জীবন বীমা কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বীমা এজেন্ট ও বীমা কারীর ভূমিকা
জীবন বীমা কার্যক্রম বাস্তবায়ন

জীবন বীমা কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বীমা এজেন্ট ও বীমা কারীর ভূমিকা
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে বীমা একটি চুক্তি। যে চুক্তির শর্ত মোতাবেক অপ্রত্যাশিত ভাবে কোন ঘটনা ঘটা সাপেক্ষে ঝুঁকি গ্রহণ চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া। এ ক্ষেত্রে দু-পক্ষের মধ্যে বীমা চুক্তিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বীমা ছাড়া এই রূপ ক্ষেত্রে কেউ ঝুঁকি নিতে চুক্তিবদ্ধ হয় না। জীবন বীমা পলিসি ক্রয় বিক্রয় প্রক্রিয়ার মধ্যে ৩টি পক্ষই গভীর ভাবে সম্পর্কিত।
বীমা প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীর:- যার সাথে বীমা কারীর চুক্তি সম্পাদিত হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী বীমার দায় গ্রহণ করে।
বীমা গ্রহণকারী :- যিনি তার জীবনের ঝুঁিকর বিপরীতে নিদৃষ্ট সময় নিদৃষ্ট অর্থ প্রদানের মাধ্যমে কোম্পানীর সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়ে থাকেন।
বীমা এজেন্ট:- বীমা প্রতিষ্টান ও বীমা গ্রহনকারীর মধ্যে বীমা সুবিধা প্রদান ও গ্রহণ শর্ত সাপেক্ষে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মধ্যস্থতা স্বরুপ সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করে থাকেন। ঝুঁিক নেওয়ার ক্ষেত্রে বীমা এজেন্ট বা মধ্যস্থকারী অপরদিকে বীমা গ্রহিতাকে সম্যক বিষয়ে পারদশী হতে হবে। যেমন:-
-বীমা কারীকে পলিসির বিস্তারিত ঝুঁকি বিয়য়ে অবহিত করা
-বীমা কারীর চাহিদা জেনে প্রডাক্ট নিয়ে আলোচনা করা।
-বীমা গ্রহনের জন্য উপযুক্ত কিনা যাচাই করা
-কোম্পানীর বিভিন্ন বিষয় সমন্ধে গ্রাহককে জানানো।
-গ্রাহককে বীমা এজেন্টের সুবিধা মত প্রডাক্ট চালিয়ে না দেওয়া।
বীমা কারী:-
-নিজের প্রয়োজন সম্পর্কে সচেতন থাকা
-না বুঝে প্রভাবিত না হওয়া।
-একাধিক প্রডাক্ট যাচাই বাছাই করে নেওয়া
-আয়ের সাথে বীমা মূল্য সামঞ্জস্য পূর্ণ কিনা যাচাই করে দেয়া।
-স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদী পলিসি চালানোর মত সক্ষমতা আছে কিনা।
বীমা সংস্থা:-
-আইনগত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত কিনা।
-ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সক্ষমতা আছে কিনা।
-ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা
জীবন বীমা গ্রাহক কে বা কাহারা হতে পারেন
রাষ্ট্রীয় সীমা রেখার মধ্যে যে, কোন ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের, বা গোষ্টির মানুষ জীবন বীমার গ্রাহক বা ক্রেতা হতে পারেন। এক্ষেত্রে বীমা কার্যে নিয়োজিত এজেন্ট সুবিধামত যে কাউকেই সম্ভাব্য ক্রেতা হিসাবে প্রস্তাব করতে পারেন। প্রস্তাব পেলেই ইচ্ছা করলে পলিসি গ্রহণ করতে পারে না। পলিসি প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্মলিখিত বিষয় দিক গুলি সমূহ যাচাই বাছাই অপরিহার্য:-
১) বীমা গ্রহনের জন্য উপযুক্ত কিনা।
২) নিয়মিত আয় আছে কিনা।
৩) আয়ের সাথে প্রস্তাবনা সংগতিপূর্ণ কিনা।
৪) তার জন্য নিদ্দিষ্ট পরিকল্পনা, মেয়াদ,বীমা অংক উপযোগী কিনা।
৫) প্রিমিয়াম প্রদানের সক্ষমতা আছে কিনা
৬) অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প কিনা।
৭) পলিসির সাথে বয়সের সামঞ্জুস্যতা আছে কিনা।
৮) গ্রাহক কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যাবলী সত্য ও সঠিক কিনা।
সর্বোপরি প্রতিষ্ঠানের অবলিখন গাইড লাইনকে প্রভাবিত করে কিনা দেখা।