কিভাবে গুড়া মসলা তৈরী ব্যবসা শুরু করবেন

গুড়া মসলা তৈরী ব্যবসা শুরু করবেন

গুড়া মসলা তৈরী ব্যবসা

গুড়া মসলা তৈরী ব্যবসা

জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করে। সকল ব্যবসায়ের মধ্যে অধিক আয় ব্যবসা হিসেবে গুড়া মসলা তৈরী ব্যবসা অন্যতম। আধুনিকতার মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নতমানের গুড়া মসলা বাজারজাত করে অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব। রান্নার কাজে বাটা মসলা একটি ঝামেলার কাজ। আর এই ঝামেলামুক্ত কাজটিকে সহজ করার জন্য গুড়া মসলার চাহিদা বেড়েই চলেছে।

বাটা মসলা দিয়ে রান্না করা অনেক সমস্যা। গুড়া মসলা এখন এই ধরনের সম্যসা সমাধান করে থাকে। এখনাকার গৃহবধু খুব সহজে রান্না করতে গুড়া মসলার ব্যবহার করে থাকে।

গুড়া মসলার মধ্যে রয়েছে জিরা, ধনিয়া, হলুদ, মরিচ, গরম মসলা ইত্যাদি। সারা বিশ্বে গুড়া মসলার একটি বড় বাজার রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে আগে বাটা মসলা রান্নার কাজে ব্যবহার করা হত। বর্তমানে এটাও কমে এসেছে। এখনকার সময়ে সকল বাড়িতে গুড়া মসলা দিয়ে রান্না করা হয়।

কেন গুড়া মসলা তৈরী ব্যবসা শুরু করবেন

সারা বিশ্বে গুড়া মসলার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। রান্না সু-স্বাধু করতে গুড়া মসলার কোনো বিকল্প নেই। অল্প টাকা দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। এই ব্যবসায়ের মাধ্যমে অনেক তরুন তাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। এই ব্যবসায়ের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা যায়। মেশিনের সাহায্যে গুড়া মসলা তৈরী করা হয় বিধায় এতে তেমন কোনো পরিশ্রম করার প্রয়োজন হয় না। এটি একটি ঝুঁকি মুক্ত ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। এক কথায় বলতে গেলে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।

কোথায় শুরু করবেন

এই ব্যবসাটি কোনো বড় বাজারে কিংবা মার্কেটের পাশে শুরু করা যায়। এই ব্যবসাটি শুরু করতে তেমন বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। এমনকি গৃহ কেন্দ্রিক ব্যবসা এটি পরিচালনা করা যায়।

সম্ভাব্য পুঁজি: এই ব্যবসাটি শুরু করতে ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পুঁজি বিনিয়োগ করতে হবে।

যেভাবে শুরু করবেন

এই ব্যবসাটি শুরু করা সহজ। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (BFSA) অনুমতি নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে হবে। গুড়া মসলার কাজটি মেশিনের সাহায্যে করা হয়। প্রথমে মসলার কাচা মালামালগুলো ক্রয় করে রোদের মধ্যে শুকাতে দিতে হবে। শুকানোর পর মেশিনের সাহায্যে মসলাগুলোকে গুড়া করা হয়। অটোমেশিনের সাহায্যে প্যাকেট করে বাজারে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এই ভাবে খুব সহজেই গুড়া মসলা তৈরী করা হয়।

বাজারজাতকরণ

বাজারে অনেক বড় বড় কোম্পানির গুড়া মসলা রয়েছে। আপনি চাইলেই হুট করে বাজার দখল নিতে পারবেন না। মফস্বল শহরে মোটামুটি প্রতিযোগীতা কম। তাই শুরুতে কিভাবে বাজারজাত করবেন তা ঠিক করে নেওয়াই উত্তম। মসলার মান শতভাগ ভাল রাখতে পারলে সফলতা শুধু সময়ের ব্যাপার। রান্নার কাজে ব্যবহৃত গুড়া মসলার চাহিদা সব সময় সমান থাকে। যেকোনো মুদি দোকানে গুড়া মসলা বিক্রি হয়। বর্তমানে শহরের সুপার শপেও গুড়া মসলা পাওয়া যায়। ভালো মানের গুড়া মসলা তৈরী করে বিদেশেও রপ্তানি করা যায়।

যোগ্যতা: এই ব্যবসাটি শুরু করতে তেমন কোনো প্রশিক্ষনের প্রয়োজন হয় না। বাজারজাতকরণ কিভাবে করে তার উপর দক্ষ হলে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়।

সম্ভাব্য আয়: এই ব্যবসাটি শুরু করে প্রথম দিকে প্রতি মাসে ২০০০০ টাকা থেকে ৪০০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। যত বেশী বাজার দখল করতে পারবেন আয় তত বাড়বে।