লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাইলে নিজেকে নিজেই অনুপ্রাণিত করুন (ইনফোগ্রাফিক)
লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাইলে

নিজেকে নিজেই অনুপ্রাণিত করুন
লক্ষ্য ছাড়া জীবন একটি দৌড়ের মতো যেখানে কোনও গন্তব্য নেই। জীবনে সফল হতে চাইলে অর্থাৎ জ্ঞান, মানসিক শান্তি, ধন-সম্পদ, সামাজিক অবস্থা ও মানুষের ভালবাসা পেতে চাইলে আপনাকে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই হবে।
অন্যের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আপনি হয়ত নিজেকে ২/১ দিন অনুপ্রাণিত রাখতে পারবেন কিন্তু আপনি যদি নিজেকে নিজেই অনুপ্রেরণা দিতে পারেন তবে তাই হবে স্থায়ী।
লক্ষ্য নির্ধারণ করার পরে সেই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাইলে কিভাবে নিজেকে নিজেই অনুপ্রাণিত করা যায় এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর ৮টি কৌশল।
#১। লক্ষ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে
আপনি যা চান তাই সম্ভব যদি আপনি বিশ্বাস করেন। আমাদের ব্রেন এতটাই শক্তিশালী যে, যা আমরা চিন্তা করতে পারব তাই বাস্তবায়ন করতে পারব। তাই লক্ষ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
#২। অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা দেওয়া বন্ধ করতে হবে
প্রতিটি মানুষই আলাদা। আপনি যত চেষ্টা করুন না কেন অন্যের মত শতভাগ হতে পারবেন না, ঠিক তেমনি আপনার মতও কেউ হতে পারবে না। তাই শুধু শুধু অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা দিবেন না।
#৩। অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে
অভ্যাস এমন কিছু বিষয় যা আমরা প্রতিনিয়ত করে থাকি। আপনার লক্ষ্য পূরণে যদি কোনও অভ্যাস বিরোধী আচরন করে তবে তা এখনই পরিবর্তন করতে হবে।
#৪। সমস্যা নির্ণয় করতে হবে
কোনও কিছুর সমাধান তখনই করা যায় যখন সমস্যা নির্ণয় হয়। আপনি যেই লক্ষ্য পূরণ করতে চাচ্ছেন তার বড় বাঁধা কি তা খুঁজে বের করতে হবে।
ধরুন, আপনি অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যয় করেন,এবং আপনি বুজতে পেরেছেন এই সময়টা আপনি নষ্ট করছেন, তাই এটি একটি সমস্যা এবং এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে হবে।
#৫। নিজের সাথে নিজেই কথা বলুন
অনেকে এটাকে পাগলের প্রলাপ বলতেই পারে, কিন্তু নিজের লক্ষ্য পূরণে এটি দারুন কাজ করে। নিজের সাথে নিজেই কথা কঠিন কিছু না, নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন আপনি কি চান, কিভাবে অর্জন করবেন, এবং পরবর্তী ধাপগুলো কি হতে তা নিয়ে নিজের সাথে আলোচনা করুন।
#৬। সমালোচনায় ভয় পাবেন না
আপনি একটু খেয়াল করলে দেখবেন যখন ঝড় হয় তখন বড় গাছগুলো বাতাসে বেশী নড়ে। আশে পাশের আগাছার উপর ঝড়ের কোন প্রভাব পরে না।
ঠিক তেমনি আপনি যখন কোনও বড় লক্ষ্য পূরণ করতে চাইবেন তখন সমালোচনা শুনবেন। এই সমালোচনায় আমাদের কান না দিয়ে নিজের মত করে কাজ করে যেতে হবে।
#৭। পজিটিভ মানুষের সাথে নিজেকে ঘিরে রাখুন
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমাদের আশে পাশের মানুষ যারা আছে বা যাদের সাথে আমরা ওঠা বসা তাদের একটি প্রভাব নিজেদের মধ্যে পরে। তাই এমন মানুষের সাথে আমাদের চলা উচিত যারা মানুষ নিয়ে কথা বলে না, ররং আইডিয়া নিয়ে কথা বলে।
#৮। আগে যেই কাজ করেছেন সেই কাজের মূল্যায়ন করুন
কিছু দিন পর নিজের কাজের মূল্যায়ন নিজেকেই করতে হবে। কোথায় ভুল করেছেন তা খুঁজে বের করতে হবে এবং কিভাবে আরোও সুন্দর করা যায় সেই দিকগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।