দৃষ্টিনন্দন ও লাভ জনক ছাদ বাগান তৈরীতে যে সব গাছ লাগাবেন

ছাদ বাগান তৈরীতে যে সব গাছ লাগাবেন

দৃষ্টিনন্দন ও লাভ জনক ছাদ বাগান তৈরীতে যে সব গাছ লাগাবেন

দৃষ্টিনন্দন ও লাভ জনক ছাদ বাগান তৈরীতে যে সব গাছ লাগাবেন

প্রজাতি ভেদে ছাদ উপযোগী গাছ বাছাই ও রোপনের জন্য কি ধরনের পাত্র প্রয়োজন তা ঠিক করে নেওয়া। যাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফুল ফল ও সবজির চাষ করা যায়। ছাদে চাষ উপযোগী ফলের মধ্যে গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, দোলন চাপা সহ মৌসুমী সব ধরনের ফুল, ফলের মধ্যে আম, জাম, লিচু, পেয়ারা, সরিষা, কামরাঙ্গা কমলা, মালটা, আঙ্গুর, ডালিম ও কুল ইত্যাদি। এছাড়া সবজির মধ্যে বেগুন, মরিচ, শশা, লাউ, কুমড়া, ঢেঁরশ, বরবুটি,সীম, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা ও থানকু্িন পাতা ইত্যাদি।

 

ছাদে সব সময় রোদ্র থাকা বেশী গরম/তাপ সহনীয় গাছ লাগনো উত্তম। অতি মাত্রায় তাপের কারনে গাছের গোড়ায় দৈনিক ২/১ বার পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা। যাতে পানির অভাবে গাছ শুকিয়ে  মারা না যায়। আবার বেশী বেশী পানির কারনে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সে দিকে দৃষ্টি রাখা।

 

পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল ও রোদ্রের সুবিধার জন্য বাড়ীর দক্ষিণ ও পূর্বদিক সব সময় উম্মুক্ত রাখা হয়। দক্ষিণের হাওয়া পরিবেশ উপযোগী। সে দিক বিবেচনায় ক্ষেত্রে ছাদের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে ছোট গাছ বা ছোট টব সারিবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে রাখা। দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে বড় গাছ লাগালে ছাদে ছায়া আসে ও বাতাস চলাচলে বিঘœ ঘটে। কখনো কখনো ছোট বড় গাছের সারি করে লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়।

 

ছাদে সাধারণত হাইব্রিড জাত ও কলমের ফলের গাছ লাগানো উত্তম। লতা জাতীয় ফলের গাছ চাষের জন্য বাঁশের ঝাঁকা বা মাচা বানিয়ে চাষ করা যায়। আবার টব বা পাত্র ছাদের চারি পাশে ঝুলিয়ে রেখে চাষ করা যায়। ছোট আকারের গাছ ও যে সকল কলমে দ্রুত ও বেশী বেশী ফল ধরে তা বাছাই করে নেওয়া। এ ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত নার্সারী ও বন্ধু ভাবাপন্ন নার্সারী থেকে সঠিক তথ্য জেনে সংগ্রহ করা। বীজের চারার চেয়ে কলমের চারায় দ্রুত ও বেশী ফল পাওয়া যায়।

 

এখন টবে চাষের জন্য দেশী বিদেশী নানা জাতের উন্নত চারা ও কলম পাওয়া যায়। এসব সংগ্রহের মাধ্যমে সাধ পুরনের পাশাপাশি বাড়তি আয় সৃষ্টি হয়। সকালের নির্মল বাতাস ও সবুজ পাতায় শিশিরের সৌন্দর্য উপভোগ্যে সময় কাটানোর একটি জায়গা বাড়ীর খোলামেলা একটি ছাদ বাগান। ছাদ বাগানে কলমের চারা বিশেষ করে জোড় কলম, ছোখ কলম ও গুটি কলম সংগ্রহে থাকতে হবে। এই সকল সংগ্রহীত কলমের মান ভাল হলে এক বৎসরে মধ্যেই ফল পাওয়া যায়।