কিভাবে বনসাই গাছের ব্যবসা শুরু করবেন

কিভাবে বনসাই গাছের ব্যবসা শুরু করবেন

বনসাই গাছের ব্যবসা

বনসাই গাছের ব্যবসা

জাপানী শব্দ থেকে বনসাই শব্দের উৎপত্তি। বনসাই গাছের ব্যবসা একটি দীর্ঘ মেয়াদী লাভজনক ব্যবসার ধারণা। অতি অল্প টাকা বিনিয়োগে নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে খুব সহজেই একটি বাড়তি আয়ের পথ এই বনসাই গাছের ব্যবসা।

প্রাচীনকাল থেকে মানুষের নিজ গৃহ সজ্জার প্রতি এক ধরনের নির্মোহ ঝোঁক রয়েছে। গৃহ ও পরিবেশকে সুন্দর ও মানানসই করার জন্য মানুষ বহু ধরনের উদ্যোগ ও প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পরে সেসব আর বাসগৃহের সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে সক্ষম হয় না।

এজন্য বহু উদ্যোক্তা ও ভোক্তা নিজ গৃহ ও পরিবেশকে দীর্ঘদিন সৌন্দর্য্যমন্ডিত করে রাখার অংশ হিসেবে বনসাই গাছ রোপন করে থাকে। বনসাই শুধু বাস গৃহতেই সীমাবদ্ধ নেই, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনায় এবং অফিস আদালতের সামনে ব্যাপক সৌন্দর্য্য ও আকর্ষণীয় পরিবেশ ধরে রাখার অংশ হিসেবে বনসাই লাগিয়ে থাকে।

কেন বনসাই গাছের ব্যবসা শুরু করবেন

এটি একটি সৌখিন ব্যবসার ধারণা। যে কোন সৌখিন উদ্যোক্তা এই ব্যবসাটি শুরু করে খুব ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারেন। উন্নত মানের চারা সংরক্ষণ করে এসব চারা পরিচর্চার জন্য উপযুক্ত স্থান আর প্রশিক্ষণই এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য যথেষ্ট।

বনসাইয়ের ব্যবসা করে যে কোন যুবক নিজেকে একজন স্বাবলম্ভী উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। এই ব্যবসায় একবার বিনিয়োগ করলে আর তেমন বিনিয়োগ করার প্রয়োজন পরে না।

যেভাবে বনসাই গাছের ব্যবসা শুরু করবেন

টবে রোপন করা খর্বাকৃতির গাছের শিল্পকেই বনসাই বলা হয়। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য কষ্টসহিষ্ণু ও বেশি দিন বাচেঁ, বছরে মাএ একবার পাতা ঝরে, বয়সের সাথে সাথে গাছের ছাল মোটা হয় এমন উন্নত মানের চারা সংগ্রহ করতে হবে। আপনি অনেক রকম গাছ দিয়ে বনসাই করতে পারবেন। যেমন বট, তেতুল, জাম, বাবলা, শিমুল, ইত্যাদি।

দো-আঁশ মাটি বনসাই চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। বিভিন্ন ধরনের বনসাইয়ের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে মাটি প্রস্তুত করতে হবে। তারপর মাটি দ্বারা টব ভর্তি করে টবে গাছ গুলো রোপন করতে হবে।

পানি নিষ্কাশনের জন্য টবের ছিদ্রে উটের টুকরার পরিবর্তে তার জালি ব্যবহার করতে হবে। গাছ গুলোকে আকর্ষণীয় করতে গাছের অতিরিক্ত ডাল পালা ছাঁটাই করতে হবে। তার ব্যবহার করে গাছের কান্ড বা শাখাকে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া হয়। বর্ষাকালে বনসাই রোপন ভাল। এভাবে বনসাই চাষ শুরু করা যায়।

অবস্থান: শহরের যে কোন আবাসিক এলাকায় বা ব্যস্ত বিপণিবিতানের পাশে খালি জায়গায় এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়।

গ্রাহক: সৌখিন মানুষরাই মূলত এই ব্যবসার ভোক্তা। তবে বিভিন্ন অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজাতেও বনসাইয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

যোগ্যতা: এই ব্যবসাটি শুরু করতে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।

সম্ভাব্য পুজিঁ: ২০০ গাছের বনসাই করতে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হতে পারে।

সম্ভাব্য আয়: একটি বনসাই গাছ বিক্রির উপযোগী হতে সাধারণত ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগে। গাছভেদে একেকটি চারার দাম পড়ে ২০০০ টাকা হতে ১০০০০ বা তার বেশী টাকা পর্যন্ত।