নেতৃত্ব এবং যোগাযোগের দক্ষতা ৪টি অন্তর্দৃষ্টি

নেতৃত্ব এবং যোগাযোগের দক্ষতা ৪টি বৈশিষ্ট্য

নেতৃত্ব এবং যোগাযোগের দক্ষতা ৪টি বৈশিষ্ট্য

নেতৃত্ব এবং যোগাযোগের দক্ষতার গুরুত্ব নতুন করে বলার কিছুই নেই। তবে এতটুকু বলা যায়, অন্যের অধীনে কাজ করা কিংবা নিজের ব্যবসা পরিচালনা করা, এমনকি ব্যক্তি জীবনকে সাফল্যমন্ডিত করতে চাওয়া সকল ক্ষেএে নেতৃত্ব এবং যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হয়।

নেতৃত্ব এবং যোগাযোগের দক্ষতা উন্নত করার অনেক উপায় আছে যার লিস্ট অনেক বড় এবং সবগুলো আমাদের পক্ষে মেনে চলাও অনেক কষ্টসাধ্য।

আপনি যদি ৪টি বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে নেতৃত্ব এবং যোগাযোগের দক্ষতায় অনেকখানি এগিয়ে থাকতে পারবেন। আসুন কি সেই ৪টি বৈশিষ্ট্য তা জানার চেষ্টা করি।

#১। সহজ, সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট কথা

সময়ের মূল্য সব সময়ই অনেক বেশী এবং বর্তমানে সচেতন মানুষ তার সময়কে আরো বেশী গুরুত্ব দেয়। একজন প্রফেশনাল হিসাবে আপনার সময়কে মূল্য দিতে হবে একই সাথে অন্যদের মন জয় করতে হবে।

আপনি যখন কথা বলবেন অহেতুক কথা বলে আপনার এবং শ্রোতার সময় যেন নষ্ট না হয় তার দিকে নজর দিতে হবে।

একজন মানুষের সাথে আপনি যত টুকু কথা বলবেন এর মধ্যে সে ৪০% মনে রাখতে পারে, বাকী ৬০% সে ভুলে যায়।

এখন আপনি যদি বাড়তি কথা বলে সহজ বিষয়কে জটিল করে তুলেন তাহলে আপনার কার্য হাসিল নাও হতে পারে।

ধরুন, আপনি একটি নতুন চাকরিতে যোগদান করেছেন এবং এক মিটিং এ আপনাকে নিজের পরিচয় দিতে বলা হলো।

এই অবস্থায় আপনি অবশ্যই আপনার জন্ম কোথায়, কত সালে কোন স্কুল থেকে কি রেজাল্ট করেছেন, কোন ভার্সিটিতে পরেছেন, আপনার কতজন বন্ধু আছে তা বলবেন না।

এই সব কথা আপনার Audience শুনতে চায় না।

একজন ভালো যোগাযোগকারী হতে চাইলে আপনার Audience এর সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।

জটিল কোন বিষয় সহজ, সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট করে তুলতে পারলে আপনার গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে।

#২। ভালো শ্রোতা হতে পারা

নেতৃত্ব দিতে চাইলে আপনাকে একজন আদর্শ শ্রোতা হতে হবে। আমাদের একটি মুখ এবং দুটি কান রয়েছে এবং যা অনুপাতের সাথে ব্যবহার করা উচিত। এর মানে হচ্ছে আমরা যদি ১টি বাক্য বলি তাহলে ২টি বাক্য শুনতে হবে।

আপনি যত বেশি শ্রবণশক্তি অর্জন করতে পারবেন তত বেশি অন্যের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন।

যখন কেউ আপনার সাথে কথা বলবে এবং কথা চলাকালীন সময়ে যদি আপনি তাকে থামিয়ে দেন তবে সে তার মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারায় আপনার প্রতি বিরক্ত হবে।

ফলস্বরূপ, আপনি যখন কথা বলবেন তখন আপনার কথাকেও গুরুত্ব দিবে না, যা আপনার নেতৃত্ব এবং যোগাযোগের দক্ষতা বাড়াতে বাঁধা দিবে।

#৩। আত্মবিশ্বাস

নেতৃত্ব দিতে চাইলে আপনাকে মধ্যে আত্মবিশ্বাস ঘাটতি থাকা যাবে না। বুলেট মিস হতে পারে আপনার কথা হেরফের হবে না এমন একটি বিশ্বাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে।

আপনার এই গুন নেতৃত্ব এবং যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে দারুন কাজ করবে। যখন আপনি কাউকে কিছু বলবেন তখন শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলতে হবে।

করতে পারি, যেতে পারি, আমার এটা করা উচিৎ, ভেবে দেখি, মনে নাই, জানতাম আমি এখন ভুলে গেছি, আমি এই সেক্টরে নতুন, ইত্যাদি কথাগুলো আপনাকে নেতৃত্বদানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

#৪। অন্যকে সম্মান করতে হবে

অন্যের কাছে সন্মানিত তখনই হওয়া যায় যখন আপনি অন্যকেও এই একই ভাবে সম্মান দিবেন।

আপনার অধীনস্থ কোন কর্মচারী কোন কাজে ভুল করলে তাকে লজ্জা না দিয়ে কাজটি শুধরে দিতে হবে তাহলে দেখবেন সেই কর্মচারী ঐ একই ভুল দ্বিতীয়বার করা থেকে বিরত থাকবে এবং আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।

আপনি সব সময় সব কিছু জানের না, এই মনোভাব থাকতে হবে। সিদ্ধান্ত আপনি নিজেই নেন সমস্যা নেই, তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কারো কাছে পরামর্শ চাইতে পারেন।

এতে হয়ত আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কোন ভুল থাকলে তা ঠিক করে নিতে পারবেন এবং একই সাথে যার কাছে পরামর্শ জন্য জিজ্ঞাসা করেছেন সে আপনাকে যথেষ্ট সম্মান ও ভালোবাসা দিবে। যা দিন শেষে আপনাকে নেতৃত্ব এবং যোগাযোগের দক্ষতাকে আরো উন্নত করবে।