কেন কম্পিউটার সায়েন্সে পড়বেন এবং কোথায় ক্যারিয়ার গড়তে পারেন

কেন কম্পিউটার সায়েন্সে পড়বেন

কেন কম্পিউটার সায়েন্সে পড়বেন এবং কোথায় ক্যারিয়ার গড়তে পারেন

কেন কম্পিউটার সায়েন্সে পড়বেন এবং কোথায় ক্যারিয়ার গড়তে পারেন

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটার সায়েন্সে গুরুত্ব অত্যধিক। মানব জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই বর্তমানে কম্পিউটার শিক্ষা অপরিহার্য হয়ে উঠছে। ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প, যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্র গুলো কম্পিউটারের উপর সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। মুভি দেখা, গেমস খেলা, গান শোনা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদি সব কিছুই এখন কম্পিউটার দিয়ে করা যাচ্ছে।

দ্বাদশ শ্রেণীতে থাকা কালীন সময়ে আপনার কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার ইচ্ছা হতে পারে। যদি সত্যিই আপনি এই সাবজেক্টে পড়তে চান তবে ইচ্ছা করলেই হবে না। সত্যিকার অর্থে এই বিষয়টির প্রতি আপনার আগ্রহ থাকতে হবে। নি:সন্দেহে এটি বর্তমান সময়ের সেরা সাবজেক্ট গুলোর একটি। বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীরই এই বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করার আগ্রহ থাকে।

কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার যোগ্যতা

কম্পিউটার সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করতে হলে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে হবে। তাছাড়াও কম্পিউটার সায়েন্সের ভর্তি পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হতে হবে।

কেন কম্পিউটার সায়েন্সে পড়বেন ?

কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

তথ্য প্রযুক্তি খাতে প্রচুর কাজের সুযোগ: সারা বিশে^ অর্থনৈতিক মন্দার ফলে বেকারত্বের হার বেড়েই চলেছে। তবে কম্পিউটার সায়েন্স এবং তথ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটি পুরোপুরি ব্যতিক্রম। প্রকৃতপক্ষে, কম্পিউটার সায়েন্স এবং তথ্য ও প্রযুক্তির চাকুরীর বাজার প্রতিনিয়ত ক্রমবর্ধমান হচ্ছে।

উচ্চ বেতনের নিশ্চয়তা প্রদান করে: কম্পিউটার সায়েন্স চাকুরীর নিশ্চয়তা প্রদানের পাশাপাশি চমৎকার বেতনের নিশ্চয়তাও প্রদান করে থাকে।

চমৎকার সন্তুষ্টি: কম্পিউটার সায়েন্স বা তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে চাকুরীর জন্য কেবলমাত্র অর্থই একমাত্র প্রত্যাশিত বস্তু নয়। অন্যান্য চাকুরীর তুলনায় এই খাতের চাকুরীতেই সবচেয়ে কাজের সন্তুষ্টি পাওয়া যায়।

এটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ক্যারিয়ার: কম্পিউটার প্রযুক্তি আজকাল প্রায় সকল কাজের অংশ হয়ে দাড়িঁয়েছে। অর্থাৎ কম্পিউটারের ব্যবহারের ছাড়া কোন কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। কম্পিউটার ডিগ্রীর মাধ্যমে আপনি প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা, নেটওয়ার্কিং ও ডেস্কটপ সমর্থন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পারবেন। যা আপনার জীবনকে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে পারে।

সারা বিশে^ প্রয়োগ করার মতো কি শিখতে পারবেন: কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রী অর্জন করতে অনেক বেশি ব্যবহারিক ক্লাস করতে হয়। তার মানে এই নয় যে এটি অত্যন্ত কঠিন ও জটিল। আর ব্যবহারিক ক্লাসে আপনি শুধু মাত্র তত্ত্বই শিখতে পারবেন না, কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও পরিবর্তন করাও শিখতে পারবেন। আপনি যখন পেশাদারী জীবন শুরু করবেন তখন সারা বিশে^র মানুষের নিকট আপনার তৈরি জিনিস গুলো পৌছেঁ দিতে পারবেন।

অধ্যয়ন কালীন সময়েও আয় করতে পারবেন: আপনার অর্জিত দক্ষতা গুলো কাজে লাগিয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই আপনি আয় করা শুরু করতে পারেন। আর এ জন্য আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। তাছাড়া আপনি আপনার এলাকায় তথ্য ও প্রযুক্তি সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করে বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট পরিসেবা প্রদান করেও আয় করা শুরু করতে পারেন।

যুক্তি সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকেন। আর এই দক্ষতা গুলো আপনি আপনার বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রয়োগ করতে পারেন।

কোথায় পড়বেন ?

বাংলাদেশের প্রায় সকল পাবলিক প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে এই সাবজেক্টটি রয়েছে। তাছাড়া অনেক প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়েও এই বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

কোথায় চাকুরী পেতে পারেন ?

বর্তমানে প্রায় প্রতিটি সরকারী প্রতিষ্ঠানই প্রযুক্তি নির্ভর। তাই এই সাবজেক্টে পড়ে সরকারী চাকুরীর সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া প্রযুক্তি নিভর অন্যান্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সফটওয়ার ডেভেলপার, ওয়েব ডেভেলপার, আইটি ব্যবস্থাপক, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, কম্পিউটার সিস্টেম অ্যানালিস্ট, কম্পিউটার সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, ইনফরমেশন সিকিউরিটি অ্যানালিস্ট, ডাটাবেজ অ্যাডমিন প্রভূতি পদে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংকে আইটি অফিসার পদেও চাকুরীর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।