কেন আমরা বিনিয়োগ করি

কেন আমরা বিনিয়োগ করি

কেন আমরা বিনিয়োগ করি

কেন আমরা বিনিয়োগ করি

টাকা আয় করার একমাত্র কারন ব্যয় করা। যদি টাকা ব্যয় করা না লাগতো তাহলে টাকা আয় করার কোন দরকারই হত না। সাধারনত আমরা যে যেই কাজ করি না কেন, টাকা আয়ের মূল উৎস ৩টি।

যেমন, চাকরি, ব্যবসা ও বিনিয়োগ আপনি যেই খাত থেকেই টাকা আয় করেন না কেন, টাকা ব্যয়ের খাত অনেক বেশি, যার লিস্ট শেষ হবার না।

আপনি যদি পরিবারের একমাএ উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ঐ পরিবারের সূর্য। সূর্য যেমন গোটা দুনিয়াকে আলোকিত করে, ঠিক তেমনি আপনি আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি তাদেরকে আলোকিত পথ দেখাচ্ছেন।

বর্তমান এই বিশ্বে নিজেকে ভালো রাখা, পরিবারের দেখ ভাল করা, অন্যকে সাহায্য করা, এই সকল বিষয়ের পিছনে যেই জিনিষ কলকাঠি না নাড়ে তা হলো টাকা।

আমাদের জীবনের অনেক গুলো ধাপ আছে। যেমন জন্ম থেকে ২০/২০ বছর পর্যন্ত আমাদের শিক্ষাকাল। এই বয়সে আমরা অনেকেই টাকা আয় করতে পারি না। তখন আমাদের পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির উপরে নির্ভরশীল হতে হয়।

এর পরে আমরা আস্তে আস্তে টাকা-পয়সা ইনকাম করা শুরু করি এবং আমাদের উপর পরিবারের অন্যকেউ নির্ভরশীল হয়ে যায়। আবার যখন আমরা বৃদ্ধ হয়ে যাই তখন আবার অন্যেদের উপর নির্ভর হতে হয়। ঐ বৃদ্ধ বয়সে আমাদের কপালে দুইটা জিনিষ অপেক্ষা করে।

এক অন্যের করুনার পাএ হয়ে থাকা কিংবা মুখ জামটা খাওয়া, আর দুই নিজের সিগন্যাচার পাওয়ার ব্যবহার করে বৃদ্ধকালীন বয়সে একটু ভালো থাকার চেষ্টা।

আপনি যদি পরীক্ষার কোন প্রস্তুতি না নিয়ে যদি বলেন আপনি পরীক্ষায় ১০০ মার্ক পাবেন তবে তা অসম্ভব। আপনার জীবনের যত অল্প বয়স থেকে বিনিয়োগে আসতে পারবেন তত বেশি আর্থিক স্বাধীনতার কাছা কাছি পৌঁছাতে পারবেন।

আমাদের জীবনে অনাক্ষিত অনেক ঘটনা ঘটতে পারে। আপনি যদি পরিবারের একমাএ উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অনুপস্থিতে বা শারীরিক অক্ষমতার কারনে অন্যদের জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ পরিস্থিতি।

আপনার বিনিয়োগ যে শুধুমাত্র আপনার নিজের আর্থিক স্বাধীনতার জন্য করা তা কিন্তু নয়, আপনার পরিবারের অন্যদের কথা চিন্তা করেও বিনিয়োগে আসতে হবে। তবে সত্যি বলতে কি, আমাদের দেশে বিনিয়োগের মাধ্যম খুবই সীমিত।

এর মধ্য থেকেই আপনার জন্য সেরা বিনিয়োগের খাত খুঁজে বের করতে হবে। আমরা অনেকেই ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, বা পোস্ট অফিসে টাকা জমানোকে বিনিয়োগ মনে করি, তবে বাস্তবিক অর্থে একে বিনিয়োগ বলা যায় না। একে আমরা সঞ্চয় বলতে পারি।

বিনিয়োগ এমন একটি বিষয় যেখানে ঝুঁকি আছে, একই সাথে রিটানও ঐ সকল সঞ্চয়ের থেকে অনেক বেশী।

আপনি যদি আজকে একটি গাছ লাগান, এবং সেই গাছটিকে যন্ত সহকারে বড় করতে পারেন তাহলে ফলের আশা করতে পারেন।

গাছ না লাগিয়ে ফলের আশা কেউ করতে পারে না। গাছটি লাগানোর পরে পরিবারের সদস্যদের বলতে পারবেন, আমি তোমাদের নিয়ে এই গাছের ফল ভোগ করব, আর আমি না থাকলে তোমরা এর ফল ভোগ করতে পারবে, একই সাথে গাছের ছায়াও পাবে।

তাই আমাদের উচিৎ, নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য যত দ্রুত সম্ভব বিনিয়োগে আসা, বিনিয়োগের মাধ্যমে বাড়তি একটা আয়ের পথ সৃষ্টি করা।

বিনিয়োগই পারে পরিবার ও নিজেকে আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিতে। তবে বিনিয়োগে আসার আগে আপনার থাকা চাই একটা স্পষ্ট, স্বচ্ছ, পরিস্কার ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল – Bangla Preneur YouTube Channel