বিজনেস প্ল্যান বা ব্যবসা পরিকল্পনা কি

বিজনেস প্ল্যান বা ব্যবসা পরিকল্পনা কি

বিজনেস প্ল্যান বা ব্যবসা পরিকল্পনা

বিজনেস প্ল্যান বা ব্যবসা পরিকল্পনা

আমরা সাধারনত ব্যবসা পরিকল্পনা কে Business Plan নামেই জানি। বিজনেস প্ল্যান বা ব্যবসা পরিকল্পনা একটি লিখিত ডকুমেন্ট। বিজনেস প্ল্যান বা ব্যবসা পরিকল্পনা ব্যবসায়ের অতীত ও বর্তমান অবস্থানকে বর্ণনা ও বিশ্লেষণ করে তবে এর মূল উদ্দেশ্য ব্যবসার ভবিষ্যত উপস্থাপন করা।  

ব্যবসায়ের পরিকল্পনাটি সাধারণত বছরে একবার আপডেট করা হয়।

এছাড়া ব্যবসায়ের ধরণের উপর নির্ভর করে সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য ব্যবসাটির লক্ষ নির্ধারণ করা হয়।

যেকোন ব্যবসায় Business Plan গুরুত্বপূর্ণ কেননা একটি লিখিত পরিকল্পনা আপনাকে ব্যবসাকে  সফল করতে সাহায্য করবে।

একটি বিজনেস প্ল্যান অনুযায়ী যখন কোন ব্যবসা পরিচালিত হয় তখন তা কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে ফেলে এবং কাজগুলো খুব সহজেই শেষ করা যায়।

বিজনেস প্ল্যান লেখার জন্য অগ্রিম প্রস্তুতি, ব্যবসার প্রতিনিধিদল, ও শৃঙ্খলা থাকতে হবে। এছাড়া কার জন্য বিজনেস প্ল্যান লিখবেন তা মাথায় রাখতে হবে। জেনে নিন – ব্যবসার জন্য বিজনেস প্ল্যান যেভাবে সাজাবেন 

ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়াটিতে সম্ভাব্য গ্রাহকদের কি সমস্যা আছে, কিভাবে তার সমাধান আপনার ব্যবসার মাধ্যমে করবেন, কেন তারা আপনার পণ্য বা সেবা গ্রহন করবে, কেন তারা অন্য পণ্যের চেয়ে আপনার পণ্য কিনবে, কিভাবে মার্কেটিং করবেন, আপনার কত টাকা লাগবে, কত দিনে প্রফিট পাবেন ইত্যাদি সকল বিষয় বিজনেস প্লানে উল্লেখ থাকবে।  

ব্যবসার ধরন ও বিনিয়োগের উপর নির্ভর করে বিজনেস প্ল্যানটি কত বড় হবে। সাধারনত বিজনেস প্ল্যান ১ পেইজ থেকে শুরু করে ৩০/৪০ পেইজের হতে পারে। তবে অতিরিক্ত বড় প্ল্যান ব্যাংক ও বিনিয়োগকারিদের পছন্দ নাও হতে পারে।

পড়ুন – ব্যবসায় ব্যবসায়িক পরিকল্পনা থাকার প্রাথমিক উদ্দেশ্য

ব্যবসায়িক পরিকল্পনার অনেকগুলো অংশ থাকলেও কিছু অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন executive summary।

আসুন দেখে নেইবিজনেস প্ল্যান বা ব্যবসা পরিকল্পনা লিখতে কি কি বিষয় উল্লেখ রাখতে হয়-

১। ব্যবসায়িক পরিকল্পনাটির একটি সার-সংক্ষেপ যা Executive Summary নামে বেশী পরিচিত।

২। কোম্পানির বর্ণনা এবং পরিচালকদের পরিচয়।

৩। বাজার এবং প্রতিযোগীদের বর্ণনা।

৪। পণ্য বা সেবার বিস্তারিত বর্ণনা।

৫। বিপণন ও বিক্রয় নীতি।

৬। আর্থিক তথ্য।

একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় ব্যবসাটি শুরু করতে বা প্রসারণের সমস্ত আর্থিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ব্যবসাটি শুরু করতে কত টাকা লাগবে, আপনার কাছে কত টাকা আছে, এখন কত টাকা লোন বা বিনিয়োগ দরকার, এবং আপনি কিভাবে সেই লোনের টাকা কত দিনে পরিশোধ করবেন ইত্যাদি সকল আর্থিক বিশ্লেষণ একটি বিজনেস প্লানের অংশ।

এই সবগুলি বিষয় যথেষ্ট গবেষণা ও গুরুত্ব সহকারে শেষ করতে হবে। বিশেষভাবে বাজার এবং প্রতিযোগীদের সম্পর্কে মার্কেট রিসার্চ করতে হবে।

-কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব লিঙ্ক