বাংলাদেশে জীবন বীমার অগ্রসরমানতা

বাংলাদেশে জীবন বীমার অগ্রসরমানতা

প্রায় ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বিশাল জন সংখ্যার এই দেশ বাংলাদেশ। এ দেশে বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্যে যেমন বন্যা, খরা, জলোচ্ছাস, অর্থনৈতিক মন্দা, এর মধ্যেও প্রায় ৩০টি জীবন বীমা কোম্পানীর মাধ্যমে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের সঞ্চয় সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধান করে আসছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার আলো জাগিয়ে দেশী বিদেশী জীবন বীমা কোম্পানী গুলি আস্তে আস্তে শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত। যতই দিন যাচ্ছে বীমা ব্যবস্থার প্রবৃদ্ধির হার ততই বাড়ছে। এক কথায় বলা যেতে পারে সঞ্চয় ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এর সফলতা ক্রমান্বয়ে উর্ধ্বমুখী ও আশাব্যঞ্জক।

মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর প্রচেষ্টার সাথে সাথে নিরাপত্তা বোধের অভাব দিনে দিনে পরিলক্ষিত হওয়ায় বর্তমানে অন্যতম চাহিদা হিসাবে মানুষের নিরাপত্তা চাহিদা সামনে আসছে। আর এই চাহিদা মেটাতে জীবন বীমার কদর আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে।

জীবন বীমা ঝুঁকি কাটিয়ে জীবন দর্শায় অন্যান্য ক্ষেত্রে সমস্য সমাধানে তথা চাহিদা মেটাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। যেমন বীমার টাকার ট্যাক্স রিবেট সুবিধা, অবসর জীবনের জন্য অবসর ভাতা সুবিধা ও সামাজিক আর্থিক নিরাপত্তা।

এছাড়া অগ্রসর মনেতার ক্ষেত্রে কর্মীদের বাধা ধরা বেতনের কোন সুযোগ না থাকলেও চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসাবে বীমা পেশা গ্রহণ করাও একটি কারন। এখানে পলিসি বিক্রয় বা গ্রাহকের সংখ্য বৃদ্ধি আয়ের সাথে সর্ম্পকিত এই ব্যবস্থাই বীমা কর্মীকে সাফল্যোর স্বপ্ন দেখায়।

এখানে সম্ভাব্য আয়ের মাসিক একটি চিত্র তুলে ধরা হলো

বাংলাদেশে জীবন বীমার অগ্রসরমানতা

বাংলাদেশে জীবন বীমার অগ্রসরমানতা

-বার্ষিক প্রিমিয়াম বেসিক বৎসরে প্রতি পলিসি ২৪০০০।

-পলিসির মেয়াদ ১৫ থেকে ২০ বছর।

-পারসিসটেনসি -১০০%।

-মাসে ৫টি পলিসি বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রথম বছরে মাসে ৩৮৪০০/-

-৫ম বছর থেকে প্রতি মাসে ১ লক্ষ্য টাকা আয়ের সুযোগ।

আরো পড়ুনঃ বীমা কিভাবে আর্থিক নিরাপত্তা বিধান করতে পারে।

 

জীবন বীমা পেশা এমন একটি পেশা যখনই আপনি বিক্রয় করবেন তখনই আপনার আয় হবে। এই পেশায় ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, ব্যারিষ্টার, হওয়ার মত অনেকদিন সাধনা পড়াশুনা বা অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। আপনাকে স্পেশিলিষ্ট হতে হবে এমন নয়। বিক্রয় কাজের মাধ্যমে যত দিন যাবে তত আয় বাড়বে ও পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আস্তে আস্তে  জ্ঞান বৃদ্ধি ও দক্ষতার উম্মেস ঘটবে। সর্বোপরি সমাজ পরিবর্তনে একজন বীমা কর্মীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য বীমা কর্মীর কাজের মাধ্যমে পারিবারিক আর্থিক বিপর্যয় রোধ, সঞ্চয়ের প্রবণতা, শিক্ষার সুযোগ লাভ, অবসর জীবনে অর্থের যোগানদান, পরিবারে সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং বিচ্ছিন্নতা থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালনে সচেষ্ট।