কিভাবে অল্প পুঁজিতে বেল্ট তৈরী ব্যবসা শুরু করবেন

অল্প পুঁজিতে বেল্ট তৈরী ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে বেল্ট তৈরী ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে বেল্ট তৈরী ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা হিসাবে বেল্ট তৈরী ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পরিধেয় বস্ত্র অতি প্রাচীন কাল থেকেই মানুষের লজ্জা নিবারণ ও শরীরকে ঢেকে রাখার ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর এই পরিধেয় বস্ত্রকে সুন্দর ও সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য কিছু জিনিসের দরকার হয়। এর মধ্যে বেল্ট বা কোমর বন্ধনী অন্যতম।

এটি মূলত ছেলেদের জন্য হলেও বর্তমানে অনেক আধুনিক তরুণীরাও বেল্ট ব্যবহার করে থাকে। তাই ব্যবসার দৃষ্টিকোণ থেকে বেল্ট তৈরীর ব্যবসাটি হতে পারে একটি কার্যকরী সিদ্ধান্ত। বেল্ট তৈরীর প্রধান কাচাঁমাল চামড়া অত্যন্ত সহজলভ্য হওয়ায় এই ব্যবসাটি শুরু করা সহজ। এই ব্যবসাটি ভালো ভাবে পরিচালনা করতে পারলে সফলতা নিশ্চিত। সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

আপনার নিকটস্থ বাজার বা মার্কেটে একটি দোকান নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে হবে। স্থান নির্ধারণের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো ও প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া চাইলে নিজের বাড়িতে একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করেও এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। 

কেন বেল্ট তৈরী ব্যবসা শুরু করবেন

এটি একটি সময়োপযোগী ব্যবসার ধারণা। কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। কম পুজিঁ বিনিয়োগ করেই এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। এই ব্যবসাটি শুরু করে নিজের কর্মসংস্থানের পাপাশি আরো অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। এই ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বেশি। পৃথিবীর সকল দেশে সবসময় এই ব্যবসার চাহিদা থাকে। যে কোন উদ্যোক্তা এই ব্যবসাটি শুরু করে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারেন। এই ব্যবসায় ঝুকিঁর পরিমাণও অন্য ব্যবসার থেকে কম।

সম্ভাব্য পুজিঁ: এই ব্যবসাটি শুরু করতে আনুমানিক ২ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পুজিঁ বিনিয়াগ করতে হয়। ক্ষেএ বিশেষ কম বা বেশী লাগতে পারে।

কিভাবে বেল্ট তৈরী ব্যবসা ব্যবসাটি শুরু করবেন

বেল্ট তৈরীর কারখানা গুলোতে মূলত তিন ধরনের বেল্ট তৈরী করা হয়ে থাকে যেমন: শুধু চামড়ার, শুধু রেক্সিনের এবং চামড়া ও রেক্সিনের সমন্বয়ে। চামড়ার বেল্ট তৈরী করতে বেল্টের মাচ অনুযায়ী চামড়া কেটে বকলেস লাগালেই চামড়ার বেল্ট তৈরী হয়ে যায়। চামড়া ও রেক্সিনের বেল্ট তৈরী করতে হলে মাপ অনুযায়ী রেক্সিন কেটে উপরের অংশে চামড়া লাগিয়ে সেলাই করে বকলেস লাগালেই চামড়া- রেক্সিনের বেল্ট তৈরী হয়ে যায়।

আর রেক্সিনের বেল্ট তৈরী করতে বেল্টের মাপ অনুযায়ী কাগজ কেটে তার দুইপাশে আঠা দিয়ে রেক্সিন লাগিয়ে সেলাই করে দিতে হবে। তারপর বকলেস লাগিয়ে দিলেই রেক্সিনের বেল্ট তৈরী হয়ে যায়। বেল্ট ডাইসে রেখে ছাপ দিলেই বিভিন্ন ডিজাইন খোদাই হয়ে যায়। এই ভাবে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করা যায়।

সাধারণত সকল বয়সী ছেলে বা পুরুষরাই এই ব্যবসার প্রধান ভোক্তা। তবে ফ্যাশন সচেতন তরুণীরাও এই ব্যবসার ভোক্তা হয়ে থাকেন। কসমেটিকসের দোকান থেকে শুরু করে পোশাকের শো-রুমে এই বেল্ট পাইকারী বিক্রি করা যায়। বেল্ট তৈরী ব্যবসা শুরু করতে বেল্ট তৈরীর দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ থাকা জরুরী। ব্যবসাটি শুরু করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।