উদ্যোক্তা হতে হলে ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে হবে যা সফল উদ্যোক্তাগন করে থাকেন

উদ্যোক্তা হতে হলে ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে হবে

উদ্যোক্তা হতে হলে ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে হবে

উদ্যোক্তা হতে হলে ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে হবে

আমাদের মনসতাত্ত্বিক বিশ্বাস, চিন্তা, চেতনা আমাদের প্রভাবিত করে এবং এটি ব্যবসায় কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তা নির্ধারণে সহায়তা করে। উদ্যোক্তা হতে হলে আপনার মনসতাত্ত্বিক চিন্তা ভাবনাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। সঠিক চিন্তা ভাবনা আপনার ব্যবসার বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। নিচে তিনটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো যে গুলো অনুসরণ করে সফল উদ্যোক্তারা ভিন্ন ধর্মী চিন্তা ভাবনা করতে পারে। যার ফলে তারা আজ সফল।

উদ্যোক্তা হতে হলে জীবনের মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ব্যর্থতাকে গ্রহন করতে হবে

সফল উদ্যোক্তারা যে কোনো খারাপ পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য রাখে। কারন তারা সব সময় মনে করে ব্যর্থতা থেকেই তারা শিখতে পারবেন। একজন উদ্যোক্তা যখন ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহন করার মানসিকতা তৈরি করে তখন সেই উদ্যোক্তা কখনো আশা ছেড়ে দেয় না। সফল উদ্যোক্তাদের চোখে ব্যর্থতা একটি আদর্শ প্রতীক। যার সাহায্যে জীবনে ও ব্যবসায় সফল হওয়া যায়। যদি একজন ব্যবসায়ীর জীবনে ব্যর্থতা না আসে তাহলে সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠা প্রায় অসম্ভব। কারন জীবনে এবং ব্যবসায়ে সফল হওয়ার জন্য চ্যলেঞ্জ গ্রহন করাটাও খুব বেশি প্রয়োজন।

তবে আপনি যদি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন যে আপনাকে সফল হতে হবে তাহলে সকল বাঁধাবিপত্তি উপেক্ষা করে সফলতা লাভ করতে পারবেন। আর এ জন্য আগে লক্ষ্য স্থির করে নিতে হবে। কখনো হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। সফল হওয়ার জন্য নিজেকে বিভিন্ন ভাবে উৎসাহীত করতে হবে। তবে ব্যর্থতা কেউ কামনা করে না। ব্যর্থ হলে অবশ্যই ব্যর্থতার কারন অনুসন্ধান করতে হবে এবং তা যাতে পুনরায় না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই আজকের ব্যর্থতা কালকে আপনাকে সফল বানাবে। পৃথিবীতে ১% মানুষ নাই যারা কোন দিন ব্যর্থ না হয়ে সফল হয়েছেন। আসুন জেনে নেই ব্যবসায় ব্যর্থ হওয়ার ৮টি কারন।

উদ্যোক্তা হতে হলে অজুহাত দেওয়া যাবে না

যে কোন কাজে অবশ্যই ভুল হতে পারে বা সফল নাও হতে পারেন। কিন্তু পরবর্তীতে কেন সফল হতে পারেন নি তার কারন খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু কোন অজুহাত দেয়া যাবে না। আপনার যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে তা নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারো উপর দোষ দেওয়া বা কারো সহযোগিতার আশা করা যাবে না। আর যদি সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তবে এমনটা ভাবা যাবে না যে সে সহযোগিতা করলেই সফল হওয়া সম্ভব। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে

অজুহাত সব সময় নিজের কাজ বা লক্ষ্য থেকে আপনাকে দূরে সরিয়ে দেয়। যে কোনো কাজে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং সে অনুযায়ী সামনে আগাতে হবে। যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে, তা সমস্যা না ভেবে সেই সমস্যার শিকড় খুঁজে বের করতে হবে এবং তা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে হবে। কোন কিছুতেই কোন অজুহাত দাড়ঁ করানো যাবে না। দীপ্ত পায়ে সকল অজুহাতকে তুচ্ছ করে এগিয়ে যেতে হবে।

উদ্যোক্তা হতে হলে সময়কে মূল্য দিতে হবে

উদ্যোক্তা হতে হলে যে কাজটি যখন করা প্রয়োজন তা সেই মুহূর্তে করতে হবে। কারন কাজ ফেলে রাখলে পরবর্তীতে গ্রাহককে কাজটি সঠিক ভাবে সরবরাহ না করতে পারলে গ্রাহক আপনার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই সময়ের কাজ সময়ে করে ফেললে কোন কাজ আর বোঝা মনে হয় না। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই যাদের সাথে কাজ করছেন তাদের সহযোগিতার মনোভাব থাকতে হবে। সময় জ্ঞান এবং কাজে পারদর্শীতা থাকলে সময় অনুযায়ী কাজটি গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

যদি কয়েকজন দক্ষ সহকর্মী থাকে তাহলে সব কাজ খুব সহজে করে ফেলা যায়। কারন দক্ষ সহকর্মিরা বুঝতে পারে যে কাজটি দ্রুত করে দিলে পুনরায় আরও বেশি কাজ আসবে। তাই ব্যবসায় সফল হতে হলে কিছু দক্ষ সহকর্মী খুব বেশি প্রয়োজন। এছাড়া কর্মীদের যদি আলাদা সুবিধার ব্যবস্থা করা হয় যেমন বোনাস বা খাবারের ব্যবস্থা তাহলে অবশ্যই কর্মীদেরও কাজ করার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও যদি কর্মীদের ভালো কাজের জন্য প্রশংসা করা হয় তাহলে অবশ্যই তারা নিজের ইচ্ছায় কাজ করবে। আর এই ইচ্ছার ফলে তাদের মধ্যেও সময়ানুবর্তিতা কাজ করবে।

সর্বোপরি বলা যায়, ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য নিজের ইচ্ছা, সময়ানুবর্তীতা এবং একটি দক্ষ দল হলেই অবশ্যই সফল হওয়া সম্ভব।