কম ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু অধিক লাভজনক ৫টি বিজনেস আইডিয়া

কম ঝুঁকিপূর্ণ বিজনেস আইডিয়া

ব্যবসার ধারনা তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু অধিক লাভজনক ৫টি বিজনেস আইডিয়া

ব্যবসার ধারনা – তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু অধিক লাভজনক ৫টি বিজনেস আইডিয়া

প্রায় সকল ব্যবসার মধ্যে ঝুঁকি আছে। কেননা যদি কোন ব্যবসার মধ্যে যদি ঝুঁকি নাই থাকে তবে তাকে কখনই ব্যবসা বলা যাবে না। তবে কিছু ব্যবসার মধ্যে রিস্ক বা ঝুঁকি একটু বেশী থাকে এবং কিছু ব্যবসায় ঝুঁকি তুলনামূলক কম থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু অধিক লাভজনক ৫টি বিজনেস আইডিয়া তুলে ধরছি।

#১। ব্লগিং

একটি ব্লগ বা একটি ওয়েবসাইট হতে পারে আয়ের অন্যতম সেরা মাধ্যম। আপনি চাইলে বাংলা কিংবা ইংরেজী ভাষার ব্লগ শুরু করতে পারেন। এই পেশায় আসতে চাইলে সর্বপ্রথম যেই জিনিস লাগবে তা হলো ধৈর্য। এর পরে যা লাগবে তা হচ্ছে মেধা ও সময়।

আজকে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট চালু করেই আপনি টাকা আয় করতে পারবেন না।

একটি ব্লগ থেকে টাকা আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে, আপনি চাইলে বিজ্ঞাপন, আফিলিয়েট মার্কেটিং, সরাসরি কোম্পানির বিজ্ঞাপন, নিজের পণ্য বিক্রি সহ নানা ভাবে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।

সাধারনত একটি ব্লগ থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন এর সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারবে না।

মূলত আপনার ব্লগের বিষয়বস্তু, ভিজিটরের পরিমান, ভিজিটরের অবস্থানের উপর নির্ভর করবে আপনার ইনকাম।

একটি বাংলা ব্লগের চয়ে একটি ইংলিশ ব্লগ থেকে প্রায় ৩ গুন বেশী ইনকাম করা যায়, তবে ইংলিশ ব্লগে পরিযোগিতা অনেক বেশী। এই পেশার মূল ঝুঁকি হচ্চে সময়। আরোও পড়ুন – কিভাবে অনলাইন ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়?

 

#২। ফটোগ্রাফার

একটি স্বাধীন পেশার নাম ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি নানা ধরনের হতে পারে, তবে আমাদের দেশের পেক্ষাপটে বিবাহ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য আপনি এই পেশা বেছে নিতে পারেন।

একটি ভাল মানের ক্যামেরা ও লেন্স এবং আপনার ছবি তোলার দক্ষতা এই পেশার মূল ভিত্তি।

তাছাড়া গ্রাহক পেতে আপনাকে হয়ত প্রথম দিকে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এই পেশায় আসার আগে আপনাকে যথেষ্ট দক্ষ হয়েই আসতে হবে।

 

#৩। সোসাল মিডিয়া ম্যানেজার

আপনি যদি ঘরে বসে টাকা আয় করতে চান তবে সোসাল মিডিয়া ম্যানেজার হতে পারেন। virtual assistant এর মত সোসাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসাবে আপনাকে আপনার গ্রাহকের জন্য কাজ করতে হবে।

বিশেষভাবে গ্রাহকের ফলোয়ার বাড়ানো, ম্যাসেজের উত্তর দেওয়া, গ্রাফিক্স ডিজাইন করা, বিশ্লেষণ করা ইত্যাদি অন্যতম কাজ। আমাদের দেশের পেক্ষাপটে যদিও এই ব্যবসাটি একটু পিছিয়ে, তবে সামনের দিনে জমজমাট সাফল্য আসতে পারে এই ব্যবসায়। তাই নিজেকে এখনই গুছিয়ে নিতে পারেন।

 

#৪। ইনসুরেন্স এজেন্ট

মূলত ইনসুরেন্স এজেন্ট একজন মধ্যস্থ হিসাবে কাজ করে। ইনসুরেন্স এজেন্ট গ্রাহক ও কোম্পানির মধ্যে চুক্তি করিয়ে দেয় এবং এর বিনিয়মে সে একটি কমিশন পায়।

বিশ্বাস করুন এই পেশা যথেষ্ট কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু এই পেশার মূল আকর্ষণ হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী সুবিধা। ধরুন আপনি আমার কাছে একটি ইন্সুরেন্স বিক্রি করলেন যার মেয়াদ ১২ বছর। এখন আমি প্রতি মাসে বা প্রতি বছরে কোম্পানিকে আমি টাকা দিব এবং আপনি সেই টাকার উপর কমিশন পাবেন।

আপনার যত বেশী গ্রাহক থাকবে তত বেশী ইনকাম হবে। একজন কর্মঠ ব্যক্তি যদি চ্যালেঞ্জ হিসাবে এই পেশায় আসতে চায় তবে তার পক্ষে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করা শুধু সময়ের ব্যাপার।

 

#৫। ইলেকট্রনিক্স পণ্য মেরামত

নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আরেকটি কম ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক লাভজনক ব্যবসা এটি।

বিশেষ ভাবে মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি মেরামতের কাজ করতে পারেন। আপনি নিজে কাজ না জানলে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কাজ করাতে পারেন, তবে এই ক্ষেএে বিশ্বস্ত কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। // কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব লিঙ্ক