শেয়ার বাজার বিনিয়োগে বলা হয় “সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না” এর মানে কি

শেয়ার বাজার বিনিয়োগে “সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না” 

সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না

সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য অন্যতম সেরা একটি টিপস সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না। এর অর্থ কখনই সব টাকা দিয়ে শুধু মাএ একটি কোম্পানির শেয়ার কিনবেন না।

হয়ত আপনি অনেক ভালো এনালাইসিস করেছেন এবং কোন একটি কোম্পানির পারফরমেন্সে আপনি মুগ্ধ। তাই আপনার হাতে থাকা সব টাকা দিয়ে ঐ কোম্পানির শেয়ার কিনতে চাচ্ছেন।

এই রকম সিদ্ধান্ত নিলে বিনিয়োগে ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আপনি যত টাকা বিনিয়োগ করতে চান, তা কম পক্ষে ৩ থেকে ৪টি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করুন।

এতে কোন একটি কোম্পানির শেয়ারে লস করলে আবার আরেকটি থেকে লাভ করতে পারলে আপনি ঝুঁকি কমাতে পারবেন।  পড়ুন – সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া কিভাবে উন্নত করবেন

ধরুন আপনি ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে চান! এ ক্ষেএে আপনি যদি ৫টি কোম্পানিতে ১ লাখ টাকা করে বিনিয়োগ করতে পারেন তবে আপনার ঝুঁকি ৫টি ভাগে ভাগ হয়ে গেল।

এই ভাবে বিনিয়োগ করলে লাভের পরিমান কিছুটা কমে যেতে পারে, সেই সাথে ঝুঁকির পরিমানও কমে যাবে। যা আপনাকে একজন সফল বিনিয়োগকারী হতে সাহায্য করবে।

এই একই সাথে আপনি যেই ৫টি কোম্পানি ঠিক করেছেন তা যেন সবগুলো একই সেক্টরের না হয়। ধরুন ৫টি কোম্পানি বিনিয়োগের জন্য ঠিক করলেন এবং সেই ৫টি কোম্পানিই Textile Sector এর।

এই ক্ষেএেও আপনার যথেষ্ট ঝুঁকি থাকবে, কেননা কোন একটি কারনবশত যদি Textile Sector এ সমস্যা হয় তবে আপনার হাতে থাকা ৫টি কোম্পানিই ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।

এই ক্ষেএ আপনি দুইটি Textile কোম্পানি বাছাই করতে পারেন, ২টি Mutual Fund কিনতে পারেন, এবং একটি ইনসুরেন্স কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারেন। এর ফলে আপনার ঝুঁকি ৩টি সেক্টরে ভাগ হয়ে গেল। জেনে নিন – নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু টিপস

আবার সব ডিম যেমন এক ঝুড়িতে রাখা ঠিক না, ঠিক তেমনি ঝুড়ি বেশী হয়ে গেলে তা সামলানোও যায় না।

তাই একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে আপনাকে আগে ২/৩টি সেক্টর নির্বাচন করতে হবে এবং এর পর সেই সেক্টরের মধ্যে থাকা ভাল শেয়ার খুঁজে বটম প্রাইজে বিনিয়োগ করতে হবে।

আপনি যখন বিনিয়োগের জন্য টাকার পরিমান নির্ধারণ করবেন তা একবারে সব টাকা নিয়ে শেয়ার কিনবেন না, আস্তে আস্তে কিনলে ঝুঁকি অনেকটা এড়ানো যেতে পারে।