খাদ্য ব্যবসার ধরনা – ১৩টি খাবার ভিত্তিক লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া

খাদ্য ব্যবসার ধরনা – ১৩টি খাবার ভিত্তিক লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া

খাদ্য ব্যবসার ধরনা

খাদ্য ব্যবসার ধরনা

আপনি কি লাভজনক খাদ্য ব্যবসার ধরনা খুঁজছেন? খাদ্য ব্যবসা বা ফুড বিজনেস বর্তমানে যত লাভজনক ব্যবসা আছে তার মধ্যে অন্যতম সেরা একটি সেক্টর। খাদ্য মানুষের দৈনন্দিন মৌলিক চাহিদাগুলো মধ্যে অপরির্হায একটি উপাদান। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের বিকল্প নেই।

অনেক উচ্চাকাঙ্খী ও শৌখিন উদ্যোক্তা এখন ব্যবসা শুরু করার মাধ্যম হিসেবে প্রথমেই খাদ্য ব্যবসাকে মাথায় রাখে। এটি বর্তমানে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে সকল পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের নিকট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং সুবিধাজনক খাবার খাওয়ার প্রবণতার কারণে খাদ্য শিল্পে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

গুনগতমান সম্পন্ন খাদ্য আপনার ব্যবসায়ে সুনাম ও সফলতা আনতে সহায়তা করবে। এছাড়া আপনার এলাকা বা স্থানীয় বাজারে চাহিদাবহুল ও মানুষের পছন্দনীয় খাদ্য দ্বারা আপনি পসরা সাজিয়ে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।  নিচে ১৩টি সময়োপযোগী ও লাভজনক খাদ্য ব্যবসার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি যা উদ্যোক্তাদের এ ব্যবসা শুরু করার প্রেরণা যোগাবে বলে বিশ্বাস করছি।

বেকারী: খাদ্য ব্যবসা সেক্টরে বেকারী একটি অন্যতম লাভজনক ব্যবসা ধারণা। একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

কফির দোকানঃ কফি শপ বা কফির দোকান একটি অনন্য ও স্মার্ট ব্যবসা। একজন উদ্যোক্তা বেশ কিছু মূলধন বিনিয়োগ করে একটি ভালো স্থান নির্ধারন করে অনায়াসে এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এটি একটি অর্থ উপার্জনকারী ব্যবসার ধারণা।

পড়ুন – ৫ টি কারন কেন আপনি কফি শপ বিজনেস শুরু করবেন এবং জেনে নিন কফি শপ ব্যবসার জন্য কিভাবে স্থান নির্বাচন করবেন।

বাফেট রেস্তোরা: খাদ্য ব্যবসা সেক্টরে বাফেট রেস্তোরা একটি ক্রমবধমান ব্যবসার ধারণা। এটি একটি জনপ্রিয় টেন্ডিং ব্যবসা ধারণা। গ্রাহকদের নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী খাদ্য ও উপভোগ্য সেবা সমূহ প্রদান করে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করা যেতে পারে। জেনে নিন- রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে সফল হওয়ার কিছু উপায়

খাদ্য প্রক্রিয়াকরন: খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ একটি বৈপ্লবিক ব্যবসা ধারণা। আপনি সীমিত পরিসরে চাহিদাবহুল ও জনপ্রিয় খাদ্রসমূহ যেমন: চাটনী, জ্যাম, জেলী, সস ইত্যাদি খাদ্যগুলো উৎপাদন করে শুরু করতে পারেন।  এটি একটি চ্যালেজিং ব্যবসাক্ষেত্র।

জুস বার শপ – আপনি জানেন কি জুস বার শপ বিশ্বব্যাপী একটি মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা শিল্প এবং এটি একটি ক্রমবর্ধমান ব্যবসা সেক্টর? আপনি তাজা ফলের রস ও  কৃত্রিম মিক্স জুস উপাদান দ্বারা জুস তৈরী করে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে সুষম খাবার খাওয়ার প্রর্বণতা এবং সচেতনতা নতুন এই ব্যবসা শিল্পের বাজারে সম্ভাবনা বৃদ্ধি করেছে।

তাজা ফলের রস খনিজ উপাদান ও ভিটামিনের উৎস। এজন্য আজকাল আনেক সচেতন মানুষ খাদ্য উপাদান হিসেবে তাজা ফলের রসের জুস খেতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ ব্যবসায় উদ্যোক্তার সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে।

