যেকোন ক্যারিয়ারে দরকারি ৮টি সাধারণ দক্ষতা
ক্যারিয়ারে দরকারি ৮টি সাধারণ দক্ষতা
আপনি অনেক সময় খেয়াল করলে দেখবেন অনেকেই নামকরা ইউনিভারসিটি থেকে পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করেও ক্যারিয়ারে নিজেকে ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে পারে না। আবার অন্যদিকে এই রকম অনেক উদাহরন আছে, যারা কোন রকম পড়ালেখা শেষ করে কিংবা অল্পস্বল্প পড়ালেখা করে নিজেদেরকে সফলতার সিংহাসনে বসাতে পারে।
আপনি যদি নিজেকে মেধাবী দাবি করেন কিন্তু পরিশ্রম না করতে চান তবে আপনি সফল হতে পারবেন না, ঠিক তেমনি পন্ডশ্রম নামেও একটি শব্দ আছে তাও ভুলে গেলে চলবে না।
যেকোন ক্যারিয়ারে সফল হতে চাইলে মেধা ও পরিশ্রম লাগবে। তার পরেও কিছু দক্ষতা আপনার মধ্যে থাকতে হবে যা প্রায় প্রতিটি ক্যারিয়ারে আপনার দরকার পরবে। আসুন যেকোন ক্যারিয়ারে দরকারি ৮টি সাধারণ দক্ষতা কি কি তা জানার চেষ্টা করি।
#১। ভাল ব্যবহার। ভাল ব্যবহারের গুরুত্ব আমি বলে শেষ করতে পারব না। চাকরির ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে দক্ষ কর্মচারী ধরে রাখা সব জায়গায় ভালো ব্যবহারের গুরুত্ব রয়েছে।
#২। সমস্যা সমাধানের দক্ষতা। আপনি যেই ক্যারিয়ার বেছে নিন না কেন সমস্যা আপনার পিছন ছাড়বে না। আপনি যদি নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান তবে গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করতে হবে।
আপনি যদি চাকরি করেন তবে আপনার উপরস্থ কর্মকর্তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। সমস্যা সমাধানের দক্ষতাকে সৃজনশীল একটি গুণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
#৩। যোগাযোগের দক্ষতা। যোগেযোগে দক্ষ কোন ব্যক্তি কোন ক্ষেএে আটকে থাকে না। আপনি যা বলতে চান তা একটু গুছিয়ে বলা, বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশন দিতে পারা, কোন কাজের সঠিন রিপোট উপস্থাপন করা যোগাযোগ দক্ষতার অন্তর্ভুক্ত।
#৪। লেখার দক্ষতা। লেখার দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দক্ষতা। আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তবে আপনার ব্যবসার জন্য বিজনেস প্ল্যান লিখতে হবে, হিসাব রাখতে হবে। যদি চাকরি করতে চান তবে লেখার দক্ষতা আরোও বেশী দরকার।
আপনাকে নানা সময়ে নানা বিষয়ে দরখাস্ত লিখতে হবে, কোন রিপোট বানাতে হবে, প্রেজেন্টেশন প্রস্তুত করতে হবে। মূলকথা যেকোন ক্যারিয়ারের জন্য লেখার দক্ষতা অবশ্যই থাকতে হবে।
#৫। সাধারন তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান। এই বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থেকে আপনি আপনার ক্যারিয়ার বেশী দূর এগিয়ে নিতে পারবেন না। কিভাবে প্রফেশনাল ইমেইল লিখতে হয় তা আপনাকে জানতে হবে।
কিভাবে ভার্চুয়াল মিটিং করতে হয় তা আপনাকে জানতে হবে। তথ্য প্রযুক্তিতে আপনি যত বেশি এগিয়ে থাকতে পারবেন তত বেশী ক্যারিয়ারের দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন।
#৬। না বলতে পারা। অনেক সময় আপনাকে না বলতে হবে। আপনার জন্য যেই কাজ কোন ফলাফল বহন করবে না সেই সকল কাজকে না বলতে হবে। না বলতে পারা কোন অপরাধ না, বরং এটি আপনার স্পষ্টবাদিতাকে তুলে ধরবে।
#৭। কমফোর্ট জোন ত্যাগ করা। কমফোর্ট জোনে থেকে কেউ কোন দিন ক্যারিয়ারে সফল হতে পারে না। কমফোর্ট জোন শুধু মাএ একটি মরীচিকা ছাড়া আর কিছুই না। আপনি যত তাড়াতাড়ি কমফোর্ট জোন ছাড়তে পারবেন তত তাড়াতাড়ি সফলও হতে পারবেন।
#৮। সময় ব্যবস্থাপনা। Time Management বা সময় ব্যবস্থাপনায় আপনাকে দক্ষ হতে হবে। কাজের গুরুত্ব বুজে আপনার জন্য থাকা সময়কে কার্যকর উপায়ে কাজে লাগাতে হবে। এই সময় ব্যবস্থাপনা আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে যদি আপনি সঠিকভাবে তা প্রয়োগ করতে পারেন।
#৯। টিমে কাজ করার দক্ষতা। টিম কাজ করা মানে হচ্ছে আপনি একজনকে সাহায্য করছেন এবং আপনাকেও অন্যকেউ সাহায্য করছে এবং এই ভাবে একে অপরকে সাহায্য করার মাধ্যমে বড় একটি কাজ সফল করা। বিশেষভাবে আপনি যদি চাকরি করতে চান তবে তবে টিমে কাজ করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
#১০। নতুন কিছু শেখার আগ্রহ। নতুনত্বকে স্বাগত জানাতে হবে, নতুন বিষয় জানার চেষ্টা করতে হবে। নতুন কিছু শেখার আগ্রহ আপনাকে প্রায় প্রতিটি ক্যারিয়ারে সফল করতে সাহায্য করবে। – কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব লিঙ্ক