মহিলা উদ্দোক্তা – যেভাবে একজন মহিলা হতে পারে সফল উদ্দোক্তা

মহিলা উদ্দোক্তা – যেভাবে একজন মহিলা হতে পারে সফল উদ্দোক্তা

মহিলা উদ্দোক্তা - যেভাবে একজন মহিলা হতে পারে সফল উদ্দোক্তা

মহিলা উদ্দোক্তা – যেভাবে একজন মহিলা হতে পারে সফল উদ্দোক্তা

আমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেই মহিলা সংসার পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবারের নির্ভরশীল সদস্য হিসাবে মহিলাদের জুড়ি নেই। সংসার পরিচালনা ছাড়াও কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘরে বসে কাঁথা সেলাই, পাখা তৈরি , হোগলা বুনানো, কাপড়ে বিভিন্ন রং এর নকশা ফুল তোলা, বাঁশ বেতের কুলা, ডালা, চালুনি ইত্যাদি তৈরী করেন।

যাহা বিক্রয়ের মাধ্যমে সংসারে বাড়তি উপার্জনের সুযোগ ঘটে। এদের মধ্যে লেখা পড়া জানা, হিসাব নিকাশ ব্যবসা ও লেনদেনে সীমাবদ্ধতা আছে। তদুপরি ক্রয় বিক্রয় ও বাজারজাত করনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের এই সকল উদ্দোগ ভাল ভাবে পরিচালনার নজীর দেখা যায়। সংসারের নানাবিধ কাজের পরেও গ্রামের সাধারন মহিলারা অলসতা পরিহার করে বাড়তি শ্রমের বিনিময়ে নিজস্ব আয় করতে আগ্রহী। তাই তাদেরকে উদ্দোক্তা হিসাবে চিহ্নিত করা।

পাশাপাশি মহাজনী চড়া সুদের পরিবর্তে প্রতিষ্টানিক ব্যবস্থাপনায় অর্থ সহায়তা। প্রয়োজনীয় পরামর্শ, ক্ষেত্র বিশেষ দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও সঠিক প্রকল্প চিহ্নিত করলে সহযোগিতা অত্যান্ত প্রয়োজন। আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্টান বা সংস্থা থেকে গ্রামের দরিদ্র মহিলারা ঋণ নিয়ে স্বউদ্দোগে আয় সৃষ্টি কারী কর্ম করছেন। যার দ্বারা তাদের সংসারে ব্যায়ের একটি অংশ পুরণ হচ্ছে।

প্রকৃত পক্ষে উদ্দোক্তা বলতে যা বুঝায় সেটা কম সংখকের মধ্যে রয়েছে। আবার কখনো কখনো দলগত ভাবে ঋণ নিয়ে দলগত ভাবে কাজ করে ঋণ পরিশোধ করে থাকেন। একক ভাবে এখন ঝুঁকি নিতে হয় না। স্বনিয়োজিত কর্মকান্ডে আর্থিক সাহায্য প্রদান ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শিল্প উদ্দোক্তা সৃষ্টি করে না। এ গুলো শুধু নিজস্ব উপাজর্নের আগ্রহ ও সুযোগ সৃষ্টি করে।

যেখানে পদ্ধতিগত ভাবে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ কম, কোন ঝুঁকি বহন করে না, অন্যের কর্মসংস্থান হয় না এবং এমন কর্মকান্ড যা কোন গঠনমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে না। সেখানে শিল্প উদ্দোক্তা হয় না। আমাদের দেশে যেখানে কর্মসংস্থান প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার মাধ্যমে শুরু থেকে উদ্দোক্তা মনোভাবী করে গড়ে তোলা। যাতে ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে তাদের মধ্য থেকে উদ্দোক্তা তৈরী হয়। এক পর্যায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। অন্যের কর্মসংস্থান হবে মহিলারা আয় করবে, সংসারে অর্থ যোগান দিবে। সম্পদের মালিক হবে তাহলেই মিলবে সামাজিক মর্যাদা, পারিবারিক স্বীকৃতি ও নিরাপত্তা।