কিভাবে ডে কেয়ার সেন্টার ব্যবসা শুরু করবেন
ডে কেয়ার সেন্টার ব্যবসা শুরু করবেন

ডে কেয়ার সেন্টার ব্যবসা
ডে কেয়ার সেন্টার ব্যবসা বিদেশে অনেক আগ থেকে চলে আসছে। আমাদের দেশে এইটু নতুন হলেও সবার কাছে পরিচত ব্যবসা। ডে কেয়ারে সাধারণত শিশুদের আইনী অভিভাবক ব্যতীত অন্য ব্যক্তি দ্বারা শিশুর যত্ন নেওয়া হয়। যত্ন নেওয়া সেই ব্যক্তিটি মূলত শিশুর পরিবারের বাইরের কেউ হয়ে থাকেন। ডে কেয়ার শিশুর পিতামাতার কর্মক্ষেত্রের সময় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চলমান একটি সেবা কেন্দ্র। সাপ্তাহিক কর্মদিবসে বা ব্যস্ত দিনে আদরের সন্তানের যত্ন বা পরিচর্যা করে পিতামাতাকে নির্ভার রাখার জন্য ডে কেয়ার সেন্টারের গুরুত্ব অপরিসীম।
সন্তানের নিত্যদিনের কাজ গুলো দেখ ভাল এবং তার সকল ভালোমন্দ গুলো দেখে রাখা ইত্যাদি কারণে দিনে দিনে ডি কেয়ার সেন্টারের প্রতি অভিবাভকদের নির্ভরশীলতা বাড়ছে। কর্মজীবী মা- বাবাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান বিশেষ। তাই সেবাধর্মী এই ব্যবসা উদ্যোগটি গ্রহণ করে যে কোন পরিশ্রমী উদ্যোক্তা সফলতা লাভ করতে পারেন।
ডে কেয়ার সেন্টার ব্যবসা শুরু করার জন্য তেমন বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। এটি একটি সৃজনশীল ও সেবামূলক ব্যবসার ধারণা। ডে কেয়ার সেন্টারে কতগুলো বিশেষ কাজ অত্যন্ত জরুরী যাতে শিশুর পিতা- মাতা তাদের সন্তানের যত্নের ব্যাপারে স্বস্তি পেতে পারেন। যেমন: খাওয়া, পড়ানো, স্কুলের বাড়ির কাজ ইত্যাদি ডে কেয়ারে নিশ্চিত করে দিতে হবে।
এতে ডে কেয়ার সেন্টারের প্রতি অভিবাভকদের বিশ্বস্ততা আরো বৃদ্ধি পাবে। ডে কেয়ার সেন্টার ব্যবসা শুরু করে অল্প বিনিয়োগে বহু সেবামূলক কাজ করা যায় এবং নার্স ও নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করে একাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। ডে কেয়ার সেন্টার পরিচালনার ধারণা থাকলে যে কোন উদ্যোক্তা এই ব্যবসা খাতে সফল হতে পারেন।
শহরের যে কোন জায়গায় এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। তবে বিশেষ করে আবাসিক এলাকা গুলোতে শুরু করতে পারলে ভালো হয়। ডে কেয়ার সেন্টার ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৮ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পুজিঁ বিনিয়োগ করতে হতে পারে।
কিভাবে একটি ডে কেয়ার সেন্টার শুরু করবেন: একটি ডে কেয়ার সেন্টার শুরু করার জন্য প্রথমেই একটি উপযুক্ত নিরাপদ এলাকা নির্ধারণ করতে হবে। তারপর যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এরপর ঘুমানোর জায়গা, খেলাধুলার জায়গা, পড়াশোনার জায়গা ইত্যাদি ভাগে ডে কেয়ার সেন্টারটিকে ভাগ করে আলাদা আলাদা ভাবে সুন্দর করে ডেকোরেশন করতে হবে।
তারপর শিশুদের পরিচর্যার জন্য প্রশিক্ষিত আয়া ও অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক নিয়োগ করতে হবে। ডে কেয়ারটির প্রচারের জন্য নির্ধারিত ফি ও অন্যান্য সুবিধা সহ বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। ডে কেয়ার সেন্টারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই ভাবে একটি ডে কেয়ার সেন্টার শুরু করা যায়।
গ্রাহক: কর্মজীবী সকল অভিবাভকগণই এই ব্যবসার ভোক্তা হতে পারেন।
যোগ্যতা: এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য উদ্যোক্তাদের তেমন কোন যোগ্যতার দরকার হয় না। শুধুমাত্র ডে কেয়ার পরিচালনার ধারণা থাকলেই যথেষ্ট। ডে কেয়ার সেন্টার ব্যবসা শুরু করে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।