প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশের শেয়ার বাজার পর্ব ৩

প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশের শেয়ার বাজার পর্ব ৩

প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশের শেয়ার বাজার পর্ব ৩

প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশের শেয়ার বাজার সিরিজে গত পর্বে আমরা বিও একাউন্ট নিয়ে কথা বলেছিলাম। আজকের এই পর্বে আমরা বিও একাউন্ট খোলার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৬১টি ব্যাংক রয়েছে, এর মধ্যে একদম সেরা কোন ব্যাংক তা খুঁজে বের সত্যি একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। ঠিক তেমনি বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৫০টির অধিক ব্রোকার হাউস রয়েছে। এর মধ্যে আমার পক্ষে সকল ব্রোকার হাউস যাচাই করে সেরাটা খুঁজে বের করা সম্ভব না।

তবে সকল ব্রোকার হাউস যথেষ্ট নিয়ম মেনেই ব্যবসা করে। যখন আইনের একটুখানি হেরফের হয়, তখন সিকিউটিরজ এক্সচেঞ্জ কমিশন বা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

একটা ব্যাংক দিতে চাইলে যেমন অনেক নিয়ম মেনেই ব্যাংক দিতে হয়, ঠিক তেমনি ব্রোকার হাউসও কঠিন সব নিয়ম মেনেই ব্যবসা করে। তবে সকল ব্রোকার হাউস একই মানের সেবা দেয় না।

একজন প্রবাসী হিসাবে আপনি যেই ব্রোকার হাউসে বিও একাঊন্ট খুলবেন সেখানে কিছু বাধ্যতামূলক সার্ভিস আপনার দরকার হবে। সব থেকে বড় বিষয় আপনার দরকার হবে অনলাইন সার্ভিস, যা ব্যবহার করে বিদেশে থাকা কালীন সময়ে শেয়ার কেনা/বেচা করতে পারবেন।

বিশেষ করে, মোবাইল অ্যাপের সুবিধা দিবে কিনা, প্রতিদিন পোর্টফোলিও ইমেইলে পাঠাবে কিনা, শেয়ার কেনা/বেচার পর কনফারমেশন রিসিট দিবে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিশ্চিত করে বিও একাউন্ট খুলবেন।

বর্তমানে ব্রোকার হাউসগুলোর ওয়েবসাইটে অনলাইনে বিও একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা রয়েছে। একাউন্ট খোলার আগে দরকারে তাদের সাথে যোগাযোগ করে নিতে পারবেন।

অনেক প্রবাসী আছেন, যাদের নিজের নামে ব্যাংক একাউন্ট নেই, তারা তাদের নিজের নামে বিও একাউন্ট খুলতে পারবেন না। এই ক্ষেএে আপনার নিকটজন যেমন, বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তানের যদি ব্যাংক একাউন্ট থাকে তাহলে তাদের নামে বিও একাউন্ট খুলে আপনি শেয়ার কেনা/বেচা করতে পারবেন। তবে যত দ্রুত সম্ভব নিজের নামে বিও একাউন্ত খোলার চেষ্টা থাকতে হবে।

এবার আসুন ব্রকার হাউজের কমিশন নিয়ে আলোচনা করা যাক।

ব্রোকার হাউস আপনাকে যে সেবা দিবে এর বিনিময়ে আপনি যখন শেয়ার কেনা/বেচা করবেন তখন একটা কমিশন নিয়ে হয়। যখন কেনা/বেচা করবেন তখন অটোমেটিক সিস্টেমে আপনার একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিবে।

ব্রোকার হাসজ ভেদে এবং আপনার বিনিয়োগ কৃত টাকার পরিমানের উপর ভিত্তি করে এই কমিশন নির্ভর করে। তবে গড়ে একটা ব্রোকার হাউস ৪০ পয়সা কমিশন নিয়ে থাকে। যেমন, আপনি যদি ১০০ টাকার শেয়ার কিনেন তবে ৪০ পয়সা কমিশন কেটে নিবে, ঠিক তেমনে যখন ১০০ টাকার শেয়ার বিক্রি করবেন তখনও ৪০ পয়সা কমিশন কাটবে।

এর মানে দাঁড়ায় ১০০ টাকা শেয়ার যদি আপনি আবার ১০০ টাকায় বিক্রি করেন তবে আপনার লস হবে। কম পক্ষে ১% লাভ হলে আপনি লসের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। শুরুর দিকে এটা নিয়ে খুব বেশি বিনিয়োগকারীগন চিন্তা করে না, তবে আপনাকে এটি গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আপনি যদি অনলাইনে বিও একাউন্ট খুলেন তবে সকল তথ্য দিয়ে ৪৫০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। একাউন্ট বানাতে ২/৩ দিন সময় লাগতে পারে।

আপনার একাউন্ট হয়ে গেলে মোবাইলে ও ইমেইলে কনফারমেশন আসবে।

আপনার ইমেইলে কনফারমেশনে বিও সেটাপ আসবে। সেখানে আপনি যেই সকল তথ্য দিয়েছিলেন তা ঠিক আছে কিনা, মিলিয়ে দেখতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনার একাউন্ট রেডি। এবার টাকা জমা দেওয়ার পালা। শেয়ার বাজার নিয়ে আমাদের অনেকে আর্টিকেল আছে, যা পড়তে পারেন এখানে