মাংস উৎপাদন করার জন্য গরুর খামার – গরু মোটাজাতকরন

গরু মোটাজাতকরন একটি লাভজনক ব্যবসা। তবে এই ব্যবসা সারা বছর ধরেও করা যায় আবার শুধু একটি নিদিষ্ট সময়েরর জন্য করা যায়। মাংস উৎপাদন করার জন্য গরুর খামার বা গরু মোটাজাতকরন প্রকল্প করে অনেকে বেকারত্ব দূর করেছে। আবার অনেকে বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসাবে এই ব্যবসাকে কাজে লাগিয়েছে।

গরু মোটাজাতকরন একটি প্রাচীন পদ্ধতী। অতীত কাল থেকে আমাদের দেশে গরু মোটাজাতকরন প্রকল্প চলছে। অনেক অসাধুয়ী ব্যবসায়ী টাকার লোভে ক্ষতিকর ঔৌষধ গরু খাইয়ে মোটাটাকা ইনকাম করছে, যা আমাদের দেশের মানুষ বুজতে পেরে এখন সবাই দেশী গরুর প্রতি ঝুকেছে।

মাংস উৎপাদন করার জন্য গরুর খামার - গরু মোটাজাতকরন

মাংস উৎপাদন করার জন্য গরুর খামার – গরু মোটাজাতকরন

কত টাকা দিয়ে গরু মোটাজাতকরন শুরু করা যাবে

এই প্রকল্প গরু মোটাজাতকরন ২/৩ টা গরু দিয়ে শুরু করা যায়। প্রাথমিক ইনভেস্ট হিসাবে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু করা যায়। বিশেষ করে রোযার ঈদের পরে গ্রাম গঞ্জ থেকে বেশী গরু কিনে কোরবানী পর্যন্ত পালন করে খুব কম সময়ে ভাল লাভবান হওয়া যায়।

গরু মোটাজাতকরনের জন্য প্রতিদিন গরুকে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে।

গরুর খাবার বানানোর নিয়ম

১০০ কেজি খাবার বানানোর সঠিক নিয়ম

গমের ভুসি – ৪০ কেজি

চালের কুড়া – ২৩.৫ কেজি

যেকোন ডলের ভুসি – ১৫ কেজি

খৈল- ২০ কেজি

লবন – ১.৫ কেজি

এছাড়া ভিটামিন মিনারেল ১% খাওয়াতে হবে।

 

প্রতি দুই দিন পর পর গরুকে গোসল করাতে হবে। প্রচুর পরিমান কাচা গাস খাওয়াতে হবে। তার জন্য বর্ষা কালে এই ব্যবসা শুরু করা উচিত। এতে প্রচুর কাঁচা গাস পাওয়া যায় তেমনি গরুর দামও তুলনামূলক কম থাকে।

কী কী ঝুঁকি আছে এই ব্যবসায়

সব ব্যবসায় ঝুঁকি আছে এবং ঝুঁকি থেকে বের হওয়ার রাস্তাও আছে। সঠিক সময়ে গরুকে সঠিক ভেকসিন দিতে হবে। কোন সমস্যা দেখা দিলে পশু ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্ষ নিতে হবে।

কত টাকা লাভ হতে পারে

তিন চার মাস পালন করে প্রতি গরু প্রতি ৫/৬ হাজার লাভ করা যায়। গাভীকে প্রয়োজনীয় খাবাবের এর সাথে সাথে সঠিক যন্ত নিতে হবে। তাহলেই আসবে সাফল্য।