৫টি সম্ভাব্য কারন যতটা সফল হওয়া উচিত আপনি ততটা সফল নন

৫টি সম্ভাব্য কারন যতটা সফল হওয়া উচিত আপনি ততটা সফল নন

আমাদের সমাজে এই রকম অনেক উদাহরণ আছে ছোট বেলার অনেক মেধাবী ছাত্র বড় হয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। আবার এমনও অনেক উদাহরণ আছে যে, কোনো রকম পাশ করা ছাত্র ক্যারিয়ারে বিশাল সফলতা লাভ করে।

আসলে মেধাবী ছাত্রের ভাগ্য খারাপ এবং কোন রকম পাশ করা ছাত্রের ভাগ্য ভালো তাই এমন হচ্ছে? মোটেই না, প্রকৃত পক্ষে যা হয় তা হলো, স্কুল জীবনে মেধাবী ছাত্রটি ঐ সময়ে চেষ্টা করেছিল। 

তাই সে ভালো ফলাফল করে এবং তুলনামূলক খারাপ ছাত্রটি ঐ সময়ে চেষ্টা করেনি দেখেই সে কোণ রকম পাশ করে। ঠিক তেমনি সফলতার মুলে যেই বিষয় কাজ করে তা হলো আপনার চেষ্টা।

আসুন কি কারনে আসলে আমরা চেষ্টা কম করি কিংবা চেষ্টা করলেও তেমন ভালো ফলাফল আসে না এর কারনগুলো খুঁজে বের করি।

#১। You’re disable by fear বা আপনি ভয়ের কারন অক্ষম হয়ে পরেছেন

আপনি কোন কাজ শুরু করতে ভয় পান, আপনি চেষ্টা করতে ভয় পান এবং আপনি ব্যর্থ হওয়ার ভয় পান।

যখনই আপনার মধ্যে ব্যর্থ হওয়ার ভয় চলে আসবে তখন থেকেই আপনি শুরু করতেই ভয় পাবেন।

কোনো কাজ শুরু না করলে তা কখনোই শেষ হয় না, তাই ব্যর্থ হওয়ার ভয়কে মনের মধ্যে জায়গা না দিয়ে সফলতাকে অঙ্কন করুন। দেখবেন খুব কম সময়ে ব্যর্থ হওয়ার ভয় মন থেকে চলে যাবে।

#২। কাজ করার চেয়ে চিন্তা করতে বেশী পছন্দ করেন

যারা সফল এবং যারা ব্যর্থ তাদের মধ্যে মূল পার্থক্য করে এখানেই।

যেকোনো কাজ শুরু করার জন্য আপনার অনেকগুলো অজুহাত আছে, এই আজকে করব না থাক আজকের দিনটা ভালো না, কালকে শুরু করব।

এই ভাবে দিনের পর দিন চিন্তা করেই পার করে দেন ফলে সেই কাক্ষিত কাজটি আর করা হয় না। যেকোন কাজ শুরু করার জন্য ১০০% নিখুঁত দিন নেই।

তবে হ্যাঁ, কাজের পূর্বে পরিকল্পনা করতে হবে, তবে যেন সেই পরিকল্পনা করে দিনের পর দিন নষ্ট না করে ফেলেন সেই দিকে নজর দিতে হবে।

#৩। আপনার ইতিবাচক মানসিকতা কম

আপনার মনে সব সময় নেতিবাচক আশঙ্কা ঘুরপাক খায়। সব সময় মনে হয়, ঐ কাজের জন্য আপনি সক্ষম না।

এই কাজটি আমার জন্য না, অনেক ঝামেলার আছে, আমি পারব না।

এই রকম নেতিবাচক আশঙ্কা যত দিন থাকবে তত দিন আপনি সত্যি সেই কাজ করতে পারবেন না।

কোনো কাজ শুরু করার আগে নিজের সক্ষমতা নিয়ে অবমুল্যায়ন করা উচিত না। আপনাকে মনে রাখতে হবে পথে নামলেই পথের সন্ধান পাওয়া যায়।

#৪। আপনি খুব সহজেই ছেড়ে দেন

কাজটি শুরু করছেন এবং ব্যর্থ হয়েছেন এবং তা ছেড়ে দিলেন, তাহলে এখানেই সমাপ্তি।

আপনাকে মনে রাখতে হবে কেউ যদি কোণ দিন ব্যর্থতার স্বাদ না নেয় তবে সফলতা কি সে কোন দিনই বুঝতে পারবে না।

এই বিশ্বে একজন সফল ব্যক্তি পাবেন না যিনি কোন দিন ব্যর্থ না হয়ে সফলতা মুকুট পড়তে পেরেছে।

আপনি যখন কোনো কাজে ব্যর্থ হবেন তখন সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুনরায় চেষ্টা করতে হবে, তবেই সেই কাক্ষিত সফলতা ধরা দিবে।

আরোও পড়ুন – জীবনে সফল হতে চাইলে এই ৭টি বড় বাধা অবশ্যই কাটিয়ে উঠতে হবে

#৫। আপনি নেতিবাচক মানুষের সাথে নিজেকে ঘিরে রাখেন

একজন ঘুমন্ত মানুষ অন্য আরেক জন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগাতে পারে না।

একজন হতাশা ডুবে থাকা মানুশ অন্যকে হতাশা থেকে বের হওয়ার কোন উপায় বলতে পারে না।

আপনার জীবনে থাকা মানুষগুলোর প্রভাব আপনার মধ্যে না চাইলেও পরবে।

আমরা আমাদের পরিবার পরিবর্তন করতে পারব না, তবে আমাদের বন্ধুদের পরিবর্তন করতে পারব।

নেতিবাচক মানুষের থেকে নিজেকে যত দূরে রাখা যাবে ততই আপনি সফলতার কাছাকাছি চলে আসতে পারবেন।