প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়নে যাহা অনুসরণীয়

প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়নে যাহা অনুসরণীয়

প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়নে যাহা অনুসরণীয়

প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়নে যাহা অনুসরণীয়

সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে যেকোন ধরনের কাযক্রম গ্রহণ করাই প্রকল্প অন্তভুক্ত। অধিকতর গ্রহন যোগ্য প্রকল্প প্রনয়নের ক্ষেত্রে নিম্মলিখিত উপদান সমূহ বিবেচনায় আনতে হবে।

 

১। প্রকল্পের শিরোনাম:- প্রকল্পের শিরোনাম বলতে প্রকল্পে নাম করন করা যে কোন প্রকল্পের একটি নাম থাকে। প্রকল্প  কার্যক্রমের সাথে মিল রেখে প্রকল্পের শিরোনাম ধার্য্য করা হয়।

 

২। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:- যে কোন প্রকল্প প্রনয়নের ক্ষেত্রে সুনিদৃষ্ট উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্থির করা। উদ্দেশ্য অর্জন ব্যতিরেকে সফলতার গন্তব্যে পৌছা যায় না। যে কোন প্রকল্পে একাধিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে কিন্ত লক্ষ হবে একটাই। উদ্দেশ্য পুরনের মাধ্যমেই লক্ষ্য অর্জিত হয়।

 

৩। প্রকল্পের সময়সীমা:- সময়সীমা বলতে প্রকল্প শুরু ও শেষ হওয়ার নিদৃষ্ট প্রিমিয়ামকে বুঝায়। প্রকল্প আরম্ভ থেকে শেষ পর্যন্ত এর কার্যক্রম নির্ধারণ করা। নিদৃষ্ট সময়ের মধ্যে যে ভাবে কাজ করা দরকার সেভাবে হলো কিনা দেখা। উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন সময় বন্টন করা। সময়ের সাথে প্রকল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।

 

৪। প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি:- এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিকল্পনা তৈরী করার পূর্বে প্রকল্পের সম্ভবতা যাছাই করে নিতে হবে। এখানে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে পরিসংখ্যানগত তথ্য সংগ্রহ করা। তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রকল্প এলাকায় লোকদের সাথে আলোচনা, এলাকা পরিদর্শন ও জরীপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা। সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষনের মাধ্যমে কোন ধরনের প্রকল্পের চাহিদা আছে তাহা নিধারণ করা যায়। এলাকা ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে উপকার ভোগীদের  প্রকল্প প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করানো যেতে পারে।

এক্ষেত্রে অংশগ্রহন কারীদের চাহিদা অনযায়ী প্রকল্প প্রণয়নও বাস্তবায়নে তাদের জীবন মানের উপর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার বিশ্লেষনের মাধ্যমে আলোকে চাহিদা নিরুপনে আগ্রহী হয়ে উঠে। ফলে নিজেদের চাহিদার আলোকে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অধিক কার্যকর ভুমিকা পালন করতে পারে। নিজেরাই প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দায়িত্ব গ্রহনে সক্রিয় ভুমিকা রাখে। এবং সহজেই প্রকল্পের উদ্দেশ্য অর্জিত হতে থাকে।

 

৫। বাজেট:- বাজেট মানেই সম্ভাব্য আয়-ব্যায়ের হিসাব। আয় ব্যয় বিশ্লেষনের মাধ্যমে অর্থ প্রবাহ সৃষ্ট হয়। ইহা পরিবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা দেশের ক্ষেত্রে সমানভাবে সত্যি। বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে আয় সৃষ্টিকারী প্রকল্পে ব্যয় যত কম হবে আয়ের পরিমান তত বেশী হবে। ফলে প্রকল্পটি আর্থিক দিক থেকে তত লাভবান হবে। প্রকল্প বাজেটে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে কি পরিমান অর্থের প্রয়োজন, কোথা থেকে অর্থ সংগ্রহ হবে এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে কি পরিমাণ অর্থ আয় হবে তা বিশ্লেষণ করে দেখা। প্রকল্প বাজেটে আয়ের উৎসের উপর ভিত্তি করে প্রকল্প গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া।