যে ৮টি পরামর্শ সকল উদ্যোক্তাদের জানা ও মানা উচিত

৮টি পরামর্শ সকল উদ্যোক্তাদের জন্য

যে ৮টি পরামর্শ সকল উদ্যোক্তাদের জানা উচিত

যে ৮টি পরামর্শ সকল উদ্যোক্তাদের জানা উচিত

সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে ব্যবসার পার্থক্য গুলো বুঝা যায়। একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করলে ব্যবসার সমস্যা গুলোর উৎপত্তি কোথায় তা নির্ধারণ করা সহজ হয়। আপনার ব্যবসার সফলতা অর্জনে সাহায্য করতে আমরা আপনার জন্য এমন ৮টি পরামর্শ নিয়ে এসেছি। যে গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ব্যবসায়িক জীবনকে সাফল্য মন্ডিত করে তুলতে পারেন। নিচে তা আলোচনা করা হলো।

আপনার ব্যবসার বাজার সম্পর্কে বুঝুন ও গবেষণা করুন

আপনার ব্যবসার বাজার গবেষণা করতে সময় নিন এবং আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের চাহিদা গুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। তারা কি চায় তা জানার চেষ্টা করুন এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বা সেবা সরবরাহ করতে কোথায় শূন্যতা রয়েছে তা খোজেঁ বের করুন। আপনার পণ্য বা সেবাটিকে অপ্রতিরোধ্য সমাধান হিসেবে গড়ে তুলুন।

কঠোর পরিশ্রম করুন

ব্যবসা শুরু করা অন্য পেশার তুলনায় খুবই কঠিন। সফল উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সেক্টরে ভাল ভাবে কাজ করতে হয়। যেমন উৎপাদন, বিক্রয়, বিপণন, হিসাবরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে শুরু থেকে নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে প্রয়োজন হয় উদ্যোক্তাদের কঠোর পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও অধ্যবসায়।

নিজের জন্য নিজেকে গড়ে তুলুন

আপনিই আপনার জীবনের নকশাকারক। আপনার জীবনের বেশ কিছু অংশ ভাল না হলেও আপনাকে সম্পূর্ণ জীবনকে সমন্বয় করতে হয়। আপনাকে প্রতিনিয়তই আপনার কর্মজীবন নিয়ে ভাবতে হবে এবং যা আপনার জন্য উপযুক্ত তাই বাছাই করে নিতে হবে। আপনার দুর্বলতা কোথায় তা খুঁজে নিন এবং সেই দুর্বলতা দূর করার জন্য যা করার প্রয়োজন তা করুন।

আপনার দলের সকলকে নিয়ে শিখুন

বেশিরভাগ ব্যবসায়ী নিজে নিজেই শিখতে চায়। আবার অনেক ব্যবসায়ী পরামর্শদাতাদের নিকট হতে শিখতে চায়। সাধারণত একজন সফল ব্যবসায়ী এক সময়ে পরামর্শদাতা হিসেবে আর্বিভূত হয়ে থাকে। তাই একজন পরামর্শদাতা যে কোন বিষয়কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে সম্যসা খুজতে ও সমাধান দিতে সাহায্য করতে পারেন। আর সফল ব্যবসায়ীরা তাদের দলকে সাথে নিয়েই শেখেন।

দীর্ঘ মেয়াদী চিন্তা করুন

একটি ব্যবসা চালাতে গিয়ে দিন দিন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে আসতে পারে। যত চ্যালেঞ্জই সামনে আসুক, সফল হতে হলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ব্যবসা একদিনের জন্য হয়। তাই কিভাবে দীর্ঘ মেয়াদে আপনার গ্রাহকদের ধরে রাখতে পারবেন সেই বিষয়ে গবেষণা করতে হবে।

ছোট অর্জনকেও প্রকাশ করুন

আপনার ব্যবসার পরিধি ছোট হোক আর বড় হোক, কিছু না কিছু অর্জন আপনার থাকবেই। আপনাকে এই অর্জন গুলো প্রকাশ করে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এতে সম্প্রদায়ে আপনার পজিটিভ ভাবমূর্তি তৈরি হবে। যা আপনার ব্যবসার জন্য ভাল।

ব্যবসায়ীদের সাথে নেটওয়ার্ক তৈরি করুন

অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের সাথে নেটওয়ার্ক তৈরি করুন এবং তাদের নিকট থেকে শেখার চেষ্টা করুন। তাদের সাথে নেটওয়ার্ক তৈরির ফলে ব্যবসায়িক কৌশলগত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে সুবিধা হবে। চাইলে তাদের মধ্য থেকেও পরামর্শদাতা নিয়োগ করতে পারেন।

বিরতি নিন

একটি ব্যবসা শুরু মানেই নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখা। কিন্তু তারপরও সপ্তাহান্তে একদিনের জন্য  আপনাকে বিরতি নিতে হবে। এতে শরীর ও মন চাঙ্গা হবে। তাছাড়া সব সময় নিজেকে ব্যস্ত রাখলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হবে এবং অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আপনার গ্রাহকদের চাহিদা শুনুন

আপনাকে আপনার গ্রাহকদেরকে শুনতে হবে এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। গ্রাহকদের নিকট হতে শোনা বার্তা গুলোর প্রতিও আপনাকে আন্তরিক হতে হবে।