যবসায় টাকা কম লাগে, ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে ইত্যাদি বিষয় থেকে আপনি মুক্ত।

আপনার পড়াশোনার চিন্তা নেই, চাকরি করবেন নাকি ব্যবসা করবেন এই দ্বিধা দন্দের মধ্যে আপনাকে পরতে হবে না। তাই বেশী বয়সে ব্যবসা শুরু করার এটি অন্যতম প্রধান কারন।

#৪। আপনি আগে ব্যর্থ হয়েছেন

যেমনটি আমরা সবাই জানি, ব্যর্থতা সাফল্যের মূল ভিত্তি। ব্যর্থতা জীবনের একটি অঙ্গ, এবং যে যত বেশী বার ব্যর্থ হয় সে তত বেশী ব্যর্থতা থেকে শিখতে পারে।

আপনার জীবনের পূর্বে করা ভুলগুলো আপনার সেরা শিক্ষক, এই ভুল থেকে আপনি শিক্ষা নিয়েছেন যা আপনার বর্তমান ব্যবসাকে সফল করতে সাহায্য করবে। অবশ্যই পড়ুন – ব্যর্থ হওয়া দোষের কিছু না

 

#৫। নেটওয়ার্কিং

আপনার মধ্যে মানুষ চিনতে পারার দক্ষতা আছে। আপনি জীবনে নানা ধরনের মানুষের সাথে উঠা বসা করেছেন এই অভিজ্ঞতা এখন আপনার কাজে লাগবে।

কিভাবে বিজনেস পার্টনার নির্বাচন করবেন, গ্রাহকদের সাথে কেমন ব্যবহার করবেন, supplier দের সাথে কিভাবে ডিল করবেন ইত্যাদি আপনি জানেন।

তাছাড়া আপনার বয়সের একটি ওজন আছে যা অন্যের কাছে আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য গড়ে তুলতে পারে। – কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব লিঙ্ক