কিভাবে বুঝবেন অন্যের কাছে নিজেকে সস্তা বানিয়ে ফেলেছেন

একবার নিজেকে অন্যের কাছে সস্তা বানিয়ে ফেললে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো যথেষ্ট কঠিন, কিন্তু অসম্ভবও নয়। কোন মানুষই নিজেকে অন্যের কাছে সস্তা বানাতে চায় না, কিন্তু নানা কারনে হয়ে যায়।

তবে মজার বিষয় আপনি অন্যের কাছে সস্তা কিনা তা যদি নিজেই বুঝতে না পারেন তবে সারা জীবনই এভাবে অন্যের কাছে সস্তা একজন মানুষ হিসাবে থাকতে হবে।

আসুন দেখে নেই কিভাবে বুঝবেন অন্যের কাছে নিজেকে সস্তা বানিয়ে ফেলেছেন কিনা এবং এই বিষয়গুলো আপনার মধ্যে থাকলে এখনই তা পরিবর্তন করুন।  

#১। আপনাকে কেউ কিছু করতে বললে খুব সহজেই হ্যাঁ বলে দেন যদিও সেই কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ থাকুক আর নাই থাকুক। কেননা আপনি না বলতে দ্বিধা বোধ করেন।

#২। যখন আপনার সাহায্যের দরকার, আপনার বন্ধুদের জানালেন কিন্তু আশেপাশে কোনো বন্ধুকে পাচ্ছেন না, কিন্তু তাদের দরকারে ঠিকই আপনি ছিলেন। এর সহজ মানে আপনি নিজেকে সস্তা বানিয়ে ফেলেছেন।

#৩। আপনি নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে দেন এই ভেবে যে, মানুষজন আপনার এই ত্যাগের মর্ম বুঝতে পারবে এবং আপনার উপর অনেক খুশি হবে। কিন্তু এর ফলাফল, অন্যকে খুশি করতে গিয়ে দিন শেষে আপনি নিজেকেই সস্তা বানিয়ে ফেলেছেন।

#৪। আপনার বন্ধু বান্ধব যদি আপনাকে নিয়ে একবার/দুইবার ঠাট্টা মশকারি করে তবে ঠিক আছে, করতেই পারে। কিন্তু এই ঠাট্টা মশকারি করা যদি তাদের অভ্যাসে পরিণত হয় এবং আপনি নীরবে সব কিছু মেনে নেন তবে এর সহজ মানে আপনি নিজেকে সস্তা বানিয়ে ফেলেছেন।

#৫। যখন আপনার মতামতের কোনই মূল্য থাকে না এবং আপনার সকল সিদ্ধান্ত অন্য কেউ নিয়ে দেয়।

#৬। যখন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আপনার পাঠানো ম্যাসেজের উত্তর দেয় না, কিংবা সিন করে রেখে দেয়, যা অনেকবারই হচ্ছে, কিন্তু তা পরেও আপনি তাকে অবিরাম ম্যাসেজ পাঠিয়ে যাচ্ছেন। এর সহজ মানে আপনি নিজেকে তার কাছে সস্তা বানিয়ে ফেলেছেন।

#৭। প্রতিষ্ঠিত সত্য জেনেও যখন আপনি অন্যের সাথে নিজেকে তর্কে জড়িয়ে ফেলেন।

আমাদের মনে রাখা উচিত যে, আমাদের জীবন চিন্তা ভাবনারই প্রতিফলন। তাই নিজেই নিজেকে সময় দিতে হবে, নিজের গুরুত্ব বুঝতে হবে, নিজেকে ভালোবাসতে হবে।

আমাদের জীবনের অনেক ধাপ রয়েছে, এই সকল ধাপে কেউ থাকুক বা নাই থাকুক, আপনি সবসময়ই আপনার নিজের পাশে থাকবেন।

ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে, “It’s not important who values you. It’s important how you value yourself”. এর বঙ্গানুবাদ “কে আপনাকে দাম দিল তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ আপনি নিজেকে কতটা মূল্যায়ন করতে পারলেন”।