উদ্যোক্তা হওয়ার ২৫টি কারন

উদ্যোক্তা হওয়ার ২৫টি কারন (25 reasons to be an entrepreneur) 

উদ্যোক্তা হওয়ার ২৫টি কারন

উদ্যোক্তা হওয়ার ২৫টি কারন

উদ্যোক্তা হওয়ার সবচেয়ে বড় কারন আর্থিক ও মানসিক স্বাধীনতা অর্জন করা। উদ্যোক্তা হওয়া অত্যন্ত কঠিন কিন্তু এর সুবিধার লিস্ট করে শেষ করার মত নয়। আজকের এই আর্টিকেল আমি আপনার সাথে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রধান ২৫টি কারন তুলে ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করছি।

১। উদ্যোক্তা হতে পারলে আপনাকে কারো অধীনে কাজ করত হবে না। আপনি নিজেই নিজের বস হতে পারবেন।

২। নিজস্ব সময়সূচী সেট করে কাজ করতে পারবেন। আপনি শনিবার কাজ করতে চান পারবেন, বুধবার ছুটি কাটাতে চান পারবেন, মূলকথা নিজস্ব সময়সূচী অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন।

৩। নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করা। একজন উদ্যোক্তা সব সময় তার আবেগের কথা শুনে, তার নিজের পছন্দ খুঁজে সেখান থেকে নতুন কোনো ব্যবসা সৃষ্টি করে।

৪। আপনি উদ্ভাবক হিসাবে কাজ করতে পারবেন। সাধারনত একজন উদ্যোক্তা পুরাতন কোনো ব্যবসা নিয়ে কাজ করতে চায় না বরং নতুন কোনো ব্যবসা সৃষ্টি করতে চায়।

৫। আপনার কোম্পানিতে কে বা কারা কাজ করবে তা একমাএ আপনিই ঠিক করতে পারবেন। এছাড়া কাকে দিয়ে আপনার ব্র্যান্ড পরিচিতি করাবেন তাও আপনি ঠিক করবেন।

৬। আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবেন। সাধারনত একটি ফিক্সড বেতনের চাকরিতে মাস গেলে বেতন পাবেন, যা দিন শেষে প্রায় সমান সমান, কিন্তু যারা প্রকৃতপক্ষে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে চায় তারাই কেবই উদ্যোক্তা হতে পারে।

৭। আপনি কখনই বিরক্ত হবেন না। আপনি প্রায় সব সময় ব্যস্ত থাকবেন। এছাড়া আপনি যখন আপনার ভালোলাগা এবং প্যাশনকে কেন্দ্র করে কাজ করবেন তখন বিরক্ত আপনার কাছেও আসতে পারবেন না।

৮। উদোক্তা হওয়ার সাথে বয়সের কোনও সম্পর্ক নেই। যে কেউ যে কোনও বয়সে উদোক্তা হতে পারে।

৯। আপনি একটি ব্যবসার মালিক। আপনি অন্যের সাথে পরিচিত হওয়ার সময় বলতে পারবেন এটা আমার কোম্পানি, যা আপনার ভিতরে মানসিক শান্তি কারন হয়ে উঠবে।

১০। চ্যালেঞ্জ গ্রহনের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

১১। সাফল্যের নিজস্ব সংজ্ঞা সৃষ্টি করতে পারবেন।

১২। অন্য সফল উদ্যোক্তাদের সাথে নেটওয়ার্কিং গড়ে তুলতে পারবেন।

১৩। আপনার অফিসে বা কাজের স্থানে নিজের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারবেন।

১৪। পরিবারের সদস্যদের সাথে বেশী সময় পার করতে পারবেন।

১৫। ক্রমাগত নতুন জিনিষ শিখতে ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারবেন।

১৬। আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা একমাএ আপনার হাতেই ন্যস্ত থাকবে।

১৭। যেখান থেকে একজন সাধারন মানুষের চিন্তা করা শক্তি হারিয়ে যাবে সেখান থেকেই আপনি চিন্তা করা শুরু করতে পারবেন।

১৮। আপনি কি পোশাক পরে অফিসে যাবেন তা নির্ভর করবে একান্ত আপনার উপর। আপনি টিশার্ট পরেও যেতে পারবেন আবার পাঞ্জাবী পরেও অফিস করতে পারবেন। এছাড়া আপনার অধীনে যেই সকল কর্মী কাজ করবে তাদের ড্রেস কোডও আপনি ঠিক করে দিতে পারবেন।

১৯। একজন উদ্যোক্তা হতে পারলে জীবনে কোনো না কোনো পর্যায়ে আপনার শখ উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।

২০। সমাজ বিনির্মাণে আপনিও ভূমিকা রাখতে পারবেন।

২১। মিডিয়া এবং প্রেস স্বীকৃতি। আপনার ব্যবসা নিয়ে যখন মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনা হবে তখন আপনি যে কঠোর পরিশ্রম করেছেন তার স্বীকৃতি আপনার অভ্যন্তরের আগুনকে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে।

২২। আপনি ভাগ্যের উপর আপনার ভবিষ্যৎকে না ছেড়ে নিজের অবস্থানকে পরিবর্তন করতে পারবেন।

২৩। আপনি অন্যের চোখে উদাহরন হয়ে উঠতে পারবেন।

২৪। গ্রাহকের সমস্যার সমাধানকারী হয়ে উঠতে পারবেন।

২৫। উদ্যোক্তা হওয়া আপনাকে আরো অনেক বড় স্বপ্ন দেখাতে সাহায্য করবে। – কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব লিঙ্ক