কিভাবে ব্লীচিং পাউডার ব্যবসা শুরু করবেন

ব্লীচিং পাউডার ব্যবসা

কিভাবে ব্লীচিং পাউডার ব্যবসা শুরু করবেন

কিভাবে ব্লীচিং পাউডার ব্যবসা শুরু করবেন

ব্লীচিং পাইডার এমন একটি রাসায়নিক উপাদান যার গুরুত্ব আমাদের জনজীবনে অত্যন্ত বেশি ও ফলপ্রসু। ব্লীচিং পাইডার দুর্গন্ধ দূরীকরণ, কাপড় পরিষ্কারে ও পানি জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এছাড়াও কাগজ শিল্প ও বস্ত্রশিল্পে ব্লীচিং পাউডার খুবই জরুরী উপাদান। ব্লীচিং পাউডার তৈরী করে ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত খুবই দূরদর্শী ও সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

অল্প মূলধন বিনিয়োগ, পরিশ্রম এবং দক্ষতা এ ব্যবসাটিতে উদ্যোক্তাকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। শিক্ষিত ও বেকার তরুণরা সহজেই এই ব্যবসাটি শুরু করে লাভবান হতে পারেন।

যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো এমন কোন স্থানে অথবা নিজের বাড়িতে একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারন করে যে কোন উদ্যোক্তা এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

এটি একটি জনপ্রিয় ব্যবসার ধারণা। খুব সহজেই ব্লীচিং পাউডার তৈরীর প্রশিক্ষণ নিয়ে যে কোন উদ্যোক্তা এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি শুরু করতে অল্প মূলধনই যথেষ্ট। এই ব্যবসায় লাভের পরিমাণ অনেক। সারা বিশে^র সকল স্থানেই এই ব্যবসার চাহিদা রয়েছে। এই ব্যবসাটি বাড়িতেই শুরু করা যায় বলে দোকান বা ঘর ভাড়ার জন্য বাড়তি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে অনেক উদ্যোক্তা এই ব্যবসাটি শুরু করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

সম্ভাব্য পুজিঁ: এই ব্যবসাটি শুরু করতে আনুমানিক ৫০০০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুজিঁ বিনিয়োগ করতে হতে পারে।

কিভাবে ব্লীচিং পাউডার বানায়?

চুন, জল ও ক্লোরিন গ্যাস দিয়ে ব্লীচিং পাইডার তৈরী করা হয়। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য একটি লোহার তৈরী বাক্স, কাঠের তৈরী ৪ বা ৫ টি চামচ ও ১০ বা ১৫ টি ট্রে লাগবে। তারপর ট্রে গুলো এমন ভাবে লোহার বাক্সে রাখতে হবে যেন একটির সাথে আরেকটি লেগে না যায়। এরপর ট্রে গুলোতে ডেলা চুন রেখে এগুলোকে পানি দিয়ে ভিজাতে হবে। তারপর চুন গুলো ভিজে নরম হওয়ার পর ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এতে ক্লোরিন গ্যাস ঢালতে হবে। এরপর ক্লোরিন গ্যাস ও চুনের সংমিশ্রণের ফলে ব্লীচিং পাউডার তৈরী হবে। তারপর এই ব্লীচিং পাউডার বাজারজাত করণের জন্য প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এই ভাবে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করা যায়।

কাদের কাছে বিক্রি করবেন

সাধারণত হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলো এই ব্যবসার প্রধান ভোক্তা। তাছাড়া ধোপা বাড়িতেও ব্লীচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন মুদি দোকান ও ঔষুধের দোকানেও ব্লীচিং পাউডার পাইকারী দরে বিক্রয় করা যায়। ব্লীচিং পাউডার ব্যবসা শুরু করার জন্য ব্লীচিং পাউডার তৈরীর প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

কত টাকা লাভ থাকে

সাধারণত ১ কেজি ব্লীচিং পাউডার তৈরীতে ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। আর বাজারে বিক্রির সময় ১ কেজি ব্লীচিং পাউডারের দাম পড়ে ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। এই ভাবে এই ব্যবসার মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা যায়।