যেভাবে বিনিয়োগ পরিকল্পনা করবেন

বিনিয়োগ পরিকল্পনা

বিনিয়োগ পরিকল্পনা

বিনিয়োগ পরিকল্পনা

বিনিয়োগ আসতে চাই আমরা অনেকেই। কিন্তু বিনিয়োগ নিয়ে আছে নানান ভয়, আশংকা। লোকসান বা লস্ হওয়ার ভয় যেখানে প্রধান। তবে জেনে বুঝে, যাচাই-বাছাই করে বিনিয়োগ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। আর মনে রাখবেন আপনি কখনোই খালি হাতে ফিরবেন না। হয় জিতবেন, না হয় শিখবেন।

জীবনে এমন চিন্তা ধারার মানুষগুলোই সফল হতে পারে। বিনিয়োগ তো অনেকেই করে, তবে কেউ সফল হয়, কেউ ব্যর্থ হয়। কেউ আবার সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যায়। বিনিয়োগ করার পূর্বে সবচেয়ে গুরুতপূর্ণ কাজ হলো বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা। একটি সঠিক পরিকল্পনা আপনার কাজের ৮০ ভাগ সফলতা নিশ্চিত করে।

সুতরাং যেকোনো বিনিয়োগের পূর্বে ভাল করে পরিকল্পনা করা আবশ্যক। বিনিয়োগের পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় আমাদের খেয়াল করা উচিত:

১। সময়

কত সময়ের জন্য আপনি বিনিয়োগে আসতে চাইছেন সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এক ধরণের হয়ে থাকে, আবার স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা হয় ভিন্ন রকমের। সুতরাং বিনিয়োগ পরিকল্পনা করার সময় কত সময়ের জন্য বিনিয়োগ করবেন সেই বিষয়ে চিন্তা করা উচিত।

২। অর্থের পরিমান

আপনি কত অর্থ নিয়ে বিনিয়োগে আসতে চাইছেন সেটিও পরিকল্পনার অংশ। অনেকেই মনে করেন অনেক বেশি অর্থ না নিয়ে বিনিয়োগে আসা যায় না। কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। আপনার টাকার পরিমানের উপর আপনার বিনিয়োগ মাধ্যম নির্ভর করে।

উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, শেয়ার বাজারে আপনি যদি বিনিয়োগ করতে চান তবে সেক্ষেত্রে দামী শেয়ার মানেই ভাল শেয়ার, এই তথ্য ভুল। আপনাকে অনেক টাকা দিয়ে দামী শেয়ার কিনতে হবে বিষয়টি এমন না। বরং কম দামের শেয়ার দিয়ে আপনি বেশ অনেকটা লাভ করতে পারেন। বিনিয়োগ পরিকল্পনার শুরুতেই আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমান নিশ্চিত করুন।

৩। মুদ্রাস্ফীতি

সময়ের সাথে টাকার মান পরিবর্তিত হয়। বর্তমান সময়ের ৫ লাখ টাকার মূল্য, ৫ বছর পর নিশ্চয় একই থাকবে না। আপনি এখন যে জিনিস ১০ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন, ২ বছর পর সেই জিনিস এগার হাজার টাকায় পাবেন কি যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

সুতরাং বিনিয়োগের টাকা সময়ের সাথে মুদ্রাস্ফীতির কোন ধাপে যেয়ে পৌঁছাবে বিনিয়োগের প্রথমেই আপনাকে তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি আরো গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যরা যা এখন পড়ছে – বিনিয়োগে ভয় পাই! কিভাবে মোটিভেট থাকবো

৪। রিস্ক বা ঝুঁকি

কম রিস্ক কম লাভ, বেশি রিস্ক, বেশি টাকা। আমাদের সমাজে অত্যন্ত প্রচলিত একটি কথা। এই কথা নিয়ে অনেক দ্বিমত থাকলেও রিস্কের পরিমান আপনাকে যাচাই করতে হবে। বেশি রিস্ক নেওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না কি, আর কতটা রিস্ক নেওয়া যুক্তি সংগত সেই বিষয়ে ভেবে দেখতে হবে।

আরোও পড়ুন – বিনিয়োগ সম্পর্কে ধারনা

৫। ধাপে ধাপে বিনিয়োগ

বিনিয়োগ ধাপে ধাপে করাই শ্রেয়। মনে করি, আপনি একজন নতুন বিনিয়োগকারী এবং আপনার কাছে ৫ লাখ টাকা আছে। তবে এক্ষেত্রে সব টাকা এক বারে বিনিয়োগ না করে ৩ ধাপে বিনিয়োগ করতে পারেন।

যেমন প্রথমে আড়াই লাখ  টাকা এবং পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে বাকি টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি পরিস্থিতি যাচাই করার সময় পাবেন এবং সব টাকা একবারে বিনিয়োগ করে বিপদে পরবেন না। বিনিয়োগের পরিকল্পনা করার সময় এই বিষয়টিও ভেবে দেখা উচিত।

বিনিয়োগের আগে একটু সময় ব্যয় করে হলেও, যথাযথ সময় নিয়ে বিনিয়োগ পরিকল্পনা করা উচিত। এতে পরবর্তী সময়ে অনেক ঝামেলা এবং অনাকাংক্ষিত ঘটনা এড়ানো যায়। ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল – Bangla Preneur YouTube Channel