চাকুরীর চেয়ে ব্যবসার মালিক হওয়া কেন সবচেয়ে ভালো

চাকুরীর চেয়ে ব্যবসার মালিক হওয়া কেন সবচেয়ে ভালো

চাকুরীর চেয়ে ব্যবসার মালিক হওয়া কেন সবচেয়ে ভালো

চাকুরীর চেয়ে ব্যবসার মালিক হওয়া কেন সবচেয়ে ভালো

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করে যখন আমাদের উপার্জন করার সময় আসে তখন আমাদের সামনে ৩ টি উপায় থাকে। প্রথমত, যদি আপনার বিনিয়োগ করার মতো অর্থ থাকে তাহলে নিজের ব্যবসা। দ্বিতীয়ত, যদি আপনার বিনিয়োগ করার মতো অর্থ না থাকে তাহলে একটি ভালো চাকুরী। তৃতীয়ত, কিছু দিন একটি চাকুরী করে কিছু টাকা সঞ্চয় করার পর নিজের ব্যবসা শুরু করা। ব্যক্তিগত ভাবে আমরা চাকুরীর চেয়ে ব্যবসাকেই বেশি পছন্দ করি। এখানে আমরা চাকুরীর চেয়ে ব্যবসা কেন ভালো তা নিয়ে আলোচনা করব। নিচে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. টাকার কোন সীমা নেই

মানুষ শুধুমাত্র টাকার জন্যই কাজ করে। আর চাকুরীর মধ্যে টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকে। অর্থাৎ মাস শেষে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে টাকার কোন সীমা। আপনি যদি চাকুরী করেন তাহলে মাস শেষে আপনাকে একটি নিদেষ্ট পরিমাণ অর্থ পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। যা দুই বা এক বছর পর পর অযৌক্তিক পরিমাণে বৃদ্ধি করা হতে পারে।

কিন্তু আপনি যদি নিজের একটি ব্যবসা শুরু করেন তাহলে তখন টাকার কোন নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না। আপনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যত বেশি ইচ্ছা আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বেতনভুক্ত চাকুরীর চেয়ে ১০ গুণ বেশি আয় করার সুযোগ রয়েছে।

২. ব্যবসায় কোন সময় নির্ধারিত করা থাকে না

যদি আপনার নিজের একটি ব্যবসা থাকে তাহলে আপনার জন্য সময়ের কোন সীমাবদ্ধতা থাকবে না। আপনি যদি চাকুরী করেন তাহলে আপনাকে নিয়োগ কর্তাদের দ্বারা নির্ধারিত সময় মেনে চলতে হবে। যা সাধারণত ৮ ঘন্টা হয়ে থাকে। কিন্তু ব্যবসা করলে সময়ের কোন সীমাবদ্ধতা থাকে না। এক্ষেত্রে আপনি চাইলেই কম সময় কাজ করতে পারেন। আবার চাইলে বেশি সময় ধরেও কাজ করতে পারেন। যা আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে।

৩. আপনার বস আপনি নিজেই

যদি আপনি একটি ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনাকে আপনার নিজের বানানো নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন ধারণা বাস্তবায়নের জন্য বসের নিদের্শের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। ব্যবসার ক্ষেত্রে সফল হতে হলে আপনি চাইলে নির্দিষ্ট নিয়ম বা সীমার বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু চাকুরীর ক্ষেত্রে এই সুযোগ নেই।

পড়ুনঃ ব্যবসা ও চাকুরীর কয়েকটি সুবিধা এবং অসুবিধা

চাকুরীর ক্ষেত্রে আরেকটি সমস্যা হলো আপনাকে আপনার বসের জিজ্ঞাসিত প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি একট ব্যবসার মালিক হন তাহলে আপনাকে প্রশ্ন করার মতো কেউ থাকবে না।

৪. অবসর নিতে হবে না

চাকুরী ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত বয়সের পরে আপনাকে অবসর গ্রহণ করতে হবে। আর চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পরে আয়ের কোন সুযোগ থাকে না। কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে অবসর গ্রহণের বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না। আরো পরুনঃ কিভাবে অবসর জীবনের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা করবেন

৫. আপনি আপনার নিজস্ব পরিচয় তৈরি করতে পারবেন

যখন আপনি একটি ব্যবসার মালিক হবেন তখন আপনি নিজেই আপনার নিচের পরিচয় তৈরি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যখন অন্যদের নিকট বলবেন যে আপনার নিজের একটি ব্যবসা আছে তখন অন্যদের নিকট আপনি নিজেকে আলাদা ভাবে উপস্থাপিত করতে পারবেন। যা চাকুরীর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।

৬. আপনাকে ছুটির দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না

চাকুরীর ক্ষেত্রে কাজের বোঝা থেকে বিরতি নেওয়ার জন্য আপনাকে ছুটির দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে ছুটির দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি চাইলে যে কোন সময়ই বিরতিতে যেতে পারেন।

৭. আপনি একটি লক্ষ্য স্থির করতে পারবেন

ব্যবসা শুরু করে আপনি প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারবেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। যা আপনাকে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয় করে তুলতে পারে। ব্যবসা শুরু করলে আপনি উচ্চাভিলাষী হয়ে উঠতে পারবেন। যা আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে। কিন্তু চাকুরীর ক্ষেত্রে আপনি যেমন উচ্চাভিলাষী হতে পারবেন না তেমনি কোন লক্ষ্যও নির্ধারণ করতে পারবেন না।

৮. কিভাবে একটি টিম পরিচালনা করতে হয় তা শিখতে পারবেন

ব্যবসার মাধ্যমে কিভাবে একটি টিম পরিচালনা করে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করা যায় তা শিখা যায়। তাছাড়াও আপনি স্থায়ী ভাবে আপনার সাথে কাজ করতে কিভাবে গ্রাহকদেরকে সন্তুষ্ট করতে হয় তাও শিখতে পারবেন। কিন্তু চাকুরী ক্ষেত্রে এই সব শিখা খুবই কঠিন।