কিভাবে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান শুরু করবেন

যেভাবে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান শুরু করবেন

ফাস্ট ফুডের দোকান ব্যবসা

ফাস্ট ফুডের দোকান ব্যবসা

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে খাবারের রুচিতে প্রায় সকল বয়সী মানুষের অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে ফাস্ট ফুড প্রায় সকলের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন,পিৎজা ইত্যাদি জাতীয় খাবার গুলোকেই সাধারণত ফাস্ট ফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আর যে কোন ধরনের ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারই মূলত তাৎক্ষণিক ভাবে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এখানে আমরা কিভাবে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান ব্যবসা শুরু করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ফাস্ট ফুডের দোকান ব্যবসা শুরু করার কারন

এই ব্যবসাটি যে কোন উদ্যোক্তার জন্য অর্থোপার্জনের একটি দুর্দান্ত উপায় হয়ে উঠতে পারে। ফলে বহু তরুণ উদ্যোক্তা এই ব্যবসাটির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

বর্তমানে এই ব্যবসাটি বিশ্বব্যাপী একটি লাভজনক ব্যবসায় রুপান্তরিত হয়েছে। সকল পর্যায় গুলো ধাপে ধাপে সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে পারলে এ্ই ব্যবসায় সফলতা অর্জন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

আইটেম বাছাই

ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারের বহু আইটেম রয়েছে। আপনি চাইলেই এই শিল্পের সকল আইটেম নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। এটি প্রায় অসম্ভব। তাই আপনি স্যান্ডউইচ, বার্গার, পিৎজা, পাস্তা, চিকেন ইত্যাদি জনপ্রিয় খাবার আইটেম গুলো নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

অবস্থান

আপনি যদি একটি ফাস্ট ফুডের দোকান শুরু করার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে অবস্থান সনাক্ত করতে আপনাকে পানীয় ও কৃষকদের নিকট হতে খাবার তৈরির কাচাঁমাল সংগ্রহ সহজ হবে কিনা সে বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে।

এক্ষেত্রে পানীয় ও খাবার তৈরির কাচাঁমাল ‍সহজেই সংগ্রহ করা যায় এমন স্থানকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাছাড়া নির্ধারিত স্থানে আইটেম গুলোর চাহিদা কেমন সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। পাশাপাশি স্থানটির পার্কিং সুবিধা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আশপাশের বাসিন্দাদের ক্রয় ক্ষমতাও বিবেচনায় রাখতে হবে।

ডেকোরেশন ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়

আপনার নির্বাচিত ফাস্ট ফুডের দোকানটি আকর্ষণীয় করে সাজাতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণ কিছু আলোকসজ্জা করা যেতে পারে। তাছাড়া গ্রাহকদেরকে খাবার পরিবেশনের জন্য কিছু চেয়ার টেবিল ‍স্থাপন করতে হবে।

পাশাপাশি নজর কাড়া ডিজাইনের কিছু থিমও দোকানের দেয়ালে টাঙানো যেতে পারে। আবার খাবার আইটেম গুলো তৈরির জন্য মাইক্রোয়েভ ওভেন, ব্রেড টোস্টার ও অন্যান্য রান্নাবান্নার সরঞ্জাম ক্রয় করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ

এই ব্যবসাটি শুরু করতে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হতে ট্রেড লাইসেন্স, ইত্যাদি কাগজপত্র গুলো যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে সংগ্রহ করতে হবে।

আইটেম গুলোর মান পরীক্ষা

যে কোন ফাস্ট খাবারের দোকানের সুনাম ও সফলতা মূলত খাবার আইটেম গুলোর মানের উপর নির্ভর করে। তাই মানসম্পন্ন, তরতাজা, স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার সরবরাহের কোন বিকল্প নেই।

এক্ষেত্রে ফাস্ট ফুড আইটেম গুলোর মান ও স্বাদ পরীক্ষার জন্য আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদেরকে দাওয়াত করে আইটেম গুলো খাওয়াতে পারেন।

তারপর তাদের নিকট হতে মান ও স্বাদের ব্যাপারে মতামত গ্রহণ করুন। তাছাড়া দোকানের পরিবেশ অবশ্যই সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

দক্ষ কর্মী নিয়োগ

খাবার তৈরি, সরবরাহ ও অন্যান্য কাজ গুলো পরিচালনার জন্য কর্মী নিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সৎ ও দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী বাছাই করতে হবে।

আরো জানতে – আমাদের ওয়েবসাইটের খাবার ব্যবসা Archives ভিজিট করুন

মার্কেটিং

বর্তমানে ফাস্ট ফুড ব্যবসা গুলো খুবই প্রতিযোগীতা মূলক। তাই এই ব্যবসায় সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই মার্কেটিং কৌশল গুলো যথাযথ ভাবে প্রযোগ করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনি আপনার দোকানের আশপাশের স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন সংস্থাকে টার্গেট করতে পারেন। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও সংস্থায় কর্মরতদেরকে আপনার ব্যবসাটি সম্পর্কে অবগত করুন।

তাছাড়া আশপাশের এলাকা গুলোতে খাবারের ছবি ও দাম সহকারে লিফলেট বিতরণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহার করেও মার্কেটিং করা যেতে পারে।