প্যাকেট পানীয় জল – বর্তমানে মানুষ নিরাপদ পানীয় হিসেবে প্যাকেটজাত পানির ওপর র্নিভরশীল হয়ে পড়েছে। সুস্থ শরীরের জন্য এটি অপরিহার্য। মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করছে এবং এর প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য প্যাকেটজাত পানি পান করছে।

পিৎজা ডেলিভারী : পিজা এখন বাংলাদেশে একটি সুপরিচিত সুস্বাদু খাবার। তরুন উদ্যোক্তাদের জন্য পিজা ডেলিভারি ব্যবসাটি হতে পারে মুনাফা লাভের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। অতি ব্যস্ত কাজের সময় সূচির কারনে অনেক লোক রেস্টুরেন্ট বা খাবার দোকানে গিয়ে সুস্বাদু এ খাবারটি খেতে পারে না। এ জন্য নিজের বাড়িতে বসে এ খাবারটি উপভোগ করার জন্য অনলাইন বা ফোনে অর্ডার করে থাকে। আপনি কয়েকজন বিশ্বস্ত ও  মার্জিত ডেলিভারি ম্যান নিযুক্ত করে অনায়াসে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

সামুদ্রিক খাদ্য বিক্রি: সামুদ্রিক খাদ্য বিক্রি ব্যবসাটি বর্তমান সময়ে একটি বিস্ময়কর ও মুনাফা লাভের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। আপনি চাইলে নিজের বাড়িতে অবস্থান করে শুরু করতে পারেন এ ব্যবসাটি। আপনি নিদির্ষ্ট উৎস হতে পাইকারী পণ্য ক্রয় করে হিমায়িত অবস্থায় তাদের সংরক্ষণ করতে হবে এবং অর্ডার অনুযায়ী তা গ্রাহকের নিকট একটি ভ্যানের মাধ্যমে ডেলিভারী করতে হবে

বিশেষ কেক তৈরী: যে কোনো তরুন ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যবসা ক্ষেত্র। যে কোন উদ্যোক্তা তাদের নিকটস্থ বাজার বা বাড়ি থেকে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনি কিছু বিশেষ অনুষ্ঠানের কেক যেমন জন্মদিনের কেক, বিবাহ অনুষ্ঠানের কেক ইত্যাদি তৈরী করে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন। এটি নি:সন্দেহে একটি লাভজনক ব্যবসা খাত।

অনলাইন মুদির দোকান: ছোট মূলধন বিনিয়োগ করে আপনি অনলাইন মুদিও দোকান ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনি গ্রাহকদের অনলাইন অর্ডারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে ভালো মানের ও চাহিদার নিরিখে পণ্য সরবরাহ করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসায়ে সফলতার জন্য সঠিক বিজনেস প্ল্যান তৈরী, মূলধন বিনিয়োগ ও ব্যবসার সঠিক মডেল গুরুত্বপূণ্য।

আইসক্রীম স্ট্যান্ড-  বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই সকল বয়সী মানুষের কাছে আইসক্রীম একটি জনপ্রিয় খাবার। আপনার নিকটস্থ বাজার বা মেট্রো শহরে একটি ভ্রাস্যমান আইক্রীম স্ট্যান্ড স্থাপন করে আপনি এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন।

চকলেট তৈরী: প্রাথমিক ভাবে সীমিত পরিসরে চকলেট তৈরীর ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে। শিশুদেও নিকট চকলেটের জনপ্রিয়তা অনেক। ক্ষুদ্র মূলধন বিনিয়োগেই এটি হতে পারে অধিক আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য পথ।

মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ: মধুপ্রক্রিয়াজাতকরণ একটি গৃহ কেন্দ্রিক ব্যবসার ধারণা। আপনি প্রকৃতি বা মধু চাষি হতে মধু সংগ্রহ করে এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। মূলত এ ব্যবসায় মধু হতে বিভিন্ন অপদ্রব্য ও অবাঞ্চিত কর্ণা দূর করে এটিকে বিশুদ্ধ করার কাজটি করা হয়ে থাকে। বৈদ্যুতিক মেশিন দ্বারা আপনি এ কাজটি করতে পারেন।