অন্যের দোষ খুঁজবেন না

অন্যের দোষ খুঁজবেন না

অন্যের দোষ খুঁজবেন না

অন্যের দোষ খুঁজবেন না

আমাদের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষই নিজের সমলোচনা করা থেকে বিরত থাকি। আমরা এমনই এক অন্ধ প্রানী যারা নিজের দোষ কখনই খুঁজে পাই না। নিজের দোষ ছোট হোক বা বড় হোক না কেন তা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।

 

নিজের সমালোচনা করা কতটা ভালো গুন যা এর তুলনা খুঁজে পাওয়া বড়ই মুশকিল। ঠিক তেমনি অন্যের দোষ খুঁজে তাদের সমালোচনা করাও মোটেই ভাল কিছু না। কারো অবর্তমানে তার দোষ নিয়ে আলোচনা করা এর চেয়ে খারাপ কিছু নেই বললেই চলে।

 

কেউ যদি আমার সমালোচনা করে আমিও তাকে ছেড়ে দেই না।  নানা ধরনের গোপন বিষয় খুঁজে সত্যি মিথ্যা মিলিয়ে তার সমালোচনা করতে থাকি। কিন্তু আমি ভুলে যাই, সমালোচনা করা পোষা পায়রার মত, আমি যত দূরেই উড়িয়ে দেই না কেন তা আবার আমার কাছে ফিরে আসবে।

 

তাই সমালোচনা করার আগে আমাদের এইটা মনে রাখা উচিত যে, যার সমালোচনা করছি সে কিন্তু তা দোষ-ত্রুটি আমাদের সমালোচনার মধ্যমে ঠিক করে নিবে না, বরং সারা জীবনের জন্য তার চোখে শত্রুতে পরিনত হতে হবে।  

 

অন্যের দোষ খোঁজা ধ্বংসের কারন হতে পারে। আমরা অনেকই নানা ভাবে অন্যের দুর্বলতা ও দোষ নিয়ে হাঁসা হাঁসি করি। অন্যের সমালোচনা এতটাই মগ্ন হয়ে যাই যে, কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা না জেনে একাধারে কথা বলতে থাকি। ফলে যাকে নিয়ে সমালোচনা করা হয় তার জীবনটা বিষিয়ে যায়, অনেকই সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যা করে বসে।

 

বিশ্বাস করুন অন্যের সমালোচনা করা, অভিযোগ জানানো, কারো দোষ খোঁজা এসব বোকাদের কাজ। আপনি যদি কারো ভুল শুধরে দিতে চান তবে কখনই সরাসরি “ভুল করেছেন” এই কথা বলবেন না।

 

যদি বলেন তিনি যে ভুল করেছে তা কি মেনে নিবে? মোটেই না। এর কারন আপনি তার বুদ্ধির উপর সরাসরি অনাস্থা জানাচ্ছেন, আঘাত করছেন তা ব্যক্তিত্বে। কোন মানুষই এটি মেনে পারে না।

 

আমাদের মধ্যে অনেকই কোন বিষয় প্রমান করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায়, দেখে মনে হয় এই ব্যপারের উপরই তার জীবন মরন সব কিছু নির্ভর করছে। আমাদের কখনই এই কথা বলা ঠিক হবে না যে, তুমি ভুল করেছ, এর প্রমান আমি করতে পারব।

 

এই কথার আসল মানে কি হয় জানেন, তুমি একটা বোকা, তোমার থেকে আমার বুদ্ধি বেশী। এই ধরনের কথা বার্তা আসলে যুদ্ধের সমতুল্য। হয়ত সে সাথে সাথে আপনার উপর জাপিয়ে পরবে না তবে সে মানসিক ভাবে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রাখবে।

 

প্রতিটি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মধ্যে আত্নসন্মানবোধ আছে। এই মর্যাদাবোধে আঘাত করলে সেই আঘাত নিজেকেও পেতে হবে। তাই ভাবুন কি লাভ অন্যের সমালোচনা করে নিজের মধ্যে নেতিবাচক বিষয় চর্চা করে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আপনি যখন অন্যের দোষ ঢেকে রাখবেন অন্যকেউ আপনার দোষও ঢেকে রাখবে।

কে এম চিশতি সিয়াম // ইউটিউব লিঙ্ক 

আরো পড়ুন –