ব্যবসা করতে চাইলে এই ১০ ব্যবসায়িক দক্ষতা অর্জন করতে হবে

ব্যবসা করতে চাইলে

ব্যবসা করতে চাইলে – ১০টি ব্যবসায়িক দক্ষতা থাকা চাই

ব্যবসা শুরু করা যতটা সহজ ঠিক তেমনি ব্যবসা পরিচালনা করা ততটাই কঠিন। সাধারনত একজন উদ্যোক্তা তার আবেগকে পুঁজি করে ব্যবসা শুরু করে। যে কোনও ব্যবসায় সফল হতে চাইলে আবেগের কোনও বিকল্প নেই। অর্থাৎ যেই ব্যবসাটি শুরু করতে চাচ্ছেন তার প্রতি যদি আপনার ভালো লাগা না থাকে তবে আপনি সফল হতে পারবেন না।

ব্যবসার জন্য যেমন আবেগ থাকতে হবে ঠিক তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতাও থাকতে হবে। কিছু কিছু দক্ষতা ব্যবসা শুরু করার আগেই নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে এবং কিছু কিছু দক্ষতা ব্যবসা শুরু করার পরে নিজের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে হবে।

আসুন জেনে নেই, ব্যবসা করতে চাইলে যেই ১০ ব্যবসায়িক দক্ষতা অর্জন করতে হবে তা কি কি।

#১। সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা।

টাইম ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান আপনার মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। আপনার সময়কে সবচেয়ে কার্যকর এবং উৎপাদনশীল উপায়ে ব্যবহার করতে হবে।

আমাদের প্রতিটি মানুষের জন্যই ২৪ ঘণ্টায় ১দিন। এই সময়কে সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আগে করা, কম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি পরে করা, আউটপুট ছাড়া কাজ না করা, একই জিনিষ বার বার ব্যবহার করা এই সবই সময় ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত।

 

#২। সমস্যা সমাধানের দক্ষতা

একজন উদ্যোক্তা কমন কোনো পণ্য নিয়ে ব্যবসা করতে চায় না। গ্রাহকের সমস্যার সমাধান হয় এমন কোন পণ্য বা সেবা নিয়ে বাজারে আসে। 

এছাড়া  সমস্যা ও ব্যবসা একে অপেরর সাথে লেগেই থাকবে। আপনি যখনই একটি পদক্ষেপ নিতে যাবেন তখনই একটি সমস্যা এসে দরজায় টোকা দিবে।

যেই সমস্যাই আসুন না কেন তা সমাধানের দক্ষতা থাকতে হবে। আরোও পড়ুন – উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর মধ্যে মূল পার্থক্য

 

#৩। নেতৃত্ব।

একজন ব্যবসার মালিক ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নেতা। দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী নিয়োগ করা থেকে শুরু করে তাদের পরিচালনা করার দক্ষতা থাকতে হবে।

আপনার কর্মীদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং উত্পাদনশীলতা উন্নত করতে অবশ্যই কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হতে হবে।

যেই কর্মী যেই কাজে দক্ষ তাকে সেই কাজেই লাগাতে হবে। অনেক সময় অনেক উদ্যোক্তা সব কাজ একা করতে চায়, যার ফলে ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা খারাপ হতে পারে।

 

#৪। প্রকল্প পরিচালনা ও পরিকল্পনা।

যে কোনো ব্যবসায় একটি বিজনেস প্ল্যান লাগে এবং সেই বিজনেস প্ল্যান অবশ্যই লিখিত হতে হবে। একজন ব্যবসার মালিক হিসাবে আপনাকে এই বিজনেস প্লানের কাজ করতে হবে।

আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে আপনি আপনার ব্যবসাটিকে কোথায় দেখতে চান তার একটি রুপরেখা সাজাতে হবে। পরিকল্পনা করার পর সেই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ধাপগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে হবে।

 

#৫। যোগাযোগ দক্ষতা।

যোগাযোগ দক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা যা শুধু ব্যবসা করতে চাইলেই লাগবে না বরং জীবনের প্রতিটি ধাপে এই দক্ষতা কাজে লাগবে।

একজন ব্যবসায়ী হিসাবে আপনাকে গ্রাহকের মন জয় করতে হবে। আপনার সরবরাহকারী, সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী, গ্রাহক এবং কর্মচারীদের সাথে আপনার যোগাযোগ ও আলোচনা করতে হবে।

#৬। পরিশ্রম করার দক্ষতা।

পরিশ্রম শুধু ব্যবসায়িক দক্ষতাই নয় বরং আপনার ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে। আজকে যত সফল ব্যবসায়ী রয়েছেন তাদের মধ্যে যত দক্ষতা আছে তার মধ্যে পরিশ্রম করার দক্ষতাই আপনি প্রথম সারিতেই পাবেন। ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

 

#৭। ব্যবসা সম্পর্কিত নতুনত্ব জানার আগ্রহ

জ্ঞান মানুষকে বড় করে আবার জ্ঞান নিতে না চাওয়া ধ্বংস করে। ব্যবসায় অনেক সময় কম অভিজ্ঞ কর্মচারীর পরামর্ষ কাজে লাগতে পারে। তবে সবার কথা শুনবেন কিন্তু সিন্ধান্ত আপনি নিজেই দিবেন।

 

#৮। নেটওয়ার্কিং দক্ষতা।

অন্যদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করা আপনার ব্যবসাকে বাড়িয়ে সুবিধা দিবে। আপনি যেই শিল্পে ব্যবসা করছেন সেই শিল্পের অন্য ব্যবসার মালিকেরদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

 

#৯। নমনীয়তা

অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক দক্ষতার নাম নমনীয়তা। আপনার গ্রাহক থেকে শুরু করে কর্মচারী সবার সাথে নমনীয় ভাবে চলতে হবে।

যাকে যে কাজ দিবেন সে কাজ তাকে বুজিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তাকে সাহায্য পর্যন্ত করতে হবে। যেই পরিস্থিতি আসুন না কেন নমনীয়তা আপনাকে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

 

#১০। হিসাব রাখা।

অনেক সময় অনেকই ব্যবসার শুরুতে হিসাব মুখে মুখে গুনতে পছন্দ করে। কিন্তু একজন সফল ব্যবসায়ী একটি টাকাও হিসাবের বাইরে রাখে না। আপনার ব্যবসা ছোট হোক কিংবা বড় হোক না কেন ব্যবসার সঠিক হিসাব আপনাকে মিলাতেই হবে। – কে এম চিশতি সিয়াম – ইউটিউব লিঙ্ক