প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশের শেয়ারবাজার পর্ব ৪
প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশের শেয়ার বাজার পর্ব ৪

প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশের শেয়ার বাজার পর্ব ৪
প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশের শেয়ার বাজার সিরিজের আজকের পর্বে আমরা জানব, প্রবাসে থাকা কালীন সময়ে কিভাবে বিও একাউন্টে টাকা জমা দিবেন এবং টাকা তুলবেন।
বিও একাউন্টে টাকা লেনদেন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়, তবে মোটেই জটিল কিছু না। যখন আপনার বিও একাউন্ট রেডি, টাকা জমা দিয়ে শেয়ার কেনা/বেচা করতে পারবেন। আপনি নানা উপায়ে টাকা জমা দিতে পারবেন।
যেমন, আপনি আপনার নিকট আরো কাছে টাকা পাঠালেন তিনি টাকা তুলে ক্যাশ করে ব্রোকার হাউসে জমা দিয়ে টাকা জমা দেওয়ার ডকুমেন্ট তথা রিসিপ্ট নিয়ে আসতে পারবে।
এর পরে আপনার নামে থাকা ব্যাংক একাউন্টের চেক জমা করাতে পারবেন। এছাড়া সরাসরি দেশের বাইরে থেকে ব্রোকার হাউজের ব্যাংক একাউন্টে EFT করে টাকা পাঠাতে পারবেন।
টাকা জমা দেওয়ার রিসিপ্টটির ছবি তুলে ব্রকার হাউসকে ইমেইল করে দিতে হবে, তারা আপনার বিও একাউন্ট টাকা জমা করে দিবে। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও টাকা পাঠানো যাবে তবে এতে খরচ বেশি হয়।
এবার আসি কিভাবে টাকা তুলবেন? আপনার বিও একাউন্টে টাকা জমা করা সহজ, যে কেউ টাকা জমা করতে পারবে, এছাড়া ক্যাশ, চেক, EFT Bank Transfer, মোবাইল ব্যাংকিং নানা উপায়ে টাকা জমা করতে পারবেন। আর টাকা তোলার উপায় কিন্তু একটি, সেটি হলো আপনার ব্যাংক একাউন্ট।
আপনার ব্যাংক একাউন্ট ছাড়া ব্রোকার হাউস কোনো ভাবেই অন্য একাউন্টে কিংবা এমনকি ক্যাশ টাকা ক্লায়েন্টকে দিতে পারবে না।
এর সহজ মানে দাঁড়ায় আপনি যেভাবেই টাকা জমা দেন না কেন, টাকা তোলার পথ আপনার ব্যাংক একাউন্ট।
আপনার যদি ইন্টারনেট ব্যাংকিং না থাকে, তবে দেশে না আসা পর্যন্ত আপনি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন না।
এছাড়া কখনোই ব্যক্তি নামে ব্রকার হাউসে টাকা পাঠাবেন না, সব সময় ব্রোকার হাউসের কোম্পানির নামে টাকা পাঠাবেন।
শেয়ার বাজারে এমন টাকা বিনিয়োগ করা উচিৎ, যা কম পক্ষে ১ বছরের মধ্যে তুলেবেন না, এছাড়া নিয়মিত বিনিয়োগ অব্যাহত করার চেষ্টা করতে হবে। ইনশা আল্লাহ এই বিষয়ে পরে আলোচনা করা হবে।