তরুণ বয়সে উদ্যোক্তা হতে হলে থাকতে হবে ৪টি দক্ষতা
তরুণ বয়সে উদ্যোক্তা হতে হলে

তরুণ বয়সে উদ্যোক্তা হতে হলে থাকতে হবে ৪টি দক্ষতা
যত সফল উদ্যোক্তা আছেন তাদের ৮৪% ব্যবসা শুরু করেছিলেন তরুন বয়সেই। বর্তমানে সমসাময়িক ব্যবসা খাত গুলো ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। ব্যবসা খাত গুলো দিন দিন আরো জটিল ও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে। আর ক্রমান্বয়ে বাড়ছে প্রতিযোগীদের সংখ্যা। বর্তমানে ব্যবসায় প্রতিযোগীতা অনিবার্য এবং প্রতিযোগীতা গুলো মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
আর ব্যবসা শুরুর জন্য তরূণ উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় উদ্যোক্তা দক্ষতা থাকতে হবে। তাছাড়া ব্যবসা শুরুর পর নানা অনিশ্চয়তা ও অসুবিধা মোকাবেল করতে হবে বিধায় বিভিন্ন দক্ষতা থাকা আবশ্যক। নিচে তরূণ উদ্যোক্তাদের যে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা গুলো থাকা দরকার তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
তরুণ বয়সে উদ্যোক্তা হতে হলে ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বের দক্ষতা থাকতে হবে
ব্যবস্থাপনা তরূণ উদ্যোক্তাদের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হয়। তরূণ উদ্যোক্তাদেরকে তাদের প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। তাছাড়াও কর্মীদেরকে সংগঠিত করা, সকল কাজের সমন্বয় করা, যোগাযোগ রক্ষা করা, সময়সূচী বজায় রাখা ইত্যাদি কাজ গুলোও তাদেরকেই করতে হয়। তাই এসব কাজ করতে গেলে অবশ্যই তরূণ উদ্যোক্তাদের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বের দক্ষতা থাকতে হবে।
নেটওয়ার্কিং ও যোগাযোগ দক্ষতা তরুণ বয়সে উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করে
উদ্যোক্তারা একটি সুস্পষ্ট ও কার্যকর পদ্ধতিতে তাদের ধারণা গুলো প্রকাশ করতে যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া এই দক্ষতাটি আভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত পরিবেশে যে কোন মানুষের সাথে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতেও ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি বাজারে প্রভাব বিস্তার, বিনিয়োগকারী ও অংশীদারদের সাথে আলোচনা এবং সর্বোপরি ব্যবসার বিকাশে যোগাযোগ দক্ষতার ভূমিকা অপরিসীম। আর যোগাযোগে যে যত বেশি দক্ষ তার ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কও তত বেশি শক্তিশালী।
ব্যবসা ও সঠিক অর্থায়ন পরিকল্পনা উদ্যোক্তা হওয়ার হাতিয়ার
যে কোন উদ্যোক্তার জন্য কীভাবে ব্যবসার পরিকল্পনা সঠিক ভাবে নকশা করা যায় সে দিকে লক্ষ্য করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসার পরিকল্পনা আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনে ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করতে সুস্পষ্ট ও ব্যাপক বর্ণনা প্রদান করবে। তাছাড়া একটি সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া কিছুতেই ব্যবসায় সফল হওয়া যাবে না। তাই যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
অপরদিকে যে কোন ব্যবসাকে টেকসই করতে অর্থায়ন ও অন্যান্য আর্থিক সম্পদের সক্ষমতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু বিনিয়োগই যে কোন ব্যবসার প্রাথমিক উপাদান তাই অর্থায়ন ছাড়া কোন ব্যবসা শুরু করার কথাই চিন্তা করা যায় না।
আধুনিক বিপণন দক্ষতাই আপনাকে উদ্যোক্তা বানাবে
বর্তমান যুগ আধুনিকতার যুগ। তাই ব্যবসা ক্ষেত্রকেও আধনিকতার সংস্পর্শে নিয়ে আসতে হবে। আধুনিক বিপণন ছাড়া বর্তমানে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকা অসম্ভব। তাছাড়া পেশাদারিত্ব, উৎপাদন ও উদ্ভাবন ইত্যাদি বৃদ্ধি করতেও এই দক্ষতাটি থাকা প্রয়োজন। ব্যবসা বৃদ্ধি করতে যে কোন উদ্যোক্তারই আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে। অন্যথায় ব্যবসায় সফল হওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়বে।