কিভাবে একটি ফার্মেসী ব্যবসা শুরু করবেন

ফার্মেসী ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে

শুরু করুন ফার্মেসী ব্যবসা

শুরু করুন ফার্মেসী ব্যবসা

সহজ কথায় প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী খুচরা ঔষুধ বিক্রির দোকানকে ফার্মেসী বলা হয়। আর এই ঔষুধ বিক্রির যে প্রক্রিয়া তাকে ফার্মেসী ব্যবসা বলে। লাভজনক ব্যবসার জন্য যদি কোন তালিকা করা হয় তাহলে এই ব্যবসা প্রথম সারিতে থাকবে। অল্প মূলধন দিয়ে শুরু করা যায় এবং ঝুঁকির পরিমান কম থাকায় ব্যবসামনা তরুনদের প্রথম পছন্দ ফার্মেসী ব্যবসা।

আমাদের দেশে এক লক্ষ এক হাজার এর বেশী ফার্মেসী দোকান আছে। যার মার্কেট সাইজ ১০ হাজার কোটি টাকার উপর। এই ব্যবসার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই অনেক বেশী প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার আগে একটি ভালো স্থান নির্বাচন করে শুরু করুন আপনার নিজের ফার্মেসী ব্যবসা।

শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার জন্য এবং যে কোন রোগ বালাই প্রতিরোধে ঔষুধের কোন বিকল্প নাই। অসুস্থতা ও কোন রোগ-ব্যাধি নিরাময়ে ঔষুধ অত্যাবশ্যকীয়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে বহু ধরনের ঔষুধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

কোথায় ফার্মেসী ব্যবসা শুরু করবেন

হাসপাতাল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশে একটি ছোট দোকান ভাড়া নিয়ে সহজেই এই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে। তাছাড়া লোকসমাগম বেশি হয় এমন কোন আবাসিক এলাকায় এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। দুই বা ততোধিক রাস্তার মোড়েও ফার্মেসী দোকান খোলা যেতে পারে।

কেন ফার্মেসী ব্যবসা শুরু করবেন

প্রথমত এই ব্যবসাটি একটি সেবামূলক ব্যবসা। আপনি মানুষকে সেবা দিতে পারবেন এবং তার সাথে নিজেও লাভবান হতে পারবেন। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য মাঝারী মানের পুঁজিই যথেষ্ট। বর্তমানে এই ব্যবসাটি একটি সম্মানিত ব্যবসাক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। তাই অনেক উদ্যোক্তা পেশা হিসেবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে আগ্রহী। সময়ের সাথে সাথে এই ব্যবসার চাহিদা বাড়ছে। সমগ্র দেশে এই ব্যবসার একটি বড় বাজার রয়েছে। তাছাড়া ঔষুধ বিক্রি না হলে প্রায় সকল কোম্পানী ঔষুধ ফেরত নেয় বলে এই ব্যবসায় কোন ঝুঁকি নেই বললেই চলে।

সম্ভাব্য পুঁজি: এই ব্যবসাটি শুরু করতে ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ পর্যন্ত পুঁজি বিনিয়োগ করতে হয়। তবে স্থান ও দোকান ভাড়া ভেদে কম বেশী হতে পারে।

কিভাবে শুরু করবেন

ট্রেনিং এবং ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া আপনি এই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। তবে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে সহজেই এই ব্যবসটি শুরু করা যায়।

হাসপাতালের পাশে বা আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি দোকান নিয়ে দোকান ভালো ভাবে ডেকোরেশন করতে হবে। ঔষুধ সাজিয়ে রাখার জন্য দোকানের সাথে সামঞ্জস্য করে তাক বানাতে হবে। তারপর বিভিন্ন কোম্পানীর নিকট হতে পাইকারী মূল্যে বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ ক্রয় করতে হবে। তারপর ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র দেখে গ্রাহকদের নিকট খুচরায় ঔষুধ বিক্রি করতে হবে। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এই ভাবে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে হয়।

ফার্মেসী ব্যবসার গ্রাহক কারা

মূলত সকল শ্রেণীর মানুষই এই ব্যবসার ভোক্তা। কোন হাসপাতাল বা ডায়গনস্টিক সেন্টারের পাশে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারলে বিক্রি বেশি হয়।

যোগ্যতা: এই ব্যবসাটি শুরু করতে হলে অবশ্যই প্রশিক্ষণ ও ড্রাগ লাইসেন্স থাকতে হবে। এছাড়া ভাল ব্যবহার ও সততা থাকা আবশ্যিক।

সম্ভাব্য আয়: এই ব্যবসাটি শুরু করে প্রতি মাসে সব খরচ বাদ দিয়ে আনুমানিক ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। তবে স্থান ভেদে আয় আরো বাড়তে পারে।

এই লেখাটিতে শুধু মাএ কিছু সাধারন ধারনা দেওয়া হয়েছে। ফার্মেসী ব্যবসা শুরু করার আগে সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। শুভ কামনা!